9-10. কমবেশী চার হাজার পুরুষ লোক সেখানে ছিল। এর পরে তিনি লোকদের বিদায় দিলেন এবং শিষ্যদের সংগে একটা নৌকায় উঠে দল্মনুথা এলাকায় গেলেন।
11-12. সেখানে ফরীশীরা এসে যীশুর সংগে তর্ক করতে লাগলেন এবং তাঁকে পরীক্ষা করবার জন্য স্বর্গ থেকে কোন একটা চিহ্ন দেখতে চাইলেন। এতে যীশু গভীর দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলে বললেন, “এই কালের লোকেরা চিহ্নের খোঁজ করে কেন? আমি আপনাদের সত্যিই বলছি, কোন চিহ্নই এদের দেখানো হবে না।”
13. তারপর তিনি তাঁদের ছেড়ে আবার নৌকায় উঠে সাগরের অন্য পারে গেলেন।
14. শিষ্যেরা সংগে করে রুটি নিতে ভুলে গিয়েছিলেন। নৌকার মধ্যে তাঁদের কাছে মাত্র একখানা রুটি ছিল।
15. এই সময় যীশু বললেন, “তোমরা সতর্ক থাক, ফরীশীদের ও হেরোদের খামি থেকে সাবধান হও।”
16. এতে শিষ্যেরা নিজেদের মধ্যে বলতে লাগলেন, “আমাদের কাছে রুটি নেই বলে উনি এই কথা বলছেন।”
17. শিষ্যেরা কি বিষয়ে বলছেন তা বুঝতে পেরে যীশু তাঁদের বললেন, “তোমরা কেন বলছ যে, তোমাদের রুটি নেই? তোমরা কি এখনও জান না বা বোঝ না? তোমাদের অন্তর কি কঠিন হয়ে গেছে?
18. তোমাদের চোখ থাকতেও কি দেখতে পাও না? কান থাকতেও কি শুনতে পাও না? মনেও কি পড়ে না,
19. যখন আমি পাঁচ হাজার লোকের জন্য পাঁচখানা রুটি ভেংগেছিলাম তখন কত টুকরি রুটির টুকরা তোমরা কুড়িয়ে তুলেছিলে?”শিষ্যেরা উত্তর দিলেন, “বারো টুকরি।”
20. যীশু আবার বললেন, “আমি যখন চার হাজার লোকের জন্য সাতখানা রুটি ভেংগেছিলাম তখন কত টুকরি রুটির টুকরা তোমরা কুড়িয়ে তুলেছিলে?”তাঁরা বললেন, “সাত টুকরি।”
21. তখন তিনি তাঁদের বললেন, “তাহলে তোমরা কি এখনও বোঝ না?”
22. পরে যীশু ও তাঁর শিষ্যেরা বৈৎসৈদা গ্রামে গেলেন। সেখানকার লোকেরা একজন অন্ধ লোককে যীশুর কাছে নিয়ে আসল এবং লোকটির গায়ে হাত রাখবার জন্য যীশুকে অনুরোধ করতে লাগল।