1. এলার ছেলে ইস্রায়েলের রাজা হোশেয়ের রাজত্বের তৃতীয় বছরে যিহূদার রাজা আহসের ছেলে হিষ্কিয় রাজত্ব করতে শুরু করলেন।
2. তিনি পঁচিশ বছর বয়সে রাজা হয়েছিলেন এবং ঊনত্রিশ বছর যিরূশালেমে রাজত্ব করেছিলেন। তাঁর মায়ের নাম ছিল অবী তিনি ছিলেন সখরিয়ের মেয়ে।
3. হিষ্কিয় তাঁর পূর্বপুরুষ দায়ূদের মতই সদাপ্রভুর চোখে যা ভাল তা-ই করতেন।
4. তিনি পূজার উঁচু স্থানগুলো ধ্বংস করলেন, পুজার পাথরগুলো চুরমার করলেন এবং আশেরা-খুঁটিগুলো কেটে ফেললেন। মোশির তৈরী ব্রোঞ্জের সাপটা তিনি ভেংগে টুকরা টুকরা করলেন, কারণ ইস্রায়েলীয়েরা সেই সময় পর্যন্ত সেই সাপের উদ্দেশে ধূপ জ্বালাচ্ছিল। ব্রোঞ্জের সাপটার নাম ছিল নহুষ্টন।
5. হিষ্কিয় ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উপর নির্ভর করতেন। তাঁর আগে বা পরে যিহূদার রাজাদের মধ্যে তাঁর মত আর কেউ ছিলেন না।
6. সদাপ্রভুকে তিনি আঁকড়ে ধরে রেখেছিলেন এবং সব সময় তাঁর পথেই চলতেন। সদাপ্রভু মোশিকে যে সব আদেশ দিয়েছিলেন তা তিনি পালন করতেন।
7. সদাপ্রভু তাঁর সংগে সংগে থাকতেন। তিনি যে কোন কাজ করতেন তাতে সফল হতেন। আসিরিয়ার রাজার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে তিনি তাঁর অধীনতা অস্বীকার করলেন।
8. গাজা ও তার সব এলাকার মধ্যে যে সব জায়গায় পলেষ্টীয়েরা বাস করত তিনি তাদের আক্রমণ করে হারিয়ে দিলেন।
9. রাজা হিষ্কিয়ের রাজত্বের চতুর্থ বছরে, অর্থাৎ এলার ছেলে ইস্রায়েলের রাজা হোশেয়ের রাজত্বের সপ্তম বছরে আসিরিয়ার রাজা শল্মনেষর শমরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে এসে শহরটা ঘেরাও করে রাখলেন।
10. তিন বছর ঘেরাও করে রাখবার পর হিষ্কিয়ের রাজত্বের ষষ্ঠ বছরে আর ইস্রায়েলের রাজা হোশেয়ের রাজত্বের নবম বছরে আসিরিয়েরা শমরিয়া দখল করে নিল।