অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

২ রাজাবলি 11 পবিত্র বাইবেল (SBCL)

অথলিয়া ও যোয়াশ

1. যিহূদার রাজা অহসিয়ের মা অথলিয়া যখন দেখলেন যে, তাঁর ছেলে মারা গেছে তখন তিনি গোটা রাজবংশকে ধ্বংস করলেন।

2. কিন্তু সব রাজপুত্রদের মেরে ফেলবার আগে রাজা যিহোরামের মেয়ে অহসিয়ের বোন যিহোশেবা অহসিয়ের ছেলে যোয়াশকে রাজপুত্রদের মধ্য থেকে চুরি করে নিয়ে আসলেন। অথলিয়ার কাছ থেকে লুকিয়ে রাখবার জন্য যিহোশেবা যোয়াশ ও তাঁর ধাইমাকে একটা শোবার ঘরে রাখলেন। কাজেই যোয়াশ মারা পড়লেন না।

3. তিনি তাঁর ধাইমার সংগে ছয় বছর সদাপ্রভুর ঘরে লুকানো অবস্থায় ছিলেন; তখন দেশে অথলিয়া রাজত্ব করছিলেন।

4. সপ্তম বছরে পুরোহিত যিহোয়াদা রক্ষীদলের শত-সেনাপতিদের ও পাহারাদারদের শত-সেনাপতিদের ডেকে পাঠালেন এবং সদাপ্রভুর ঘরে তাঁদের নিজের কাছে আনালেন। তিনি তাঁদের সংগে একটা চুক্তি করলেন এবং সদাপ্রভুর ঘরে তাঁদের দিয়ে একটা শপথ করিয়ে নিয়ে তারপর রাজার ছেলেকে তাঁদের দেখালেন।

5. তারপর তিনি তাঁদের আদেশ দিয়ে বললেন, “আপনাদের যা করতে হবে তা এই: আপনারা যাঁরা বিশ্রামবারে কাজ করতে যাবেন, আপনাদের তিন ভাগের এক ভাগ রাজবাড়ী পাহারা দেবেন,

6. এক ভাগ সূর-ফটকে থাকবেন আর এক ভাগ পাহারাদারদের পিছনের ফটকে থাকবেন। এইভাবে আপনারা উপাসনা-ঘরটি পাহারা দেবেন।

7. আপনাদের অন্য দু’টা দল যাঁরা বিশ্রামবারে ছুটি পাবেন তাঁরা সবাই উপাসনা-ঘরে রাজাকে পাহারা দেবেন।

8. আপনাদের প্রত্যেককে নিজের নিজের অস্ত্র হাতে নিয়ে রাজার চারপাশ ঘিরে থাকতে হবে। যে কেউ আপনাদের কাছে আসবে তাকে মেরে ফেলতে হবে। রাজা যেখানেই যান না কেন আপনারা তাঁর কাছে কাছে থাকবেন।”

9. পুরোহিত যিহোয়াদা শত-সেনাপতিদের যা আদেশ করলেন তাঁরা তা-ই করলেন। সেনাপতিরা প্রত্যেকে নিজের নিজের লোকদের নিয়ে, অর্থাৎ যারা বিশ্রামবারে কাজের পালা বদল করতে আসছিল এবং যারা কাজ থেকে ফিরছিল তাদের নিয়ে পুরোহিত যিহোয়াদার কাছে আসলেন।

10. যিহোয়াদা তখন রাজা দায়ূদের যে সব বর্শা ও ঢাল সদাপ্রভুর ঘরে ছিল সেগুলো নিয়ে সেনাপতিদের হাতে দিলেন।

11. রাজাকে রক্ষা করবার জন্য পাহারাদারেরা প্রত্যেকে অস্ত্র হাতে উপাসনা-ঘরের সামনে বেদীর কাছে দক্ষিণ দিক থেকে উত্তর দিক পর্যন্ত দাঁড়াল।

12. তখন যিহোয়াদা রাজার ছেলেকে বের করে এনে তাঁর মাথায় মুকুট পরিয়ে দিয়ে তাঁর হাতে ব্যবস্থার বইখানা দিলেন। তাঁরা তাঁকে রাজা হিসাবে অভিষেক করলেন এবং লোকেরা হাততালি দিয়ে চিৎকার করে বলল, “রাজা চিরজীবী হোন।”

13. পাহারাদার ও লোকদের এই চিৎকার শুনে অথলিয়া সদাপ্রভুর ঘরে লোকদের কাছে গেলেন।

14. তিনি চেয়ে দেখলেন নিয়ম অনুসারে রাজা থামের পাশে দাঁড়িয়ে আছেন। সেনাপতিরা ও তূরী বাদকেরা রাজার পাশে রয়েছে এবং দেশের সব লোক আনন্দ করছে ও তূরী বাজাচ্ছে। এ দেখে অথলিয়া তাঁর পোশাক ছিঁড়ে চিৎকার করে বললেন, “এ তো বিশ্বাসঘাতকতা! বিশ্বাসঘাতকতা!”

15. তখন পুরোহিত যিহোয়াদা যাদের উপর সৈন্যদলের ভার ছিল সেই শত-সেনাপতিদের এই আদেশ দিলেন, “ওঁকে সৈন্যদের সারির মাঝখানে রেখে এখান থেকে বের করে নিয়ে যান। যে ওঁর পিছনে পিছনে আসবে তাকে মেরে ফেলবেন।” এর আগে তিনি আদেশ দিয়েছিলেন যে, সদাপ্রভুর ঘরের মধ্যে অথলিয়াকে মেরে ফেলা উচিত হবে না।

16. কাজেই অথলিয়াকে ধরা হল এবং ঘোড়া যেখান দিয়ে রাজবাড়ীর মাঠে ঢোকে তাঁকে সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর মেরে ফেলা হল।

17. যিহোয়াদা তারপর সদাপ্রভু এবং রাজা ও লোকদের মধ্যে এই চুক্তি করলেন যে, তারা সদাপ্রভুর লোক হিসাবে চলবে। তিনি রাজা ও লোকদের মধ্যেও একটা চুক্তি করলেন।

18. তারপর দেশের সব লোক বাল দেবতার মন্দিরে গিয়ে সেটা ভেংগে ফেলল। তারা সেখানকার বেদী ও মূর্তিগুলো ভেংগে টুকরা টুকরা করে ফেলল আর বাল দেবতার পুরোহিত মত্তনকে বেদীগুলোর সামনে মেরে ফেলল।পরে পুরোহিত যিহোয়াদা সদাপ্রভুর ঘরে পাহারাদার নিযুক্ত করলেন।

19. তারপর তিনি শত-সেনাপতিদের, রক্ষীদের, বাকী পাহারাদারদের এবং দেশের সব লোকদের সংগে নিয়ে সদাপ্রভুর ঘর থেকে রাজাকে বের করে আনলেন। তাঁরা পাহারদারদের ফটকের মধ্য দিয়ে ঢুকে রাজবাড়ীতে গেলেন এবং রাজাকে রাজ-সিংহাসনে বসালেন।

20. এতে দেশের সব লোক আনন্দ করল এবং শহরটা শান্ত হল। অথলিয়াকে রাজবাড়ীতে মেরে ফেলা হয়েছিল।

21. যোয়াশ যখন রাজত্ব করতে শুরু করলেন তখন তাঁর বয়স ছিল সাত বছর।