অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27
  28. 28
  29. 29
  30. 30
  31. 31
  32. 32
  33. 33
  34. 34
  35. 35
  36. 36
  37. 37
  38. 38
  39. 39
  40. 40

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

যাত্রাপুস্তক 36 পবিত্র বাইবেল (SBCL)

1. “সেইজন্য কি করে এই পবিত্র তাম্বু-ঘরটা তৈরী করতে হবে তা বুঝবার জন্য সদাপ্রভু বৎসলেল, অহলীয়াব এবং অন্যান্য যে সব কারিগরদের জ্ঞান ও বিবেচনাশক্তি দিয়েছেন তাঁরা যেন সদাপ্রভুর আদেশ মতই সেই সব কাজ করেন।”

2. মোশি এর পর এই সমস্ত কাজ করবার জন্য বৎসলেল ও অহলীয়াবকে ডাকলেন এবং এমন সব ওস্তাদ কারিগরদের ডাকলেন যাদের সদাপ্রভু কাজের ক্ষমতা দিয়েছেন এবং যারা অন্তর থেকে সাড়া পেয়েছে।

3. পবিত্র তাম্বু-ঘরটা তৈরী করবার জন্য ইস্রায়েলীয়দের আনা সমস্ত জিনিস তাঁরা মোশির কাছ থেকে বুঝে নিলেন। লোকেরা কিন্তু প্রত্যেক দিন সকালে নিজেদের ইচ্ছামত আরও জিনিস আনতেই থাকল।

4-5. তা দেখে যে সব ওস্তাদ কারিগরেরা পবিত্র তাম্বু-ঘর তৈরীর কাজ করছিল তারা তাদের কাজ থামিয়ে মোশির কাছে গিয়ে বলল, “সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে কাজ করবার জন্য যা দরকার লোকেরা তার চেয়ে আরও অনেক বেশী জিনিস নিয়ে আসছে।”

6. তখন মোশির আদেশে তারা ইস্রায়েলীয়দের ছাউনির সব জায়গায় বলে পাঠাল, পুরুষ বা স্ত্রীলোক কেউই পবিত্র তাম্বু-ঘরের জন্য যেন আর কোন জিনিস নিয়ে না আসে। এতে লোকেরা জিনিস আনা বন্ধ করল,

7. কারণ যে সব জিনিস তাদের জমা হয়েছিল কাজটা শেষ করবার পক্ষে তা প্রয়োজনের চেয়ে বেশী ছিল।

আবাস-তাম্বু

8. যারা কাজ করছিল তাদের মধ্যেকার ওস্তাদ কারিগরেরা পাকানো মসীনা সুতা এবং নীল, বেগুনে ও লাল রংয়ের সুতার তৈরী দশ টুকরা কাপড় দিয়ে আবাস-তাম্বুটা তৈরী করল। ওস্তাদ কারিগর দিয়ে তার মধ্যে করূবদের ছবি বুনানো হল।

9. টুকরাগুলো সব একই মাপের তৈরী করা হল- লম্বায় আটাশ হাত এবং চওড়ায় চার হাত।

10. টুকরাগুলো পাঁচটা পাঁচটা করে জুড়ে নিয়ে দু’টা বড় টুকরা তৈরী করা হল।

11. প্রথম বড় টুকরাটার চওড়ার দিকের এক পাশের কিনারা ধরে নীল সুতা দিয়ে কতগুলো ফাঁস তৈরী করা হল। দ্বিতীয় বড় টুকরাতেও ঠিক তা-ই করা হল।

12. এইভাবে পঞ্চাশটা ফাঁস প্রথম বড় টুকরার কিনারায় এবং পঞ্চাশটা ফাঁস দ্বিতীয় বড় টুকরার কিনারায় তৈরী করা হল। এই দুই বড় টুকরার ফাঁসগুলো একটা আর একটার ঠিক উল্টাদিকে রইল।

13. তারপর পঞ্চাশটা সোনার আংটা তৈরী করে সেগুলো ফাঁসের মধ্য দিয়ে ঢুকিয়ে সেই বড় টুকরা দু’টা আট্‌কে দেওয়া হল। তাতে দু’টা বড় টুকরা দিয়ে একটা আবাস-তাম্বু হল।

14. আবাস-তাম্বুর উপরটা ঢেকে দেবার জন্য ছাগলের লোম দিয়ে চাদরের মত করে এগারটা টুকরা বুনিয়ে নেওয়া হল।

15. টুকরাগুলো একই মাপের করা হল- ত্রিশ হাত লম্বা ও চার হাত চওড়া।

16. তা থেকে পাঁচটা টুকরা একসংগে জুড়ে নিয়ে একটা বড় টুকরা তৈরী করা হল। বাকী ছয়টা টুকরা একসংগে জুড়ে নিয়ে আর একটা বড় টুকরা তৈরী করা হল।

17. প্রথম বড় টুকরাটার চওড়ার দিকের এক পাশের কিনারা ধরে পঞ্চাশটা ফাঁস তৈরী করা হল, আর দ্বিতীয় বড় টুকরাতেও ঠিক তা-ই করা হল।

