5. যীশু জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমাদের কাছে কয়টা রুটি আছে?”তাঁরা বললেন, “সাতখানা।”
6. তিনি লোকদের মাটিতে বসতে আদেশ দিলেন। পরে সেই রুটি সাতখানা নিয়ে তিনি ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিয়ে ভাংলেন এবং লোকদের দেবার জন্য শিষ্যদের হাতে দিলেন আর শিষ্যেরা তা লোকদের হাতে দিলেন।
7. শিষ্যদের কাছে কয়েকটা ছোট মাছও ছিল। যীশু সেই মাছগুলোর জন্যও ধন্যবাদ দিলেন এবং তা লোকদের ভাগ করে দেবার জন্য শিষ্যদের বললেন।
8. লোকেরা পেট ভরে খেল। পরে যে টুকরাগুলো পড়ে রইল শিষ্যেরা তা তুলে নিয়ে সাতটা টুকরি ভরতি করলেন।
9-10. কমবেশী চার হাজার পুরুষ লোক সেখানে ছিল। এর পরে তিনি লোকদের বিদায় দিলেন এবং শিষ্যদের সংগে একটা নৌকায় উঠে দল্মনুথা এলাকায় গেলেন।
11-12. সেখানে ফরীশীরা এসে যীশুর সংগে তর্ক করতে লাগলেন এবং তাঁকে পরীক্ষা করবার জন্য স্বর্গ থেকে কোন একটা চিহ্ন দেখতে চাইলেন। এতে যীশু গভীর দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলে বললেন, “এই কালের লোকেরা চিহ্নের খোঁজ করে কেন? আমি আপনাদের সত্যিই বলছি, কোন চিহ্নই এদের দেখানো হবে না।”
13. তারপর তিনি তাঁদের ছেড়ে আবার নৌকায় উঠে সাগরের অন্য পারে গেলেন।
14. শিষ্যেরা সংগে করে রুটি নিতে ভুলে গিয়েছিলেন। নৌকার মধ্যে তাঁদের কাছে মাত্র একখানা রুটি ছিল।
15. এই সময় যীশু বললেন, “তোমরা সতর্ক থাক, ফরীশীদের ও হেরোদের খামি থেকে সাবধান হও।”
16. এতে শিষ্যেরা নিজেদের মধ্যে বলতে লাগলেন, “আমাদের কাছে রুটি নেই বলে উনি এই কথা বলছেন।”
17. শিষ্যেরা কি বিষয়ে বলছেন তা বুঝতে পেরে যীশু তাঁদের বললেন, “তোমরা কেন বলছ যে, তোমাদের রুটি নেই? তোমরা কি এখনও জান না বা বোঝ না? তোমাদের অন্তর কি কঠিন হয়ে গেছে?
18. তোমাদের চোখ থাকতেও কি দেখতে পাও না? কান থাকতেও কি শুনতে পাও না? মনেও কি পড়ে না,
19. যখন আমি পাঁচ হাজার লোকের জন্য পাঁচখানা রুটি ভেংগেছিলাম তখন কত টুকরি রুটির টুকরা তোমরা কুড়িয়ে তুলেছিলে?”শিষ্যেরা উত্তর দিলেন, “বারো টুকরি।”