19. সেই রাজা আমাদের লোকদের ঠকাতেন এবং আমাদের পূর্বপুরুষদের উপর খুব অত্যাচার করতেন। এমন কি, তাঁদের যে সব শিশু জন্মগ্রহণ করত তারা যাতে মারা যায় সেইজন্য সেই শিশুদের বাইরে ফেলে রাখতে তাঁদের বাধ্য করতেন।
20. “সেই সময়ে মোশির জন্ম হল। তিনি দেখতে খুবই সুন্দর ছিলেন। তিন মাস পর্যন্ত তিনি তাঁর বাবার বাড়ীতেই লালিত-পালিত হলেন।
21. পরে যখন তাঁকে বাইরে ফেলে রাখা হল তখন ফরৌণের মেয়ে তাঁকে নিয়ে গিয়ে নিজের ছেলের মতই মানুষ করে তুললেন।
22. মোশি মিসরীয়দের সমস্ত শিক্ষায় শিক্ষিত হলেন, আর তিনি কথায় ও কাজে শক্তিশালী ছিলেন।
23. “মোশির বয়স যখন চল্লিশ বছর তখন তিনি তাঁর ইস্রায়েলীয় ভাইদের সংগে দেখা করতে চাইলেন।
24. একজন মিসরীয়কে একজন ইস্রায়েলীয়ের প্রতি খারাপ ব্যবহার করতে দেখে তিনি সেই ইস্রায়েলীয়কে সাহায্য করতে গেলেন এবং সেই মিসরীয়কে মেরে ফেলে তার শোধ নিলেন।
25. মোশি মনে করেছিলেন, তাঁর নিজের লোকেরা বুঝতে পারবে ঈশ্বর তাঁর দ্বারাই তাদের উদ্ধার করবেন, কিন্তু তারা তা বুঝতে পারল না।
26. পরের দিন মোশি দু’জন ইস্রায়েলীয়কে মারামারি করতে দেখলেন। তখন তিনি তাদের মিলন করাবার জন্য বললেন, ‘ওহে, তোমরা তো ভাই ভাই; তবে একে অন্যের সংগে কেন এমন খারাপ ব্যবহার করছ?’
27. “কিন্তু যে লোকটি খারাপ ব্যবহার করছিল সে মোশিকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দিয়ে বলল, ‘আমাদের উপরে কে তোমাকে শাসনকর্তা ও বিচারকর্তা করেছে?
28. গতকাল যেভাবে সেই মিসরীয়কে মেরে ফেলেছ, আমাকেও কি সেইভাবে মেরে ফেলতে চাও?’
29. এই কথা শুনে মোশি পালিয়ে গিয়ে মিদিয়ন দেশে বাস করতে লাগলেন। সেখানেই তাঁর দু’টি ছেলের জন্ম হল।
30. “তারপর চল্লিশ বছর পার হয়ে গেল। সিনাই পাহাড়ের কাছে যে মরু-এলাকা আছে সেখানে একটা জ্বলন্ত ঝোপের আগুনের মধ্যে একজন স্বর্গদূত মোশিকে দেখা দিলেন।
31. এ দেখে মোশি আশ্চর্য হয়ে গেলেন। ভাল করে দেখবার জন্য কাছে গেলে পর তিনি প্রভুর এই কথা শুনতে পেলেন,
32. ‘আমি তোমার পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর-অব্রাহাম, ইস্হাক ও যাকোবের ঈশ্বর।’ তখন মোশি ভয়ে কাঁপতে লাগলেন; তাকিয়ে দেখবার সাহস পর্যন্ত তাঁর হল না।