অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

বিচারকর্তৃগণ 1 পবিত্র বাইবেল (SBCL)

বাদবাকী কনানীয়দের সংগে যুদ্ধ

1. যিহোশূয়ের মৃত্যুর পর ইস্রায়েলীয়েরা সদাপ্রভুকে জিজ্ঞাসা করল, “আমাদের হয়ে কনানীয়দের সংগে যুদ্ধ করবার জন্য প্রথমে কারা যাবে?”

2. উত্তরে সদাপ্রভু বললেন, “প্রথমে যাবে যিহূদা-গোষ্ঠীর লোকেরা; আমি তাদের হাতেই দেশটা তুলে দিয়েছি।”

3. এই কথা শুনে যিহূদা-গোষ্ঠীর লোকেরা তাদের ভাই শিমিয়োন-গোষ্ঠীর লোকদের বলল, “যে জায়গাটা আমাদের ভাগে পড়েছে সেখানকার কনানীয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবার জন্য তোমরা আমাদের সংগে চল, আর আমরাও তোমাদের জায়গা দখলের জন্য তোমাদের সংগে যাব।” এতে শিমিয়োন-গোষ্ঠীর লোকেরা তাদের সংগে গেল।

4. যিহূদা-গোষ্ঠীর লোকেরা আক্রমণ করলে পর সদাপ্রভু তাদের হাতে কনানীয় ও পরিষীয়দের তুলে দিলেন। তাদের দশ হাজার লোককে তারা বেষক শহরে মেরে ফেলল।

5. সেখানে তারা অদোনী-বেষককে দেখতে পেয়ে তাঁর সংগে যুদ্ধ করল এবং কনানীয় ও পরিষীয়দের হারিয়ে দিল।

6. অদোনী-বেষক যখন পালিয়ে যাচ্ছিলেন তখন তারা তাঁকে তাড়া করে ধরে তাঁর হাত ও পায়ের বুড়ো আংগুল কেটে ফেলল।

7. এতে অদোনী-বেষক বললেন, “আমি সত্তরজন রাজার হাত ও পায়ের বুড়ো আংগুল কেটে ফেলেছিলাম। তারা আমার টেবিলের তলা থেকে এঁটোকাঁটা কুড়িয়ে খেত। আমি তাদের প্রতি যা করেছিলাম ঈশ্বরও আমার প্রতি তা-ই করলেন।” পরে তারা অদোনী-বেষককে যিরূশালেমে নিয়ে গেলে পর তিনি সেখানে মারা গেলেন।

8. যিহূদা-গোষ্ঠীর লোকেরা যিরূশালেম আক্রমণ করে তা অধিকার করে নিল। তারা শহরের লোকদের মেরে ফেলে শহরটাতে আগুন লাগিয়ে দিল।

9. এর পর তারা উঁচু পাহাড়ী এলাকা, নেগেভ ও নীচু পাহাড়ী এলাকার বাসিন্দা কনানীয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গেল।

10. হিব্রোণের বাসিন্দা কনানীয়দের বিরুদ্ধে এগিয়ে গিয়ে তারা শেশয়, অহীমান ও তল্‌ময়কে হারিয়ে দিল। হিব্রোণের আগের নাম ছিল কিরিয়ৎ-অর্ব।

11. সেখান থেকে তারা দবীর শহরের লোকদের বিরুদ্ধে এগিয়ে গেল। দবীরের আগের নাম ছিল কিরিয়ৎ-সেফর।

12. কালেব বললেন, “যে লোক কিরিয়ৎ-সেফর আক্রমণ করে অধিকার করতে পারবে তার সংগে আমি আমার মেয়ে অক্‌ষার বিয়ে দেব।”

13. এই কথা শুনে কনষের বংশধর কালেবের ছোট ভাই অৎনীয়েল তা অধিকার করল। তাই কালেব তাঁর মেয়ে অক্‌ষাকে অৎনীয়েলের সংগে বিয়ে দিলেন।

14. অৎনীয়েলের কাছে যাওয়ার পর অক্‌ষা তাকে উসকানি দিতে লাগল যেন সে তার বাবার কাছ থেকে একটা জমি চেয়ে নেয়। পরে অক্‌ষা গাধার পিঠ থেকে নামলে পর কালেব তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “মা, তুমি কি চাও?”

15. অক্‌ষা বলল, “বাবা, তুমি আমার একটা কথা রাখ। তুমি আমাকে যখন নেগেভে জায়গা দিয়েছ তখন ফোয়ারাগুলোও আমাকে দাও।” এই কথা শুনে কালেব তাকে সেখানকার উঁচু ও নীচু জায়গার ফোয়ারাগুলো দিলেন।

16. মোশির শ্বশুরের বংশধরেরা, যারা জাতিতে কেনীয় ছিল, তারা খেজুর-শহর থেকে বের হয়ে অরাদ এলাকার দক্ষিণে যিহূদা-গোষ্ঠীর মরু-এলাকায় গেল এবং সেখানকার লোকদের সংগে বাস করতে লাগল।

