41. ইস্রায়েলের রাজা আহাবের রাজত্বের চার বছরের সময় আসার ছেলে যিহোশাফট যিহূদা দেশের রাজা হয়েছিলেন।
42. যিহোশাফট পঁয়ত্রিশ বছর বয়সে রাজা হয়েছিলেন এবং পঁচিশ বছর যিরূশালেমে রাজত্ব করেছিলেন। তাঁর মা ছিলেন শিল্হির মেয়ে অসূবা।
43. যিহোশাফট সব ব্যাপারেই তাঁর বাবা আসার পথ ধরেই চলতেন, কখনও সেই পথ ছেড়ে যান নি। সদাপ্রভুর চোখে যা ঠিক তিনি তা-ই করতেন। কিন্তু পূজার উঁচু স্থানগুলো ধ্বংস করা হয় নি এবং লোকেরা সেখানে পশু উৎসর্গ করতে ও ধূপ জ্বালাতে থাকল।
44. ইস্রায়েলের রাজার সংগে তিনি সন্ধি স্থাপন করেছিলেন।
45. যিহোশাফটের অন্যান্য সমস্ত কাজের কথা এবং যুদ্ধে তাঁর জয়ের কথা “যিহূদার রাজাদের ইতিহাস” নামে বইটিতে লেখা আছে।
46. তাঁর বাবা আসার রাজত্বের পরেও যে সব পুরুষ মন্দির-বেশ্যারা বাকী রয়ে গিয়েছিল তিনি দেশ থেকে তাদের দূর করে দিয়েছিলেন।
47. সেই সময় ইদোম দেশে কোন রাজা ছিল না। একজন রাজ-প্রতিনিধি সেখানে রাজত্ব করতেন।
48. ওফীরে গিয়ে সোনা আনবার জন্য যিহোশাফট কতগুলো বড় বড় তর্শীশ-জাহাজ তৈরী করলেন, কিন্তু সেগুলোর আর যাওয়া হল না, কারণ ইৎসিয়োন-গেবরে সেগুলো ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।
49. তখন আহাবের ছেলে অহসিয় যিহোশাফটকে বললেন, “আমার লোকেরা আপনার লোকদের সংগে জাহাজে যাক।” কিন্তু যিহোশাফট তাতে রাজী হলেন না।
50. পরে যিহোশাফট তাঁর পূর্বপুুরুষদের কাছে চলে গেলেন এবং তাঁকে তাঁর পূর্বপুরুষ দায়ূদের শহরে তাঁর পূর্বপুরুষদের সংগে কবর দেওয়া হল। তাঁর জায়গায় তাঁর ছেলে যিহোরাম রাজা হলেন।
51. যিহূদার রাজা যিহোশাফটের রাজত্বের সতের বছরের সময় আহাবের ছেলে অহসিয় শমরিয়াতে ইস্রায়েলের রাজা হলেন। তিনি ইস্রায়েলের উপরে দুই বছর রাজত্ব করেছিলেন।
52. সদাপ্রভুর চোখে যা মন্দ তিনি তা-ই করতেন। তিনি তাঁর বাবা ও মায়ের মত এবং নবাটের ছেলে যারবিয়ামের মত চলতেন। এই যারবিয়াম যেমন ইস্রায়েলের লোকদের দিয়ে পাপ করিয়েছিলেন অহসিয়ও তা-ই করেছিলেন।
53. তিনি বাল দেবতার সেবা ও পূজা করতেন এবং তাঁর বাবা যেমন করেছিলেন তিনিও তেমনি করে ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে অসন্তুষ্ট করে তুলেছিলেন। ॥ভব