অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

যিহোশূয় 15 পবিত্র বাইবেল (SBCL)

যিহূদা-গোষ্ঠীর জায়গা

1. গুলিবাঁট অনুসারে যিহূদা-গোষ্ঠীর বিভিন্ন বংশগুলোকে যে জায়গা দেওয়া হল তার সীমানা ইদোমীয়দের দেশের সীমানা পর্যন্ত, অর্থাৎ সীন মরু-এলাকার দক্ষিণ সীমানা পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছাল।

2-3. তাদের দক্ষিণের সীমারেখা লবণ সমুদ্রের দক্ষিণ কিনারার উপসাগর থেকে শুরু হয়ে অক্রব্বীমে উঠে যাওয়ার পথের দক্ষিণ দিক পেরিয়ে সীন মরু-এলাকা হয়ে কাদেশ-বর্ণেয়ের দক্ষিণে গিয়ে পৌঁছাল। সেখান থেকে সেই সীমারেখা হিষ্রোণ পেরিয়ে অদ্দর পর্যন্ত গিয়ে ঘুরে কর্কায় গেল।

4. সেখান থেকে অস্‌মোন বরাবর গিয়ে মিসর নামে যে শুকনা নদী আছে তার সংগে যুক্ত হয়ে ভূমধ্য সাগরে গিয়ে শেষ হল। এটাই হল তোমাদের দক্ষিণের সীমা।

5-6. পূর্ব দিকের সীমানা হল লবণ সমুদ্র বরাবর যর্দন নদীর মোহনা পর্যন্ত। যর্দন নদী যেখানে লবণ সমুদ্রে গিয়ে পড়েছে সেখানে যে উপসাগর রয়েছে সেখান থেকে উত্তর দিকের সীমারেখাটা শুরু হয়ে বৈৎ-হগ্লা পর্যন্ত গিয়ে বৈৎ-অরাবার উত্তর দিক হয়ে রূবেণের বংশধর বোহনের পাথর পর্যন্ত চলে গেল।

7. সেখান থেকে সীমারেখাটা আখোর উপত্যকা থেকে দবীর পর্যন্ত উঠে গেল এবং তা উত্তর দিকে উপত্যকার দক্ষিণে অদুম্মীমে উঠে যাওয়ার পথের উল্টাদিকে গিল্‌গল পর্যন্ত চলে গেল। গিল্‌গল থেকে ঐন্‌-শেমশের স্রোত পর্যন্ত গিয়ে সেটা ঐন্‌-রোগেলে বের হয়ে আসল।

8. সেখান থেকে সেটা যিবূশীয়দের শহরের, অর্থাৎ যিরূশালেমের দক্ষিণের ঢালু জায়গাটা বরাবর গিয়ে বেন-হিন্নোমের উপত্যকায় উঠে গেল। সেখান থেকে সীমারেখাটা রফায়ীম উপত্যকার উত্তর সীমার হিন্নোম উপত্যকার পশ্চিমে যে পাহাড় আছে সেখানে উঠে গেল।

9. সেই সীমারেখাটা তারপর পাহাড়ের উপর থেকে নিপ্তোহের ফোয়ারার দিকে চলে গেল। সেখান থেকে ইফ্রোণ পাহাড়ের গ্রামগুলোর কাছ দিয়ে বের হয়ে সেটা বালার দিকে, অর্থাৎ কিরিয়ৎ-যিয়ারীমের দিকে নেমে গেল।

10. বালা থেকে পশ্চিম দিকে ঘুরে সেটা সেয়ীর পাহাড়ে গেল; তারপর যিয়ারীম পাহাড়ের, অর্থাৎ কসালোনের উত্তর দিকের ঢালু জায়গা বরাবর গিয়ে সেটা বৈৎ-শেমশে নেমে তিম্না পর্যন্ত গেল।

11. তারপর সেই সীমারেখাটা ইক্রোণের উত্তর দিকের ঢালু জায়গায় গিয়ে শিক্করোণের দিকে ঘুরে সোজা বালা পাহাড়ে গেল এবং যব্‌নিয়েলে পৌঁছে ভূমধ্য সাগরে গিয়ে শেষ হল।

