অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27
  28. 28

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

প্রেরিত্‌ 25 পবিত্র বাইবেল (SBCL)

প্রধান শাসনকর্তার সামনে পৌলের বিচার

1. সেই প্রদেশে আসবার তিন দিন পরে ফীষ্ট কৈসরিয়া থেকে যিরূশালেমে গেলেন।

2. তখন প্রধান পুরোহিতেরা ও যিহূদী নেতারা তাঁর কাছে গিয়ে পৌলের বিরুদ্ধে নালিশ জানালেন।

3. তাঁরা ফীষ্টকে বিশেষভাবে অনুরোধ করলেন যেন তিনি তাঁদের উপর দয়া করে পৌলকে যিরূশালেমে ডেকে পাঠান। এর কারণ এই যে, তাঁরা পথের মধ্যে লুকিয়ে থেকে পৌলকে খুন করবার ষড়যন্ত্র করছিলেন।

4. তখন ফীষ্ট বললেন, “পৌলকে কৈসরিয়াতে আটক রাখা হয়েছে এবং আমি নিজেই শিগ্‌গির সেখানে যাচ্ছি।

5. তোমাদের কয়েকজন ক্ষমতাশালী লোক আমার সংগে যাক এবং যদি সেই লোক কোন দোষ করে থাকে তবে তা দেখিয়ে দিক।”

6. ফীষ্ট তাঁদের মধ্যে আট-দশ দিন কাটিয়ে কৈসরিয়াতে ফিরে গেলেন। পরের দিন তিনি বিচার-সভায় বসে পৌলকে তাঁর সামনে আনবার হুকুম দিলেন।

7. যে যিহূদীরা যিরূশালেম থেকে এসেছিলেন পৌল সেখানে আসলে পর তাঁরা তাঁর চারদিকে দাঁড়িয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অনেক ভীষণ রকমের দোষ দিলেন, কিন্তু সেগুলোর কোন প্রমাণ দিতে পারলেন না।

8. তখন পৌল নিজের পক্ষে এই কথা বললেন, “আমি যিহূদীদের আইন- কানুন বা উপাসনা-ঘর কিম্বা রোম-সম্রাটের বিরুদ্ধে কোন অন্যায় করি নি।”

9. ফীষ্ট যিহূদীদের খুশী করবার জন্য পৌলকে বললেন, “এই সব দোষের বিচার আমি যেন যিরূশালেমে করতে পারি সেইজন্য তুমি কি সেখানে যেতে রাজী আছ?”

10. তখন পৌল বললেন, “আমি এখন রোমীয় বিচার-সভায় দাঁড়িয়ে আছি এবং রোমীয় সরকারের কাছেই আমার বিচার হওয়া উচিত। আপনি নিজে তো ভাল করেই জানেন যে, আমি যিহূদীদের উপর কোন অন্যায় করি নি।

11. যাহোক, যদি আমি মৃত্যুর উপযুক্ত কোন দোষ করে থাকি তবে মরতে আমি রাজী আছি। কিন্তু এই যিহূদীরা আমার বিরুদ্ধে যে দোষ দিচ্ছেন তা যদি সত্যি না হয় তবে এঁদের হাতে আমাকে ছেড়ে দেবার অধিকার কারও নেই। আমি সম্রাটের কাছে আপীল করছি।”

12. ফীষ্ট তাঁর পরামর্শদাতাদের সংগে পরামর্শ করে বললেন, “তুমি সম্রাটের কাছে যখন আপীল করেছ তখন সম্রাটের কাছেই যাবে।”

ফীষ্ট ও রাজা আগ্রীপ্প

13. এর কিছু দিন পরে যিহূদীদের রাজা আগ্রিপ্প ও তাঁর স্ত্রী বর্ণীকী ফীষ্টকে শুভেচ্ছা জানাবার জন্য কৈসরিয়াতে আসলেন।

14. তাঁরা অনেক দিন সেখানে ছিলেন বলে ফীষ্ট পৌলের বিষয় রাজাকে জানালেন। তিনি বললেন, “ফীলিক্স একজন লোককে এখানে বন্দী হিসাবে রেখে গেছেন।

