ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

যাত্রাপুস্তক 32:5-19 পবিত্র বাইবেল (SBCL)

5. এই ব্যাপার দেখে হারোণ সেই বাছুরের সামনে একটা বেদী তৈরী করে এই কথা ঘোষণা করলেন, “আগামী কাল সদাপ্রভুর উদ্দেশে উৎসব হবে।”

6. পরের দিন লোকেরা খুব সকালে উঠে পোড়ানো-উৎসর্গ এবং যোগাযোগ-উৎসর্গের অনুষ্ঠান করল। তার পরে তারা খাওয়া-দাওয়া করতে বসল এবং পরে হৈ-হল্লা করে আমোদ-প্রমোদ করবার জন্য উঠে দাঁড়াল।

7. এতে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “তুমি নীচে নেমে যাও। তোমার ঐ সব লোক যাদের তুমি মিসর দেশ থেকে বের করে এনেছ তারা জঘন্য হয়ে গেছে।

8. এর মধ্যেই তারা আমার আদেশ থেকে দূরে সরে গেছে। তারা নিজেদের জন্য বাছুরের আকারে একটা মূর্তি তৈরী করে নিয়েছে। তারা মাটিতে পড়ে তাকে প্রণাম করেছে এবং তার উদ্দেশে পশু-উৎসর্গ করে বলেছে, ‘ভাইয়েরা, এর মধ্যে রয়েছে তোমাদের দেব-দেবতা। এই দেব-দেবতারাই মিসর দেশ থেকে তোমাদের বের করে এনেছেন।’ ”

9. সদাপ্রভু মোশিকে আরও বললেন, “এই সব লোকদের আমি জানি। এরা একটা একগুঁয়ে জাতি।

10. তুমি আমাকে বাধা দিয়ো না। তাদের বিরুদ্ধে আমার ক্রোধ আগুনের মত জ্বলতে থাকুক। আমি তাদের ধ্বংস করে ফেলব। তারপর তোমার মধ্য দিয়ে আমি একটা মহা জাতির সৃষ্টি করব।”

11. মোশি তখন তাঁর ঈশ্বর সদাপ্রভুকে কাকুতি-মিনতি করে বললেন, “সদাপ্রভু, তোমার শক্তিশালী হাত বাড়িয়ে মহা শক্তিতে যাদের তুমি মিসর দেশ থেকে বের করে এনেছ তোমার সেই লোকদের উপর কেন তোমার এত ক্রোধ?

12. কেন মিসরীয়েরা এই কথা বলবার সুযোগ পাবে যে, পাহাড়ী এলাকার মাঝখানে এনে তাদের মেরে ফেলে পৃথিবীর বুক থেকে মুছে ফেলবার মন্দ ইচ্ছা নিয়েই তুমি তাদের বের করে এনেছ? তোমার এই ভীষণ ক্রোধ তুমি থামাও। দয়া কর, তোমার লোকদের উপর তুমি এই বিপদ এনো না।

13. তোমার দাস অব্রাহাম, ইস্‌হাক ও ইস্রায়েলের কথা মনে কর। তুমি নিজের নামেই শপথ করে তাঁদের বলেছিলে, তাঁদের বংশধরদের আকাশের তারার মতই অসংখ্য করে তুলবে আর তোমার প্রতিজ্ঞা করা দেশের গোটাটাই চিরকালের অধিকার হিসাবে তাঁদের বংশধরদের দেবে।”

14. এই কথা শুনে সদাপ্রভুর মনে দয়া হল। তাঁর লোকদের উপর যে বিপদ আনবার কথা তিনি বলেছিলেন তা আর আনলেন না।

15. এর পর মোশি সাক্ষ্য-ফলক দু’টি হাতে করে পাহাড় থেকে নীচে নেমে গেলেন। ফলক দু’টার সামনে এবং পিছনে দু’দিকেই লেখা ছিল।

16. সেই দু’টা ছিল ঈশ্বরের নিজের হাতের কাজ, আর তার উপর খোদাই করা লেখাটিও ছিল তাঁর।

17. যিহোশূয় লোকদের চেঁচামেচি শুনে মোশিকে বললেন, “ছাউনি থেকে যুদ্ধের আওয়াজ আসছে।”

18. উত্তরে মোশি বললেন, “সেটা যুদ্ধে জয়লাভের আওয়াজও নয়, যুদ্ধে হেরে যাবার আওয়াজও নয়। আমি যা শুনতে পাচ্ছি তা গানের আওয়াজ।”

19. তারপর মোশি ছাউনির কাছাকাছি গিয়ে ঐ বাছুরটা আর লোকদের নাচানাচি দেখতে পেলেন। তা দেখে তিনি রাগে জ্বলে উঠলেন এবং হাতের পাথর-ফলক দু’টা ছুঁড়ে ফেললেন। তাতে সেই দু’টা পাহাড়ের নীচে পড়ে টুকরা টুকরা হয়ে ভেংগে গেল।

সম্পূর্ণ অধ্যায় পড়ুন যাত্রাপুস্তক 32