17. যিহূদা-গোষ্ঠীর লোকেরা তাদের ভাই শিমিয়োন-গোষ্ঠীর লোকদের সংগে গিয়ে সফাৎ শহরের বাসিন্দা কনানীয়দের আক্রমণ করল এবং তাদের শহরটা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিল। সেইজন্য শহরটার নাম দেওয়া হল হর্মা (যার মানে “ধ্বংস”)।

18. যিহূদা-গোষ্ঠীর লোকেরা গাজা, অস্কিলোন ও ইক্রোণ শহর এবং সেগুলোর আশেপাশের জায়গা দখল করে নিল।

19. সদাপ্রভু যিহূদা-গোষ্ঠীর লোকদের সংগে ছিলেন। তারা পাহাড়ী এলাকা দখল করে নিয়েছিল বটে, কিন্তু সমভূমি থেকে লোকদের তাড়িয়ে দিতে পারে নি, কারণ তাদের লোহার রথ ছিল।

20. মোশির প্রতিজ্ঞা অনুসারে কালেবকে হিব্রোণ শহরটা দেওয়া হল। অনাকের তিন ছেলেকে কালেব হিব্রোণ থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন।

21. কিন্তু বিন্যামীন-গোষ্ঠীর লোকেরা যিরূশালেমে বাসকারী যিবূষীয়দের বেদখল করতে পারে নি। বিন্যামীন-গোষ্ঠীর সংগে যিবূষীয়েরা আজও সেখানে বাস করছে।

22. যোষেফের বংশধরেরা বৈথেল শহর আক্রমণ করতে গেল। সদাপ্রভু তাদের সংগে ছিলেন।

23. তারা শহরটা ভাল করে দেখেশুনে আসবার জন্য সেখানে কয়েকজন লোক পাঠিয়ে দিল। বৈথেলের আগের নাম ছিল লূস।

24. সেই লোকেরা শহর থেকে একজন লোককে বেরিয়ে আসতে দেখে তাকে বলল, “শহরে ঢুকবার পথটা তুমি আমাদের দেখিয়ে দাও, তাহলে আমরা তোমার কোন ক্ষতি করব না।”

25. সে তাদের পথ দেখিয়ে দিলে পর তারা গিয়ে শহরের লোকদের মেরে ফেলল, কিন্তু সেই লোক ও তার বংশের লোকদের রেহাই দিল।

26. এর পর সেই লোকটি হিত্তীয়দের দেশে গিয়ে একটা শহর তৈরী করল এবং তার নাম দিল লূস। আজও শহরটার ঐ নামই আছে।

27. মনঃশি-গোষ্ঠীর লোকেরা বৈৎ-শান, তানক, দোর, যিব্লিয়ম ও মগিদ্দো শহরের এবং সেগুলোর চারপাশের গ্রামের বাসিন্দাদের তাড়িয়ে দিতে পারে নি, কারণ এই সব জায়গার কনানীয়েরা স্থির করেছিল যে, তারা ঐ দেশ ছেড়ে যাবে না।

28. ইস্রায়েলীয়েরা যখন শক্তিশালী হয়ে উঠল তখন তারা ঐ সব লোকদের তাদের দাস হতে বাধ্য করল কিন্তু তাদের একেবারে তাড়িয়ে দিল না।

29. ইফ্রয়িম-গোষ্ঠীর লোকেরাও গেষর থেকে কনানীয়দের বের করে দেয় নি। তারা সেখানে তাদের মধ্যেই রয়ে গেল।

30. সবূলূন-গোষ্ঠীর লোকেরাও কিট্‌রোণ ও নহলোল থেকে কনানীয়দের বের করে দেয় নি। তারা সেখানে তাদের মধ্যেই রয়ে গেল, তবে সবূলূন-গোষ্ঠীর লোকেরা তাদের দাস হতে বাধ্য করল।

31. আশের-গোষ্ঠীর লোকেরাও অক্কো, সীদোন, অহলব, অক্‌ষীব, হেল্‌বা, অফীক ও রহোবের লোকদের তাড়িয়ে দেয় নি।

32. তারা সেই দেশের বাসিন্দা কনানীয়দের মধ্যে বাস করতে লাগল, কারণ তারা তাদের বের করে দেয় নি।

33. নপ্তালি-গোষ্ঠীর লোকেরাও বৈৎ-শেমশ ও বৈৎ-অনাতের লোকদের তাড়িয়ে দেয় নি; তারা সেখানকার কনানীয় লোকদের মধ্যে বাস করতে লাগল এবং তাদের দাস হতে বাধ্য করল।

34. ইমোরীয়েরা দান-গোষ্ঠীর লোকদের পাহাড়ী এলাকায় আটক রাখল; সমভূমিতে তাদের নামতে দিল না।

35. ইমোরীয়েরা হেরস পাহাড়, অয়ালোন ও শাল্‌বীমে থাকবে বলেই স্থির করল; কিন্তু যোষেফের বংশের লোকদের শক্তি যখন বেড়ে গেল তখন তারা ইমোরীয়দের দাস হতে বাধ্য করল।

36. অক্রব্বীম নামে উঠে যাওয়ার পথ থেকে সেলা ছাড়িয়ে ছিল ইমোরীয়দের এলাকা।