8. এর পর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
9. “হারোণ ও তার ছেলেদের জানিয়ে দাও যে, এই হল পোড়ানো-উৎসর্গের নিয়ম। পোড়ানো-উৎসর্গের জিনিস সারা রাত ধরে সকাল পর্যন্ত বেদীর আগুনের উপর থাকবে, আর বেদীর আগুন জ্বালিয়েই রাখতে হবে।
10. সকালবেলায় পুরোহিত তার মসীনার জামা ও জাংগিয়া পরে বেদীর উপরকার পোড়ানো-উৎসর্গের ছাই তুলে নিয়ে বেদীর পাশে রাখবে।
11. তারপর সে এই কাপড় ছেড়ে অন্য কাপড় পরে ছাউনির বাইরে কোন শুচি জায়গায় সেই ছাই নিয়ে যাবে।
12. বেদীর উপরে আগুন জ্বালিয়েই রাখতে হবে, তা নিভতে দেওয়া চলবে না। প্রত্যেক দিন সকালবেলা পুরোহিত সেই আগুনের উপর কাঠ দেবে এবং তাতে পোড়ানো-উৎসর্গ সাজিয়ে তার উপর যোগাযোগ-উৎসর্গের চর্বি পোড়াবে।
13. বেদীর আগুন সব সময় জ্বলতেই থাকবে, তা নিভে গেলে চলবে না।
14. “এই হল শস্য-উৎসর্গের নিয়ম। হারোণের ছেলেরা শস্য-উৎসর্গের জিনিস বেদীর কাছে সদাপ্রভুর সামনে নিয়ে যাবে।
15. পুরোহিত তা থেকে এক মুঠো মিহি ময়দা, তেল এবং শস্য-উৎসর্গের জিনিসের উপরে রাখা সমস্ত লোবান তুলে নিয়ে পুরো উৎসর্গের বদলে তা বেদীর উপর পুড়িয়ে দেবে। এর গন্ধে সদাপ্রভু খুশী হন।
16. উৎসর্গের জিনিসের বাদবাকী অংশ হারোণ ও তার ছেলেরা খাবে। তা তাদের খেতে হবে খামি না মিশিয়ে কোন পবিত্র জায়গায়, অর্থাৎ মিলন-তাম্বুর উঠানে।
17. তা যেন খামি মিশিয়ে সেঁকা না হয়। আমার উদ্দেশে আগুনে-করা উৎসর্গের জিনিসের এই অংশ আমি তাদের দিলাম। পাপ-উৎসর্গ এবং দোষ-উৎসর্গের মত শস্য-উৎসর্গের এই অংশটাও মহাপবিত্র জিনিস।
18. হারোণের বংশের সব পুরুষ লোকই তা খেতে পারবে। সদাপ্রভুর উদ্দেশে আগুনে-করা উৎসর্গের জিনিসের এই অংশটা বংশের পর বংশ ধরে তাদের পাওনা। এই অংশটা যে ছোঁবে তাকে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আলাদা হতে হবে।”
19. এর পর সদাপ্রভু মোশিকে আরও বললেন,
20. “হারোণের অভিষেকের দিনে হারোণ ও তার ছেলেরা নিয়মিত শস্য-উৎসর্গের মত এক কেজি আটশো গ্রাম মিহি ময়দা সদাপ্রভুর উদ্দেশে নিয়ে আসবে। তার অর্ধেকটা সকালে আর অর্ধেকটা সন্ধ্যায় উৎসর্গ করতে হবে।
21. শস্য-উৎসর্গ হিসাবে সেই ময়দা তেলের ময়ান দিয়ে তাওয়ায় ভেজে টুকরা টুকরা অবস্থায় সদাপ্রভুর কাছে উপস্থিত করতে হবে। এর গন্ধে সদাপ্রভু খুশী হন।
22. হারোণের পরে তার যে ছেলেকে মহাপুরোহিত-পদের জন্য অভিষেক করা হবে তাকেও এই উৎসর্গের অনুষ্ঠান করতে হবে। এটা সদাপ্রভুর নিয়মিত পাওনা, আর তার সবটাই পুড়িয়ে দিতে হবে।
23. পুরোহিতের আনা শস্য-উৎসর্গের সবটাই পুড়িয়ে ফেলতে হবে; তা খাওয়া চলবে না।”