ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

যাত্রাপুস্তক 12:26-37 পবিত্র বাইবেল (SBCL)

26. তোমাদের ছেলেমেয়েরা যখন তোমাদের জিজ্ঞাসা করবে, ‘এই অনুষ্ঠানের মানে কি? ’

27. তখন তোমরা বলবে, ‘এটা হল সদাপ্রভুর উদ্দেশে উদ্ধার-পর্বের উৎসর্গ, কারণ মিসর দেশে থাকবার সময় তিনি ইস্রায়েলীয়দের বাড়ীগুলো বাদ দিয়ে এগিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি মিসরীয়দের মেরে ফেলেছিলেন কিন্তু আমাদের রক্ষা করেছিলেন।’ ” এর পর ইস্রায়েলীয়েরা মাটিতে উবুড় হয়ে পড়ে সদাপ্রভুকে তাদের অন্তরের ভক্তি জানাল।

28. মোশি ও হারোণকে সদাপ্রভু যে আদেশ দিয়েছিলেন ইস্রায়েলীয়েরা ফিরে গিয়ে সেইমত কাজ করল।

29. তারপর চৌদ্দ তারিখের মাঝরাতে সদাপ্রভু মিসর দেশের প্রত্যেকটি প্রথম ছেলেকে মেরে ফেললেন। এতে রাজ-সিংহাসনের অধিকারী ফরৌণের প্রথম ছেলে থেকে জেলখানার কয়েদীর প্রথম ছেলে পর্যন্ত, এমন কি, পশুদেরও প্রথম পুরুষ বাচ্চা মারা পড়ল।

30. সেই রাতে ফরৌণ ও তাঁর সব কর্মচারী এবং মিসরের প্রত্যেকটি লোক ঘুম থেকে জেগে উঠল; আর সারা মিসর দেশে একটা কান্নার রোল পড়ে গেল, কারণ এমন একটাও বাড়ী ছিল না যেখানে কেউ মারা যায় নি।

31. ফরৌণ সেই রাতেই মোশি ও হারোণকে ডাকিয়ে এনে বললেন, “তোমরা ইস্রায়েলীয়দের সংগে নিয়ে আমার লোকদের মধ্য থেকে বের হয়ে যাও। তোমরা যেমন বলেছ সেইভাবে গিয়ে সদাপ্রভুর উপাসনা কর।

32. তোমাদের কথামত যাবার সময়ে তোমাদের গরু-ভেড়ার পালও নিয়ে যেয়ো, আর আমাকেও আশীর্বাদ কোরো।”

33. মিসরীয়দেরও ভয় হল যে, তারাও হয়তো মারা পড়বে। এইজন্য তারা ইস্রায়েলীয়দের তাগাদা দিতে লাগল যেন তারা তাড়াতাড়ি করে তাদের দেশ থেকে বের হয়ে যায়।

34. এতে ইস্রায়েলীয়েরা খামি মেশাবার আগেই তাদের ময়দা মাখবার পাত্র সুদ্ধ ময়দার তালগুলো তাদের কাপড়ে বেঁধে নিয়ে কাঁধে ফেলল।

35. ইস্রায়েলীয়েরা মোশির কথামত মিসরীয়দের কাছ থেকে সোনা-রূপার জিনিস এবং কাপড়-চোপড় চেয়ে নিল।

36. তারা যা চাইবে মিসরীয়েরা যাতে তাদের তা-ই দেয় সেইজন্য সদাপ্রভু আগেই মিসরীয়দের মনে ইস্রায়েলীয়দের প্রতি একটা দয়ার মনোভাব সৃষ্টি করেছিলেন। এইভাবে তারা মিসরীয়দের অনেক কিছু অধিকার করে নিলেন।

37. তারপর ইস্রায়েলীয়েরা রামিষেষ থেকে সুক্কোতের দিকে রওনা হল। প্রায় ছয় লক্ষ পুরুষ লোক হেঁটে চলল। তাদের সংগে স্ত্রীলোক এবং ছেলেমেয়েরাও ছিল।

সম্পূর্ণ অধ্যায় পড়ুন যাত্রাপুস্তক 12