ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

১ বংশাবলি 29:7-19 পবিত্র বাইবেল (SBCL)

7. ঈশ্বরের ঘরের কাজের জন্য তাঁরা একশো পঁচানব্বই টন সোনা, দশ হাজার সোনার অদর্কোন, তিনশো নব্বই টন রূপা, সাতশো দুই টন ব্রোঞ্জ ও তিন হাজার ন’শো টন লোহা দিলেন।

8. যাঁদের কাছে দামী পাথর ছিল তাঁরা সেগুলো সদাপ্রভুর ঘরের ভাণ্ডারে রাখবার জন্য গের্শোনীয় যিহীয়েলের হাতে দিলেন।

9. তাঁরা খুশী মনে এবং খোলা হাতে সমস্ত অন্তর দিয়ে সদাপ্রভুকে দিতে পেরে আনন্দিত হলেন। রাজা দায়ূদও খুব আনন্দিত হয়েছিলেন।

10. দায়ূদ সমস্ত লোকের সামনে এই বলে সদাপ্রভুর গৌরব করলেন,“হে সদাপ্রভু,আমাদের পূর্বপুরুষ ইস্রায়েলের ঈশ্বর,অনাদিকাল থেকে অনন্ত কাল পর্যন্ততোমার গৌরব হোক।

11. হে সদাপ্রভু, মহিমা, শক্তি, জাঁকজমক,জয় আর গৌরব তোমার,কারণ স্বর্গের ও পৃথিবীরসব কিছু তোমারই।হে সদাপ্রভু,তুমিই সব কিছুর উপরে রাজত্ব করছ;তোমার স্থান সকলের উপরে।

12. ধন ও সম্মান আসে তোমারই কাছ থেকে;তুমিই সব কিছু শাসন করে থাক।তোমার হাতেই রয়েছে শক্তি আর ক্ষমতা;মানুষকে উন্নত করবারও শক্তি দেবার অধিকার তোমারই।

13. এখন, হে আমাদের ঈশ্বর,আমরা তোমাকে ধন্যবাদ দিই,তোমার গৌরবময় নামের প্রশংসা করি।

14. “কিন্তু হে সদাপ্রভু, আমি কে আর আমার লোকেরাই বা কারা যে, আমরা এইভাবে খুশী হয়ে দান করতে পারি? সব কিছুই তো তোমার কাছ থেকে আসে। তোমার হাত থেকে যা পেয়েছি আমরা কেবল তোমাকে তা-ই দিয়েছি।

15. আমরা তোমার চোখে আমাদের সমস্ত পূর্বপুরুষদের মতই পরদেশী বাসিন্দা। পৃথিবীতে আমাদের দিনগুলো ছায়ার মত, আমাদের কোন আশা নেই।

16. হে আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু, তোমার পবিত্র নামের উদ্দেশে একটা ঘর তৈরীর জন্য এই যে প্রচুর জিনিসের আয়োজন আমরা করেছি তা তোমার কাছ থেকেই এসেছে এবং এর সব কিছুই তোমার।

17. হে আমার ঈশ্বর, আমি জানি যে, তুমি অন্তরের পরীক্ষা করে থাক এবং সততায় খুশী হও। এই সব জিনিস আমি খুশী হয়ে এবং অন্তরের সততায় দিয়েছি। আর এখন আমি দেখে আনন্দিত হলাম যে, তোমার লোকেরা যারা এখানে আছে তারাও কেমন খুশী হয়ে তোমাকে দিয়েছে।

18. হে সদাপ্রভু, আমাদের পূর্বপুরুষ অব্রাহাম, ইসহাক ও ইস্রায়েলের ঈশ্বর, তোমার লোকদের অন্তরে এই রকম ইচ্ছা তুমি চিরকাল রাখ এবং তোমার প্রতি তাদের অন্তর বিশ্বস্ত রাখ।

19. আমার ছেলে শলোমনকে এমন স্থির অন্তর দান কর যাতে সে তোমার আদেশ, তোমার বাক্য ও তোমার নিয়ম পালন করতে পারে এবং আমি যে দালান তৈরীর আয়োজন করেছি তা তৈরী করতে পারে।”

সম্পূর্ণ অধ্যায় পড়ুন ১ বংশাবলি 29