ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

২ শমূয়েল 18:8-25 পবিত্র বাইবেল (SBCL)

8. যুদ্ধটা সমস্ত এলাকায় ছড়িয়ে পড়ল এবং যুদ্ধে যত না লোক মরল তার চেয়ে বেশী মরল বনের জন্য।

9. অবশালোম হঠাৎ দায়ূদের লোকদের সামনে পড়ল। সে তখন তার খচ্চরে চড়ে যাচ্ছিল। খচ্চরটা বড় একটা এলোন গাছের ঘন ডালপালার তলা দিয়ে যাবার সময় অবশালোমের মাথাটা গাছে আটকে গেল। যে খচ্চরের উপর সে চড়ে যাচ্ছিল সেটা চলে গেল আর সে শূন্যে ঝুলে রইল।

10. একজন লোক তা দেখে যোয়াবকে গিয়ে বলল, “আমি এক্ষুনি দেখলাম অবশালোম একটা এলোন গাছে ঝুলে রয়েছেন।”

11. যোয়াব সেই লোকটিকে বললেন, “কি বললে? তুমি তাকে দেখেছ? তুমি সেখানেই তাকে আঘাত করে মাটিতে ফেলে দিলে না কেন? তা করলে আমি তো তোমাকে দশ শেখেল রূপা আর যোদ্ধার একটা কোমর-বাঁধনি দিতাম।”

12. লোকটি উত্তরে বলল, “আমার হাতে এক হাজার শেখেল রূপা মেপে দিলেও আমি রাজার ছেলের গায়ে হাত তুলতাম না। আমরা শুনেছি রাজা আপনাকে, অবীশয়কে ও ইত্তয়কে এই আদেশ দিয়েছেন, ‘তোমরা সেই যুবক অবশালোমকে রক্ষা কোরো।’

13. আমি যদি তাঁর প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করতাম তাহলে রাজা নিশ্চয়ই জানতে পারতেন, কারণ রাজার কাছে তো কিছুই লুকানো থাকে না, আর তখন আপনিও আমার পক্ষে থাকতেন না।”

14. যোয়াব বললেন, “আমি তোমার সংগে এইভাবে সময় নষ্ট করতে পারি না।” এই বলে তিনি তিনটা ধারালো খোঁচা হাতে নিয়ে অবশালোমের বুকে বিঁধিয়ে দিলেন। তখনও অবশালোম এলোন গাছের মধ্যে জীবিত ছিল।

15. যোয়াবের দশজন অস্ত্র বহনকারী অবশালোমকে ঘিরে ফেলল এবং তাকে আঘাত করে মেরে ফেলল।

16. তারপর যোয়াব তূরী বাজালেন। তখন সৈন্যেরা ইস্রায়েলীয়দের তাড়া করা বন্ধ করল, কারণ যোয়াব তাদের থামিয়ে দিয়েছিলেন।

17. তারা অবশালোমকে নিয়ে বনের মধ্যে একটা বড় গর্তে ছুঁড়ে ফেলে দিল এবং তাঁর উপর পাথর জড়ো করে একটা বড় ঢিবি বানিয়ে রাখল। এর মধ্যে ইস্রায়েলীয়েরা সবাই নিজের নিজের বাড়ীতে পালিয়ে গেল।

18. অবশালোম যখন জীবিত ছিল তখন সে তার নিজের জন্য একটা থাম এনে রাজার উপত্যকায় স্থাপন করেছিল। সে বলেছিল, “আমার নাম রক্ষার জন্য আমার কোন ছেলে নেই।” তাই সে তার নিজের নামেই থামটার নাম দিয়েছিল। আজও সেই থামটাকে অবশালোমের থাম বলা হয়।

19. পরে সাদোকের ছেলে অহীমাস বলল, “আমি দৌড়ে গিয়ে রাজাকে এই সংবাদ দিই যে, সদাপ্রভু তাঁকে শত্রুদের হাত থেকে উদ্ধার করেছেন।”

20. যোয়াব তাকে বললেন, “আজকে তুমি খবর নিয়ে যাবে না, অন্য দিন তা কোরো। রাজার ছেলে মারা গেছে, কাজেই আজকে তুমি সেই কাজ করতে পারবে না।”

21. এর পর যোয়াব একজন কূশীয়কে বললেন, “তুমি যা দেখেছ তা গিয়ে রাজাকে বল।” এই কথা শুনে সেই কূশীয় যোয়াবকে প্রণাম করে দৌড়ে চলে গেল।

22. সাদোকের ছেলে অহীমাস আবার যোয়াবকে বলল, “যা হয় হোক, আমাকে এই কূশীয়ের পিছনে পিছনে ছুটে যেতে দিন।”উত্তরে যোয়াব বললেন, “কেন তুমি যেতে চাইছ বাবা? পুরস্কার পাবার মত কোন খবরই তো তোমার নেই।”

23. অহীমাস বলল, “যা হয় হোক, আমি দৌড়ে যেতে চাই।”কাজেই যোয়াব বললেন, “আচ্ছা, যাও।” তখন অহীমাস সমভূমির উপর দিয়ে দৌড়াতে দৌড়াতে সেই কূশীয়কে পিছনে ফেলে গেল।

24. সেই সময় দায়ূদ শহরের ভিতরের ও বাইরের ফটকের মাঝামাঝি জায়গায় বসে ছিলেন। তাঁর পাহারাদার দেয়াল বেয়ে ফটকের ছাদের উপর উঠল। সে বাইরের দিকে তাকাতেই দেখতে পেল একজন লোক একা দৌড়ে আসছে।

25. পাহারাদার রাজাকে জোরে ডেকে সেই কথা জানাল। রাজা বললেন, “যদি সে একাই হয় তবে সে ভাল খবরই নিয়ে আসছে।” লোকটা কাছাকাছি এসে পড়ল।

সম্পূর্ণ অধ্যায় পড়ুন ২ শমূয়েল 18