ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

২ রাজাবলি 4:15-32 পবিত্র বাইবেল (SBCL)

15. পরে ইলীশায় বললেন, “তাঁকে ডাক।” সে তাঁকে ডাকলে পর তিনি এসে দরজার কাছে দাঁড়ালেন।

16. ইলীশায় বললেন, “আগামী বছরের এই সময়ে আপনার কোলে একটা ছেলে থাকবে।”স্ত্রীলোকটি বললেন, “না, হে আমার প্রভু, হে ঈশ্বরের লোক, আপনার দাসীকে মিথ্যা আশা দেবেন না।”

17. পরে স্ত্রীলোকটি গর্ভবতী হলেন এবং ইলীশায় যেমন বলেছিলেন ঠিক সেইমতই পরের বছর একই সময়ে তিনি ছেলের মা হলেন।

18-19. ছেলেটি বড় হতে লাগল। একদিন তার বাবা যখন ফসল কাটবার লোকদের সংগে ছিলেন, তখন সে তার বাবার কাছে গিয়ে বলল, “আমার মাথা, আমার মাথা।”তার বাবা একজন চাকরকে বললেন, “ওকে তুলে ওর মায়ের কাছে নিয়ে যাও।”

20. সেই চাকর তাকে তুলে নিয়ে তার মায়ের কাছে দিলে পর সে দুপুর পর্যন্ত মায়ের কোলে বসে রইল, তারপর মারা গেল।

21. স্ত্রীলোকটি উপরে গিয়ে ছেলেটাকে ঈশ্বরের লোকের বিছানায় শুইয়ে দিলেন। তারপর তিনি দরজা বন্ধ করে বের হয়ে গেলেন।

22. তিনি গিয়ে তাঁর স্বামীকে ডেকে বললেন, “তুমি এখনই একজন চাকর ও একটা গাধা আমার কাছে পাঠিয়ে দাও। আমি তাড়াতাড়ি করে ঈশ্বরের লোকের কাছে গিয়ে আবার ফিরে আসব।”

23. তাঁর স্বামী বললেন, “তাঁর কাছে আজকে যাবে কেন? আজকে তো অমাবস্যাও নয়, বিশ্রামবারও নয়।”তিনি বললেন, “তাতে ভাল হবে।”

24. তারপর তিনি গাধার উপর গদি চাপিয়ে তাঁর চাকরকে বললেন, “গাধাটা জোরে চালাও, আমি না বললে আস্তে চালাবে না।”

25. এইভাবে তিনি বের হয়ে পড়লেন এবং কর্মিল পাহাড়ে ঈশ্বরের লোকের কাছে গিয়ে উপস্থিত হলেন।স্ত্রীলোকটি দূরে থাকতেই ঈশ্বরের লোক তাঁকে দেখে তাঁর চাকর গেহসিকে বললেন, “ঐ দেখ, সেই শূনেমীয় স্ত্রীলোকটি।

26. তুমি দৌড়ে তাঁর কাছে গিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসা কর যে, তিনি, তাঁর স্বামী ও তাঁর ছেলেটি ভাল আছে কি না।”স্ত্রীলোকটি বললেন, “সবাই ভাল আছে।”

27. কিন্তু কর্মিল পাহাড়ে ঈশ্বরের লোকের কাছে পৌঁছে তিনি তাঁর পা জড়িয়ে ধরলেন। গেহসি তাঁকে সরিয়ে দেবার জন্য আসলে ঈশ্বরের লোক বললেন, “ওঁকে বাধা দিয়ো না। ওঁর মনে খুব কষ্ট, কিন্তু সদাপ্রভু আমার কাছ থেকে তা লুকিয়ে রেখেছেন, আমাকে বলেন নি।”

28. স্ত্রীলোকটি বললেন, “হে আমার প্রভু, আমি কি আপনার কাছে একটা ছেলে চেয়েছিলাম? আমি কি আপনাকে বলি নি যে, আমাকে আপনি মিথ্যা আশা দেবেন না?”

29. তখন ইলীশায় গেহসিকে বললেন, “তোমার কাপড় তোমার কোমর-বাঁধনিতে গুঁজে নাও আর আমার লাঠিটা হাতে নিয়ে ছুটে যাও। কারও সংগে দেখা হলে তাকে শুভেচ্ছা জানাবে না এবং কেউ তোমাকে শুভেচ্ছা জানালে তার উত্তরও দেবে না। আমার লাঠিটা ছেলেটির মুখের উপর রেখে দিয়ো।”

30. কিন্তু ছেলেটির মা বললেন, “জীবন্ত সদাপ্রভুর ও আপনার প্রাণের দিব্য যে, আমি আপনাকে ছেড়ে যাব না।” কাজেই ইলীশায় উঠে স্ত্রীলোকটির পিছনে পিছনে চললেন।

31. গেহসি আগে আগে গিয়ে ছেলেটির মুখের উপর লাঠিটা রাখল কিন্তু কোন শব্দ বা কোন সাড়া পাওয়া গেল না। কাজেই গেহসি ইলীশায়ের সংগে দেখা করবার জন্য ফিরে গেল এবং তাঁকে বলল, “ছেলেটি জাগে নি।”

32. ইলীশায় ঘরে গিয়ে দেখলেন তাঁরই বিছানার উপর মরা ছেলেটি শোয়ানো রয়েছে।

সম্পূর্ণ অধ্যায় পড়ুন ২ রাজাবলি 4