ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

১ বংশাবলি 21:9-26 পবিত্র বাইবেল (SBCL)

9. সদাপ্রভু তখন দায়ূদের দর্শক নবী গাদকে বললেন,

10. “তুমি গিয়ে দায়ূদকে এই কথা বল, ‘আমি সদাপ্রভু তোমাকে তিনটা শাস্তির মধ্য থেকে একটা বেছে নিতে বলছি। তুমি তার মধ্য থেকে যেটা বেছে নেবে আমি তোমার প্রতি তা-ই করব।’ ”

11. তখন গাদ দায়ূদের কাছে গিয়ে বললেন, “সদাপ্রভু আপনাকে এগুলোর মধ্য থেকে একটা বেছে নিতে বলছেন-

12. তিন বছর ধরে দুর্ভিক্ষ, কিম্বা আপনার শত্রুদের কাছে হেরে গিয়ে তাদের সামনে থেকে তিন মাস ধরে পালিয়ে বেড়ানো, কিম্বা তিন দিন পর্যন্ত সদাপ্রভুর তলোয়ার, অর্থাৎ দেশের মধ্যে মড়ক। সেই তিন দিন সদাপ্রভুর দূত ইস্রায়েলের সব জায়গায় ধ্বংসের কাজ করে বেড়াবেন। এখন আপনি বলুন, যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন তাঁকে আমি কি উত্তর দেব?”

13. দায়ূদ গাদকে বললেন, “আমি খুব বিপদে পড়েছি। আমি যেন মানুষের হাতে না পড়ি, তার চেয়ে বরং সদাপ্রভুর হাতেই পড়ি, কারণ তাঁর করুণা অসীম।”

14. তখন সদাপ্রভু ইস্রায়েলের উপর একটা মড়ক পাঠিয়ে দিলেন আর তাতে ইস্রায়েলের সত্তর হাজার লোক মারা পড়ল।

15. যিরূশালেম শহর ধ্বংস করবার জন্য ঈশ্বর একজন দূতকে পাঠিয়ে দিলেন। কিন্তু সেই দূত যখন সেই কাজ করতে যাচ্ছিলেন তখন সদাপ্রভু সেই ভীষণ শাস্তি দেওয়া থেকে মন ফিরালেন। সেই ধ্বংসকারী স্বর্গদূতকে তিনি বললেন, “থাক্‌, যথেষ্ট হয়েছে, এবার তোমার হাত গুটাও।” সদাপ্রভুর দূত তখন যিবূষীয় অরৌণার খামারের কাছে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

16. এর মধ্যে দায়ূদ উপর দিকে তাকিয়ে দেখলেন যে, সদাপ্রভুর দূত আকাশের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছেন আর তাঁর হাতে রয়েছে যিরূশালেমের উপর মেলে-ধরা খোলা তলোয়ার। এ দেখে দায়ূদ ও বৃদ্ধ নেতারা চট্‌ পরা অবস্থায় মাটির উপর উবুড় হয়ে পড়লেন।

17. তখন দায়ূদ ঈশ্বরকে বললেন, “লোকদের গণনা করবার হুকুম কি আমিই দিই নি? পাপ আমিই করেছি, অন্যায়ও করেছি আমি। এরা তো ভেড়ার মত, এরা কি করেছে? হে সদাপ্রভু, আমার ঈশ্বর, আমার ও আমার পরিবারের উপর তোমার হাত পড়ুক, কিন্তু এই মড়ক যেন আর তোমার লোকদের উপর না থাকে।”

18. তখন সদাপ্রভুর দূত গাদকে আদেশ দিলেন যেন তিনি দায়ূদকে যিবূষীয় অরৌণার খামারে গিয়ে সদাপ্রভুর উদ্দেশে একটা বেদী তৈরী করতে বলেন।

19. সদাপ্রভুর নাম করে গাদ তাঁকে যে কথা বলেছিলেন সেই কথার বাধ্য হয়ে দায়ূদ সেখানে গেলেন।

20. অরৌণা গম ঝাড়তে ঝাড়তে ঘুরে সেই স্বর্গদূতকে দেখতে পেল, আর তার সংগে তার যে চারটি ছেলে ছিল তারা গিয়ে লুকাল।

21. দায়ূদ এগিয়ে গেলেন আর তাঁকে দেখে অরৌণা খামার ছেড়ে তাঁর সামনে গিয়ে মাটিতে উবুড় হয়ে পড়ে তাঁকে প্রণাম করল।

22. দায়ূদ তাকে বললেন, “তোমার ঐ খামার-বাড়ীর জায়গাটা আমাকে দাও। আমি সেখানে সদাপ্রভুর উদ্দেশে একটা বেদী তৈরী করব যাতে লোকদের মধ্যে এই মড়ক থেমে যায়। পুরো দাম নিয়েই ওটা আমার কাছে বিক্রি কর।”

23. অরৌণা দায়ূদকে বলল, “আপনি ওটা নিন। আমার প্রভু মহারাজের যা ভাল মনে হয় তা-ই করুন। দেখুন, পোড়ানো-উৎসর্গের জন্য আমি আমার ষাঁড়গুলো দিচ্ছি, জ্বালানি কাঠের জন্য দিচ্ছি শস্য মাড়াইয়ের কাঠের যন্ত্র আর শস্য-উৎসর্গের জন্য গম। আমি এই সবই আপনাকে দিচ্ছি।”

24. কিন্তু উত্তরে রাজা দায়ূদ অরৌণাকে বললেন, “না, তা হবে না। আমি এর পুরো দামই দেব। যা তোমার তা আমি সদাপ্রভুর জন্য নেব না, কিম্বা বিনামূল্যে পাওয়া এমন কোন জিনিস দিয়ে পোড়ানো-উৎসর্গও করব না।”

25. এই বলে সেই জমির জন্য দায়ূদ অরৌণাকে সাত কেজি আটশো গ্রাম সোনা দিলেন।

26. দায়ূদ সেখানে সদাপ্রভুর উদ্দেশে একটা বেদী তৈরী করলেন এবং পোড়ানো-উৎসর্গ ও যোগাযোগ-উৎসর্গের অনুষ্ঠান করলেন। তিনি সদাপ্রভুর কাছে মিনতি করলেন আর সদাপ্রভু পোড়ানো-উৎসর্গের বেদীর উপর স্বর্গ থেকে আগুন পাঠিয়ে উত্তর দিলেন।

সম্পূর্ণ অধ্যায় পড়ুন ১ বংশাবলি 21