18. তারপর ব্রোঞ্জ দিয়ে পঞ্চাশটা আংটা তৈরী করে সেই বড় টুকরা দু’টা একসংগে আট্‌কে দেওয়া হল। তাতে বড় টুকরা দু’টা মিলে একটা তাম্বু-ঢাকন হল।

19. লাল রং করা ভেড়ার চামড়া দিয়ে তার উপরকার ছাউনি তৈরী করা হল আর তার উপরকার ছাউনি দেওয়া হল শুশুকের চামড়া দিয়ে।

20. আবাস-তাম্বুর জন্য বাব্‌লা কাঠ দিয়ে কতগুলো খাড়া ফ্রেম তৈরী করা হল।

21. প্রত্যেকটা ফ্রেম দশ হাত লম্বা আর দেড় হাত চওড়া করা হল,

22. আর প্রত্যেকটা ফ্রেমে দু’টা করে পায়া দেওয়া হল। আবাস-তাম্বুর সব ফ্রেম একই রকম করে তৈরী করা হল।

23. দক্ষিণ দিকের জন্য বিশটা ফ্রেম তৈরী করা হল।

24. ঐ ফ্রেমগুলোর প্রত্যেকটার পায়ার নীচে বসাবার জন্য চল্লিশটা রূপার পা-দানি তৈরী করা হল- প্রত্যেকটা ফ্রেমের জন্য দু’টা করে, অর্থাৎ প্রত্যেকটা পায়ার জন্য একটা করে।

25-26. আবাস-তাম্বুর অন্য দিকের জন্যও, অর্থাৎ উত্তর দিকের জন্যও বিশটা ফ্রেম এবং প্রত্যেকটা ফ্রেমের জন্য দু’টা করে মোট চল্লিশটা রূপার পা-দানি তৈরী করা হল।

27-28. তাম্বুর পশ্চিম দিকের জন্য, অর্থাৎ পিছন দিকের জন্য ছয়টা ফ্রেম আর পিছন দিকের দুই কোণার জন্যও আরও দু’টা ফ্রেম তৈরী করা হল।

29. এই ফ্রেম দু’টার প্রত্যেকটি দুই কোণার দু’টা ফ্রেমের সংগে একত্র করে নীচ থেকে উপর পর্যন্ত জোড়া দেওয়া হল। প্রত্যেকটি কোণার দুই ফ্রেম ও পাশের ফ্রেমটা আংটা দিয়ে একসংগে জুড়ে দেওয়া হল। দুই কোণা একই রকম করা হল।

30. এতে পিছন দিকে আটটা ফ্রেম এবং প্রত্যেকটা ফ্রেমের নীচে দেবার জন্য দু’টা করে মোট ষোলটা রূপার পা-দানি তৈরী করা হল।

31-32. আবাস-তাম্বুর ফ্রেমগুলোর জন্য বাব্‌লা কাঠের হুড়কা তৈরী করা হল। এর মধ্যে পাঁচটা হুড়কা হল এক দিকের ফ্রেমের জন্য এবং পাঁচটা অন্য দিকের ফ্রেমের জন্য আর পাঁচটা পিছনের, অর্থাৎ পশ্চিম দিকের ফ্রেমের জন্য।

33. উপর এবং নীচের হুড়কাগুলোর মধ্যেকার লম্বা হুড়কাটা ফ্রেমের মাঝখান দিয়ে এপাশ থেকে ওপাশ পর্যন্ত চলে গেল।

34. ফ্রেমগুলো সোনা দিয়ে মুড়ানো হল এবং হুড়কাগুলো ঢুকাবার জন্য সোনার কড়া তৈরী করে ফ্রেমে লাগিয়ে দেওয়া হল। হুড়কাগুলোও সোনা দিয়ে মুড়ানো হল।

35. কারিগরেরা নীল, বেগুনে ও লাল রংয়ের সুতা এবং পাকানো মসীনা সুতা দিয়ে একটা পর্দা তৈরী করল। ওস্তাদ কারিগর দিয়ে তার উপরে করূবদের ছবি বুনিয়ে নেওয়া হল।

36. সেই পর্দার জন্য চারটা বাব্‌লা কাঠের খুঁটি তৈরী করা হল এবং খুঁটিগুলো সোনা দিয়ে মুড়ানো হল। সেই খুঁটিগুলোর জন্য কতগুলো সোনার হুক তৈরী করা হল এবং খুঁটিগুলো বসাবার জন্য চারটা রূপার পা-দানি তৈরী করা হল।

37. তাম্বুর দরজার জন্যও সেলাই করে নক্‌শা তোলার মত করে নীল, বেগুনে ও লাল রংয়ের সুতা এবং পাকানো মসীনা সুতা দিয়ে একটা পর্দা তৈরী করা হল।

38. এই পর্দার জন্য হুক সুদ্ধ পাঁচটা খুঁটি তৈরী করা হল। খুঁটির মাথা ও তার বাঁধন-পাত সোনা দিয়ে মুড়ানো হল। খুঁটিগুলো বসাবার জন্য ব্রোঞ্জ দিয়ে পাঁচটা পা-দানি তৈরী করা হল।