15. আমি যখন যিরূশালেমে গিয়েছিলাম তখন প্রধান পুরোহিতেরা ও যিহূদী বৃদ্ধ নেতারা এই লোকের বিরুদ্ধে অনেক নালিশ জানিয়েছিল এবং দোষী হিসাবে একে শাস্তি দিতে বলেছিল।

16. “আমি তাদের বললাম, ‘কোন লোকের বিরুদ্ধে যদি কোন নালিশ করা হয় তবে যারা নালিশ করেছে তাদের সামনে নিজেকে নির্দোষ বলে প্রমাণ করবার সুযোগ না পাওয়া পর্যন্ত তাকে শাস্তি দেবার কথা রোমীয়দের চলতি নিয়মে নেই।’

17. “সেই যিহূদীরা আমার সংগে আসলে পর আমি দেরি না করে পরদিনই বিচার করতে বসলাম এবং সেই লোককে আনতে আদেশ করলাম।

18. যে লোকেরা তাকে দোষ দিচ্ছিল তারা যখন কথা বলবার জন্য উঠে দাঁড়াল তখন আমি যেমন ভেবেছিলাম সেই রকম কোন নালিশ তারা করল না,

19. বরং তাদের ধর্ম-মত এবং যীশু বলে একজন মৃত লোক সম্বন্ধে তাকে দোষী করল। পৌল নামে সেই লোকটা দাবি করে যে, সেই যীশু বেঁচে আছে।

20. এই সব ব্যাপারের খোঁজ কি করে নেব তা বুঝতে না পেরে আমি জিজ্ঞাসা করলাম, এই সব দোষের যেন বিচার করা যায় সেইজন্য সেই লোক যিরূশালেমে যেতে রাজী আছে কিনা।

21. কিন্তু সে যখন সম্রাটের রায়ের জন্য অপেক্ষা করতে আমার কাছে আপীল করল তখন সম্রাটের কাছে না পাঠানো পর্যন্ত তাকে পাহারা দিয়ে রাখতে আমি আদেশ দিয়েছি।”

22. তখন আগ্রিপ্প ফীষ্টকে বললেন, “আমি নিজে এই লোকের কথা শুনতে ইচ্ছা করি।”ফীষ্ট বললেন, “কালকে শুনতে পাবেন।”

আগ্রীপ্পের সামনে পৌল

23. পরদিন রাজা আগ্রিপ্প ও বর্ণীকী প্রধান সেনাপতিদের ও শহরের প্রধান প্রধান লোকদের নিয়ে মহা জাঁকজমকের সংগে সভা-ঘরের মধ্যে ঢুকলেন। ফীষ্টের আদেশে পৌলকে সেখানে আনা হল।

24. তখন ফীষ্ট বললেন, “রাজা আগ্রিপ্প এবং আর যাঁরা এখানে উপস্থিত আছেন, আপনারা এই লোকটাকে দেখছেন। সমস্ত যিহূদীরা যিরূশালেমে ও কৈসরিয়াতে আমার কাছে আপীল করেছে এবং চিৎকার করে বলেছে যে, এই লোকটার আর বেঁচে থাকা উচিত নয়।

25. কিন্তু আমি দেখলাম, মৃত্যুর শাস্তি দেবার মত কোন দোষ সে করে নি। তবে সে নিজেই যখন সম্রাটের কাছে আপীল করেছে তখন আমি তাকে সম্রাটের কাছে পাঠানোই ঠিক করলাম,

26. কিন্তু মহান সম্রাটের কাছে লিখবার মত এমন সঠিক কিছুই পেলাম না। সেইজন্য আমি আপনাদের সকলের সামনে, বিশেষ করে রাজা আগ্রিপ্প আপনার সামনে তাকে এনেছি যাতে তাকে জেরা করে কিছু অন্ততঃ আমি লিখতে পারি;

27. কারণ আমার মতে, কোন বন্দীকে চালান দেবার সময় তার দোষগুলোও জানানো উচিত।”