3. তখন কয়েকজন ফরীশী যীশুকে পরীক্ষা করবার জন্য তাঁর কাছে এসে বললেন, “মোশির আইন-কানুন মতে যে কোন কারণে স্ত্রীকে ছেড়ে দেওয়া কি কারও পক্ষে উচিত?”
4. উত্তরে যীশু বললেন, “আপনারা কি পড়েন নি, সৃষ্টিকর্তা প্রথমে তাঁদের পুরুষ ও স্ত্রীলোক করে সৃষ্টি করেছিলেন আর বলেছিলেন,
5. ‘এইজন্যই মানুষ মা-বাবাকে ছেড়ে তার স্ত্রীর সংগে এক হয়ে থাকবে আর তারা দু’জন একদেহ হবে’?
6. এইজন্য তারা আর দুই নয়, কিন্তু একদেহ। তাই ঈশ্বর যা একসংগে যোগ করেছেন মানুষ তা আলাদা না করুক।”
7. তখন ফরীশীরা তাঁকে বললেন, “তাহলে মোশি কেন ত্যাগপত্র দিয়ে স্ত্রীকে ছেড়ে দিতে আদেশ করেছেন?”
8. যীশু তাদের বললেন, “আপনাদের মন কঠিন বলেই স্ত্রীকে ছেড়ে দিতে মোশি আপনাদের অনুমতি দিয়েছেন। কিন্তু প্রথম থেকে এই রকম ছিল না।
9. আমি আপনাদের বলছি, যে কেউ ব্যভিচারের দোষ ছাড়া অন্য কোন কারণে স্ত্রীকে ছেড়ে দিয়ে অন্যকে বিয়ে করে সে ব্যভিচার করে।”
10. তখন তাঁর শিষ্যেরা তাঁকে বললেন, “স্বামী-স্ত্রীর সম্বন্ধ যদি এই রকমেরই হয় তাহলে তো বিয়ে না করাই ভাল।”
11. যীশু তাঁদের বললেন, “সবাই এই কথা মেনে নিতে পারে না; কেবল যাদের সেই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে তারাই তা মেনে নিতে পারে।
12. কেউ কেউ খোজা হয়ে জন্মগ্রহণ করে, সেইজন্য তারা বিয়ে করে না। আর কাউকে কাউকে মানুষেই খোজা করে, সেইজন্য তারা বিয়ে করে না। আবার এমন কেউ কেউ আছে যারা স্বর্গ-রাজ্যের জন্য বিয়ে করবে না বলে মন স্থির করে। যে এই কথা মেনে নিতে পারে সে মেনে নিক।”
13. পরে লোকেরা ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের যীশুর কাছে নিয়ে আসল যেন তিনি তাদের মাথার উপর হাত রেখে প্রার্থনা করেন। কিন্তু শিষ্যেরা তাদের বকুনি দিতে লাগলেন।
14. তখন যীশু বললেন, “ছেলেমেয়েদের আমার কাছে আসতে দাও, বাধা দিয়ো না; কারণ স্বর্গ-রাজ্য এদের মত লোকদেরই।”