6. আর আমি সেই চারজন জীবন্ত প্রাণীদের মাঝখানে কাউকে বলতে শুনলাম, “একজন দিনমজুরের এক দিনের আয়ে মাত্র এক সের গম বা তিন সের যব পাওয়া যায়। তেল আর আংগুর-রস তুমি নষ্ট কোরো না।”
7. মেষ-শিশু যখন চতুর্থ সীলমোহর ভাংলেন তখন আমি চতুর্থ জীবন্ত প্রাণীকে বলতে শুনলাম, “এস।”
8. তখন আমি একটা ফ্যাকাশে রংয়ের ঘোড়া দেখতে পেলাম। যিনি সেই ঘোড়ার উপরে বসে ছিলেন তাঁর নাম মৃত্যু; আর মৃতস্থানটি ঠিক তাঁর পিছনে পিছনে চলছিল। পৃথিবীর চার ভাগের এক ভাগের উপরে তাঁদের ক্ষমতা দেওয়া হল, যেন তাঁরা ছোরা, দুর্ভিক্ষ, মৃত্যু ও পৃথিবীর বুনো জন্তু দিয়ে লোকদের মেরে ফেলেন।
9. যখন তিনি পঞ্চম সীলমোহর ভাংলেন তখন আমি একটা বেদীর নীচে এমন সব লোকের আত্মা দেখতে পেলাম যাদের ঈশ্বরের বাক্যের জন্য এবং সাক্ষ্য দেবার জন্য মেরে ফেলা হয়েছিল।
10. তারা জোরে চিৎকার করে বলল, “হে পবিত্র ও সত্যময় প্রভু, যারা এই পৃথিবীর, তাদের বিচার করতে ও তাদের উপর আমাদের রক্তের শোধ নিতে তুমি আর কত দেরি করবে?”
11. তখন তাদের প্রত্যেককে একটা করে সাদা পোশাক দেওয়া হল আর বলা হল, তাদের সহদাস ও ভাইদের, যাদের তাদেরই মত করে মেরে ফেলা হবে তাদের সংখ্যা পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তারা যেন আরও কিছুকাল অপেক্ষা করে।
12. তারপর আমি দেখলাম, তিনি যখন ষষ্ঠ সীলমোহর ভাংলেন তখন ভীষণ ভূমিকম্প হল। সূর্য একেবারে কালো হয়ে গেল আর গোটা চাঁদটাই রক্তের মত লাল হয়ে উঠল।
13. জোর বাতাস বইলে যেমন ডুমুর গাছ থেকে ডুমুর অসময়ে পড়ে যায় ঠিক তেমনি করে আকাশের তারাগুলো পৃথিবীর উপর খসে পড়ল।
14. গুটিয়ে রাখা কাগজের মতই আকাশ গুটিয়ে গেল; আর প্রত্যেকটা পাহাড় ও দ্বীপ নিজের নিজের জায়গা থেকে সরে গেল।
15. পৃথিবীর সমস্ত রাজা ও প্রধান লোক, সেনাপতি, ধনী ও শক্তিশালী লোক এবং প্রত্যেক দাস ও স্বাধীন লোক পাহাড়ের গুহায় গুহায় এবং পাথরের আড়ালে আড়ালে নিজেদের লুকিয়ে ফেলল।
16. তারা পাহাড় ও পাথরগুলোকে বলল, “আমাদের উপরে পড় এবং যিনি সেই সিংহাসনে বসে আছেন তাঁর মুখের সামনে থেকে এবং মেষ-শিশুর ক্রোধ থেকে আমাদের লুকিয়ে রাখ,
17. কারণ তাঁদের ক্রোধ প্রকাশের সেই মহান দিন এসে পড়েছে, আর কে তার সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে?”