12. পশ্চিম দিকের সীমানা হল ভূমধ্য সাগরের কিনারা।এই হল যিহূদা-গোষ্ঠীর বিভিন্ন বংশের জায়গার চারপাশের সীমারেখা।

13. যিহোশূয় সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে যিফুন্নির ছেলে কালেবকে যিহূদা-গোষ্ঠীর জায়গার মধ্যে কিরিয়ৎ-অর্ব, অর্থাৎ হিব্রোণ শহরটা দিয়েছিলেন। অর্ব ছিল অনাকীয়দের পূর্বপুরুষ।

14. পরে শেশয়, অহীমান ও তল্‌ময় নামে তিনজন অনাকীয়কে কালেব হিব্রোণ থেকে তাড়িয়ে দিলেন। এরা ছিল অনাকের বংশধর।

15. কালেব সেখান থেকে দবীরের লোকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গেলেন। আগে দবীরের নাম ছিল কিরিয়ৎ-সেফর।

16. কালেব বলেছিলেন, “যে কেউ কিরিয়ৎ-সেফর আক্রমণ করে অধিকার করতে পারবে তার সংগে আমি আমার মেয়ে অক্‌ষার বিয়ে দেব।”

17. এই কথা শুনে কনষের বংশধর কালেবের ভাই অৎনীয়েল তা অধিকার করল। তাই কালেব তার মেয়ে অক্‌ষাকে অৎনীয়েলের সংগে বিয়ে দিলেন।

18. অৎনীয়েলের কাছে যাওয়ার পর অক্‌ষা তাকে উসকানি দিতে লাগল যাতে সে অক্‌ষার বাবার কাছ থেকে একটা জমি চেয়ে নেয়।পরে অক্‌ষা গাধার পিঠ থেকে নামলে পর কালেব তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “মা, তুমি কি চাও?”

19. সে বলল, “বাবা, তুমি আমার একটা কথা রাখ। তুমি আমাকে যখন নেগেভ মরু-এলাকায় জায়গা দিয়েছ তখন জলের ফোয়ারাগুলোও আমাকে দাও।” এই কথা শুনে কালেব তাকে সেখানকার উঁচু ও নীচু জায়গার ফোয়ারাগুলো দিলেন।

20. যিহূদা-গোষ্ঠীর বিভিন্ন বংশগুলোকে যে সম্পত্তি দেওয়া হল তা এই।

21. ইদোমের কাছে নেগেভে তাদের এলাকার একেবারে দক্ষিণে তারা যে শহর ও গ্রামগুলো পেয়েছিল সেগুলোর নাম হল:কব্‌সেল, এদর, যাগুর,

22. কীনা, দীমোনা, অদাদা,

23. কেদশ, হাৎসোর, যিৎনন,

24. সীফ, টেলম, বালোৎ,

25. হাৎসোর-হদত্তা, করিয়োৎ-হিষ্রোণ, অর্থাৎ হাৎসোর,

26-28. অমাম, শমা, মোলদা, হৎসর-গদ্দা, হিষ্‌মোন, বৈৎ-পেলট, হৎসর-শূয়াল, বের্‌-শেবা, বিষিয়োথিয়া,

29-31. বালা, ইয়ীম, এৎসম, ইল্‌তোলদ, কসীল, হর্মা, সিক্লগ, মদ্‌মন্না ও সন্‌সন্না,

32. লবায়োৎ, শিল্‌হীম, ঐন ও রিম্মোণ। মোট ঊনত্রিশটা শহর এবং তাদের আশেপাশের গ্রামগুলো তারা পেয়েছিল।

33. নীচু পাহাড়ী এলাকার মধ্যে তারা যে সব শহর ও গ্রাম পেয়েছিল সেগুলো হল:ইষ্টায়োল, সরা, অশ্‌না,

