ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

২ বংশাবলি 28:1-18 পবিত্র বাইবেল (SBCL)

1. আহস বিশ বছর বয়সে রাজা হয়েছিলেন এবং যিরূশালেমে ষোল বছর রাজত্ব করেছিলেন। তাঁর পূর্বপুরুষ দায়ূদ যেমন সদাপ্রভুর চোখে যা ভাল তা করতেন তিনি তেমন করতেন না।

2. তিনি ইস্রায়েলের রাজাদের মতই চলতেন এবং বাল দেবতার পূজা করবার জন্য তিনি ছাঁচে ঢেলে প্রতিমা তৈরী করিয়েছিলেন।

3. তিনি বিন্‌-হিন্নোম উপত্যকাতে ধূপ জ্বালাতেন এবং সদাপ্রভু যে সব জাতিকে ইস্রায়েলীয়দের সামনে থেকে দূর করে দিয়েছিলেন তাদের জঘন্য কাজের মতই তিনিও তাঁর ছেলেদের আগুনে পুড়িয়ে উৎসর্গ করলেন।

4. তিনি পূজার উঁচু স্থানগুলোতে, পাহাড়ের উপরে ও প্রত্যেকটি ডালপালা ছড়ানো সবুজ গাছের নীচে পশু উৎসর্গ করতেন ও ধূপ জ্বালাতেন।

5. সেইজন্যই তাঁর ঈশ্বর সদাপ্রভু তাঁকে অরামের রাজার হাতে তুলে দিলেন। অরামীয়েরা তাঁকে হারিয়ে দিল এবং তাঁর অনেক লোককে বন্দী করে দামেস্কে নিয়ে গেল। তাঁকেও ইস্রায়েলের রাজা পেকহের হাতে তুলে দেওয়া হল। ইস্রায়েলের রাজা তাঁর অনেক লোককে মেরে ফেললেন।

6. রমলিয়ের ছেলে পেকহ একদিনের মধ্যে যিহূদায় এক লক্ষ বিশ হাজার সৈন্যকে মেরে ফেললেন, কারণ যিহূদার লোকেরা তাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে ত্যাগ করেছিল।

7. সিখ্রি নামে একজন ইফ্রয়িমীয় যোদ্ধা রাজার ছেলে মাসেয়কে ও রাজবাড়ীর ভার-পাওয়া কর্মচারী অস্রীকামকে এবং রাজার পরে দ্বিতীয় স্থানে যিনি ছিলেন সেই ইল্কানাকে মেরে ফেলল।

8. ইস্রায়েলীয়েরা তাদের জাতি-ভাইদের মধ্য থেকে স্ত্রীলোক ও ছেলেমেয়েদের বন্দী করে নিয়ে গেল। তাদের সংখ্যা ছিল দুই লক্ষ। তারা অনেক জিনিসও লুট করে শমরিয়াতে নিয়ে গেল।

9. ওদেদ নামে সদাপ্রভুর একজন নবী শমরিয়াতে ছিলেন। সৈন্যদল যখন শমরিয়াতে ফিরে আসছিল তখন তিনি তাদের সংগে দেখা করে বললেন, “আপনাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভু যিহূদার উপর ভীষণ অসন্তুষ্ট হয়েছেন বলে তিনি তাদের আপনাদের হাতে তুলে দিয়েছেন। কিন্তু রাগের চোটে আপনারা তাদের যেভাবে মেরে ফেলেছেন সেই কথা স্বর্গ পর্যন্ত পৌঁছেছে।

10. আর এখন আপনারা যিহূদা ও যিরূশালেমের লোকদের আপনাদের দাস-দাসী করতে চাইছেন। কিন্তু আপনাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে কি আপনারাও দোষী নন?

11. এখন আপনারা আমার কথা শুনুন। আপনাদের জাতি-ভাইদের মধ্য থেকে যাদের আপনারা বন্দী করে নিয়ে এসেছেন তাদের আপনারা ফেরত পাঠিয়ে দিন, কারণ সদাপ্রভুর ভয়ংকর ক্রোধ আপনাদের উপরে রয়েছে।”

12. তখন যুদ্ধ থেকে যারা ফিরে আসছিল ইফ্রয়িমের কয়েকজন নেতা তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়ালেন। সেই নেতারা হলেন যিহোহাননের ছেলে অসরিয়, মশিল্লেমোতের ছেলে বেরিখিয়, শল্লুমের ছেলে যিহিষ্কিয় ও হদ্‌লয়ের ছেলে অমাসা।

13. তাঁরা বললেন, “ঐ বন্দীদের তোমরা এখানে আনবে না; আনলে আমরা সদাপ্রভুর কাছে দোষী হব। আমাদের পাপ ও দোষের সংগে কি তোমরা আরও কিছু যোগ দিতে চাও? আমরা তো ভীষণভাবে দোষী হয়েই রয়েছি আর সদাপ্রভুর ভয়ংকর ক্রোধ ইস্রায়েলের উপর রয়েছে।”

14. তখন সৈন্যেরা সেই নেতাদের ও সমস্ত লোকদের সামনে সেই বন্দীদের ও লুটের জিনিসগুলো রাখল।

15. সেই নেতারা তখন লুটের জিনিস থেকে কাপড়-চোপড় নিয়ে বন্দীদের মধ্যে যারা উলংগ ছিল তাদের সবাইকে কাপড় পরালেন। তাঁরা তাদের কাপড়-চোপড়, জুতা ও খাবার-দাবার দিলেন এবং তাদের আঘাতের উপর তেল ঢেলে দিলেন। দুর্বলদের তাঁরা গাধার উপর চড়িয়ে যিরীহোতে, অর্থাৎ খেজুর-শহরে তাদের নিজের লোকদের কাছে ফিরিয়ে নিয়ে গেলেন। পরে তাঁরা শমরিয়াতে ফিরে আসলেন।

16. সেই সময় রাজা আহস সাহায্য চাইবার জন্য আসিরিয়ার রাজার কাছে লোক পাঠালেন।

17. এর কারণ হল, ইদোমীয়েরা আবার এসে যিহূদা আক্রমণ করে লোকদের বন্দী করে নিয়ে গিয়েছিল।

18. এদিকে আবার পলেষ্টীয়েরা তখন নীচু পাহাড়ী এলাকার গ্রামগুলোতে এবং যিহূদার নেগেভে হানা দিয়েছিল। তারা বৈৎ-শেমশ, অয়ালোন, গদেরোৎ এবং আশেপাশের জায়গা সুদ্ধ সোখো, তিম্না ও গিম্‌সো অধিকার করে নিয়ে সেখানে বাস করছিল।

সম্পূর্ণ অধ্যায় পড়ুন ২ বংশাবলি 28