ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

যাত্রাপুস্তক 16:1-12 পবিত্র বাইবেল (SBCL)

1. ইস্রায়েলীয়দের দলটা এলীম থেকে আবার যাত্রা শুরু করল। মিসর দেশ থেকে বের হয়ে আসবার পর দ্বিতীয় মাসের পনের দিনের দিন তারা সিন মরু-এলাকায় গিয়ে পৌঁছাল। এই জায়গাটা ছিল এলীম ও সিনাই পাহাড়ের মাঝখানে।

2. সিন মরু-এলাকায় ইস্রায়েলীয়দের গোটা দলটা মোশি ও হারোণের বিরুদ্ধে নানা কথা বলতে লাগল।

3. তারা তাঁদের বলল, “মিসর দেশে সদাপ্রভুর হাতে আমরা কেন মরলাম না। সেখানে আমরা মাংসের হাঁড়ি সামনে নিয়ে পেট ভরে রুটি-মাংস খেতাম। আমাদের এই গোটা দলটাকে না খাইয়ে মেরে ফেলবার জন্যই আপনারা আমাদের এই মরু-এলাকার মধ্যে এনেছেন।”

4. তখন সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “আমি এমন করব যাতে তোমাদের জন্য স্বর্গ থেকে বৃষ্টির মত করে খাবার ঝরে পড়ে। লোকেরা প্রতিদিন বাইরে গিয়ে সেখান থেকে মাত্র সেই দিনের খাবার কুড়িয়ে নেবে। তারা আমার নির্দেশ মত চলবে কি না সেই বিষয়ে আমি তাদের পরীক্ষা নেব।

5. সপ্তার ষষ্ঠ দিনে তারা যেন অন্য দিনের চেয়ে দুই গুণ কুড়িয়ে এনে খাবার তৈরী করে।”

6-7. তখন মোশি ও হারোণ সমস্ত ইস্রায়েলীয়দের বললেন, “সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে তোমরা যে সব কথা বলেছ তা তিনি শুনেছেন বলেই আজ সন্ধ্যাবেলাতেই তোমরা জানতে পারবে যে, সেই সদাপ্রভুই মিসর দেশ থেকে তোমাদের বের করে এনেছেন, আর তাঁরই মহিমা তোমরা কাল সকালে দেখতে পাবে। আমরা কে যে, তোমরা আমাদের বিরুদ্ধে এত কথা বলছ? ”

8. মোশি আরও বললেন, “সন্ধ্যাবেলায় যখন সদাপ্রভু তোমাদের মাংস দেবেন আর সকালবেলায় দেবেন প্রচুর রুটি তখনই তোমরা বুঝবে যে, সদাপ্রভুই তোমাদের মিসর থেকে বের করে এনেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে তোমরা যত কথা বলেছ তা সব তিনি শুনেছেন। আমরা কে? এই সব কথা তোমরা আসলে আমাদের বিরুদ্ধে বলছ না, বলছ সদাপ্রভুরই বিরুদ্ধে।”

9. তারপর মোশি হারোণকে সমস্ত ইস্রায়েলীয়দের এই কথা বলতে বললেন, “সদাপ্রভু তাঁর বিরুদ্ধে তোমাদের অনেক কথা বলতে শুনেছেন, কাজেই তোমরা তাঁর সামনে এগিয়ে যাও।”

10. হারোণ যখন ইস্রায়েলীয়দের কাছে কথা বলছিলেন তখন তারা মরু-এলাকার দিকে তাকিয়ে দেখল; আর আশ্চর্য এই যে, সেখানে মেঘের মধ্যে তারা সদাপ্রভুর মহিমা দেখতে পেল।

11. তখন সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,

12. “ইস্রায়েলীয়েরা আমার বিরুদ্ধে যে সব কথা বলেছে তা আমি শুনেছি। তাদের এই কথা বল যে, তারা সন্ধ্যাবেলায় মাংস খাবে আর সকালবেলায় খাবে পেট ভরে রুটি। এতে তারা জানতে পারবে যে, আমি সদাপ্রভুই তাদের ঈশ্বর।”

সম্পূর্ণ অধ্যায় পড়ুন যাত্রাপুস্তক 16