34. সানোহ, ঐন্‌-গন্নীম, তপূহ, ঐনম,

35. যর্মূৎ, অদুল্লম, সোখো, অসেকা,

36. শারয়িম, অদীথয়িম, গদেরা ও গদেরোথয়িম। এই চৌদ্দটা শহর ও তাদের আশেপাশের গ্রামগুলো তারা পেয়েছিল।

37-39. সনান, হদাশা, মিগ্‌দল্‌-গাদ, দিলিয়ন, মিসপী, যক্তেল, লাখীশ, বস্কৎ, ইগ্লোন,

40. কব্বন, লহমম, কিৎলীশ,

41. গদেরোৎ, বৈৎ-দাগোন, নয়মা ও মক্কেদা। এই ষোলটা শহর এবং এগুলোর আশেপাশের সব গ্রাম তারা পেয়েছিল।

42-44. লিব্‌না, এথর, আশন, যিপ্তহ, অশ্‌না, নৎসীব, কিয়ীলা, অক্‌ষীব ও মারেশা। এই নয়টা শহর ও এগুলোর আশেপাশের সব গ্রাম তারা পেয়েছিল।

45. ইক্রোণ শহর এবং তার আশেপাশের জায়গা ও গ্রামগুলো,

46. ইক্রোণের পশ্চিম দিকে অস্‌দোদের সমস্ত গ্রাম,

47. অস্‌দোদ এবং তার আশেপাশের সমস্ত জায়গা ও গ্রাম এবং মিসরের শুকনা নদী ও ভূমধ্য সাগরের কিনারা পর্যন্ত গাজা ও তার আশেপাশের সমস্ত জায়গা ও এই সব গ্রাম তারা পেয়েছিল।

48. ঊঁচু পাহাড়ী এলাকার মধ্যে তারা যে সব শহর ও গ্রাম পেয়েছিল সেগুলো হল:শামীর, যত্তীর, সোখো,

49. দন্না, কিরিয়ৎ-সন্না, অর্থাৎ দবীর,

50. অনাব, ইষ্টিমোয়, আনীম,

51. গোশন, হোলোন ও গীলো। এই এগারটা শহর ও এগুলোর আশেপাশের সব গ্রাম তারা পেয়েছিল।

52-54. অরাব, দূমা, ইশিয়ন, যানীম, বৈৎ-তপূহ, অফেকা, হুমটা, কিরিয়ৎ-অর্ব, অর্থাৎ হিব্রোণ আর সীয়োর। এই নয়টা শহর ও এগুলোর আশেপাশের সব গ্রাম তারা পেয়েছিল।

55-57. মায়োন, কর্মিল, সীফ, যুটা, যিষ্রিয়েল, যক্‌দিয়াম, সানোহ, কয়িন, গিবিয়া ও তিম্না। এই দশটা শহর ও এগুলোর আশেপাশের সব গ্রাম তারা পেয়েছিল।

58. হল্‌হূল, বৈৎ-সূর, গদোর,

59. মারৎ, বৈৎ-অনোৎ ও ইল্‌তকোন। এই ছয়টা শহর ও এগুলোর আশেপাশের সব গ্রাম তারা পেয়েছিল।

60. কিরিয়ৎ-বাল, অর্থাৎ কিরিয়ৎ-যিয়ারিম আর রব্বা। এই দু’টা শহর ও এগুলোর আশেপাশের জায়গা তারা পেয়েছিল।

61. মরু-এলাকায় তারা যে সব শহর ও গ্রাম পেয়েছিল সেগুলো হল:বৈৎ-অরাবা, মিদ্দীন, সকাখা,

62. নিব্‌শন, লবণ-নগর ও ঐন্‌-গদী। এই ছয়টা শহর ও এগুলোর আশেপাশের সব গ্রাম তারা পেয়েছিল।

63. যিহূদা-গোষ্ঠী কিন্তু যিবূষীয়দের তাড়িয়ে দিতে পারে নি। যিবূশীয়েরা ছিল যিরূশালেমের বাসিন্দা। যিহূদা-গোষ্ঠীর লোকদের সংগে যিবূশীয়েরা আজও সেখানে বাস করছে।