ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

২ বংশাবলি 31:1-11 পবিত্র বাইবেল (SBCL)

1. পর্বের সব কিছু শেষ হবার পরে সেখানে উপস্থিত ইস্রায়েলীয়েরা বের হয়ে যিহূদার শহরগুলোতে গিয়ে পূজার পাথরগুলো, আশেরা-খুঁটিগুলো, পূজার উঁচু স্থান ও বেদীগুলো একেবারে ধ্বংস করে দিল। তারা যিহূদা, বিন্যামীন, ইফ্রয়িম ও মনঃশি-গোষ্ঠীর সমস্ত এলাকায় একই কাজ করল। এই সব ধ্বংস করবার পর ইস্রায়েলীয়েরা গ্রামে ও শহরে নিজের নিজের জায়গায় ফিরে গেল।

2. পোড়ানো-উৎসর্গ ও যোগাযোগ-উৎসর্গের অনুষ্ঠান করবার জন্য, সেবা-কাজের জন্য এবং ঈশ্বরের ঘরে ধন্যবাদ ও প্রশংসা-গান করবার জন্য হিষ্কিয় পুরোহিত ও লেবীয়দের প্রত্যেকের কাজ অনুসারে তাদের বিভিন্ন দলকে নিযুক্ত করলেন।

3. সদাপ্রভুর আইন-কানুনে যেমন লেখা আছে সেইমত সকাল ও সন্ধ্যার পোড়ানো-উৎসর্গের জন্য এবং বিশ্রামবার, অমাবস্যা এবং নির্দিষ্ট পর্বের সময়কার পোড়ানো-উৎসর্গের জন্য রাজা তাঁর নিজের সম্পত্তি থেকে দান করলেন।

4. পুরোহিত ও লেবীয়েরা যাতে সদাপ্রভুর আইন-কানুন পালন করবার ব্যাপারে নিজেদের সম্পূর্ণভাবে ব্যস্ত রাখতে পারেন সেইজন্য তাঁদের পাওনা অংশ দিতে তিনি যিরূশালেমে বাসকারী লোকদের আদেশ দিলেন।

5. এই আদেশ বের হবার সংগে সংগে ইস্রায়েলীয়েরা তাদের ফসল, নতুন আংগুর-রস, তেল ও মধুর প্রথম অংশ এবং ক্ষেতে আর যা কিছু জন্মায় তারও প্রথম অংশ প্রচুর পরিমাণে দান করল। এছাড়া তারা সব কিছুর দশ ভাগের একভাগ আনল এবং তা পরিমাণে অনেক হল।

6. ইস্রায়েল ও যিহূদার যে সব লোক যিহূদার গ্রাম ও শহরগুলোতে বাস করত তারাও তাদের গরু, ভেড়া ও ছাগলের পালের দশ ভাগের এক ভাগ আনল এবং তাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আলাদা করে রাখা জিনিসের দশ ভাগের একভাগ এনে কতগুলো স্তূপ করল।

7. তৃতীয় মাসে এই কাজ শুরু করে তারা সপ্তম মাসে শেষ করল।

8. হিষ্কিয় ও তাঁর কর্মচারীরা এসে সেই স্তূপগুলো দেখে সদাপ্রভুর গৌরব করলেন এবং তাঁর লোক ইস্রায়েলীয়দের প্রশংসা করলেন।

9. হিষ্কিয় সেই স্তূপগুলোর কথা পুরোহিত ও লেবীয়দের জিজ্ঞাসা করলেন।

10. এতে সাদোকের বংশের অসরিয় নামে প্রধান পুরোহিত উত্তরে বললেন, “সদাপ্রভুর ঘরে লোকেরা যখন তাদের দান আনতে শুরু করল তখন থেকে আমাদের খাবারও যেমন যথেষ্ট হয়েছে তেমনি বাড়তিও রয়েছে প্রচুর, কারণ সদাপ্রভু তাঁর লোকদের আশীর্বাদ করেছেন, আর এই সমস্ত জিনিস অনেক বেঁচে গেছে।”

11. তখন হিষ্কিয় সদাপ্রভুর ঘরে কতগুলো ভাণ্ডার-ঘর তৈরী করবার আদেশ দিলেন আর সেগুলো তৈরী করা হল।

সম্পূর্ণ অধ্যায় পড়ুন ২ বংশাবলি 31