6. প্রধান পুরোহিতেরা সেই রূপার টাকাগুলো নিয়ে বললেন, “এই টাকা উপাসনা-ঘরের তহবিলে রাখা ঠিক নয়, কারণ এটা রক্তের দাম।”
7. পরে তাঁরা পরামর্শ করে সেই টাকা দিয়ে বিদেশীদের একটা কবরস্থানের জন্য কুমারের জমি কিনলেন।
8. সেইজন্য সেই জমিকে আজও ‘রক্তের জমি’ বলা হয়।
9. এতে নবী যিরমিয়ের মধ্য দিয়ে যে কথা বলা হয়েছিল তা পূর্ণ হল: “তারা ত্রিশটা রূপার টাকা নিল। এই টাকা তাঁর দাম। ইস্রায়েলীয়েরা তাঁর জন্য এই দাম ঠিক করেছিল।
10. প্রভু যেমন আমাকে আদেশ করেছিলেন সেইমতই তারা কুমারের জমির জন্য এই টাকাগুলো দিল।”
11. এদিকে যীশু তখন প্রধান শাসনকর্তা পীলাতের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। শাসনকর্তা তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমি কি যিহূদীদের রাজা?”যীশু উত্তর দিলেন, “আপনি ঠিকই বলছেন।”
12. প্রধান পুরোহিতেরা এবং বৃদ্ধ নেতারা যীশুকে অনেক দোষ দিলেন কিন্তু যীশু কোন উত্তর দিলেন না।
13. তখন পীলাত তাঁকে বললেন, “ওরা তোমাকে কত দোষ দিচ্ছে তা কি তুমি শুনতে পাচ্ছ না?” যীশু কিন্তু একটা কথারও উত্তর দিলেন না।
14. এতে সেই শাসনকর্তা খুব আশ্চর্য হয়ে গেলেন।
15. প্রত্যেক উদ্ধার-পর্বের সময় প্রধান শাসনকর্তা লোকদের পছন্দ করা একজন কয়েদীকে ছেড়ে দিতেন। এটাই ছিল তাঁর নিয়ম।
16. সেই সময় বারাব্বা নামে একজন কুখ্যাত কয়েদী ছিল।
17. লোকেরা একসংগে জড়ো হলে পর পীলাত তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমরা কি চাও? তোমাদের কাছে আমি কাকে ছেড়ে দেব, বারাব্বাকে, না যাকে মশীহ বলে সেই যীশুকে?”
18. পীলাত জানতেন, লোকেরা হিংসা করেই যীশুকে ধরিয়ে দিয়েছে।
19. পীলাত যখন বিচারের আসনে বসে ছিলেন তখন তাঁর স্ত্রী তাঁকে বলে পাঠালেন, “ঐ নির্দোষ লোকটিকে তুমি কিছু কোরো না, কারণ আজ স্বপ্নে আমি তাঁর দরুন অনেক কষ্ট পেয়েছি।”
20. কিন্তু প্রধান পুরোহিতেরা এবং বৃদ্ধ নেতারা লোকদের উস্কিয়ে দিলেন যেন তারা বারাব্বাকে চেয়ে নেয় এবং যীশুকে মেরে ফেলবার কথা বলে।
21. পরে প্রধান শাসনকর্তা লোকদের জিজ্ঞাসা করলেন, “এই দু’জনের মধ্যে আমি তোমাদের কাছে কাকে ছেড়ে দেব?”তারা বলল, “বারাব্বাকে।”
22. তখন পীলাত তাদের বললেন, “তাহলে যাকে মশীহ বলে সেই যীশুকে নিয়ে আমি কি করব?”তারা সবাই বলল, “ওকে ক্রুশে দেওয়া হোক।”
23. পীলাত বললেন, “কেন, সে কি দোষ করেছে?”এতে তারা আরও বেশী চেঁচিয়ে বলতে লাগল, “ওকে ক্রুশে দেওয়া হোক।”