7. মোট আটচল্লিশটা গ্রাম ও শহর লেবীয়দের দিতে হবে এবং তার প্রত্যেকটার চারপাশে পশু চরাবার মাঠ থাকবে।
8. ইস্রায়েলীয়দের সম্পত্তি থেকে লেবীয়দের যে সব গ্রাম ও শহর দেওয়া হবে তা প্রত্যেক গোষ্ঠীর পাওয়া সম্পত্তির পরিমাণ বুঝে দিতে হবে। যে গোষ্ঠীর ভাগে বেশী গ্রাম ও শহর পড়বে সেই গোষ্ঠী থেকে বেশী এবং যে গোষ্ঠীর ভাগে কম গ্রাম ও শহর পড়বে সেই গোষ্ঠী থেকে কম নেবে।”
9-11. এর পর সদাপ্রভু মোশিকে ইস্রায়েলীয়দের বলতে বললেন, “যর্দন নদী পার হয়ে কনান দেশে গিয়ে তোমরা নিজেদের জন্য কতগুলো আশ্রয়-শহর ঠিক করে নেবে যেন কেউ কাউকে হঠাৎ মেরে ফেললে সেখানে পালিয়ে যেতে পারে।
12. যার প্রতিশোধ নেবার কথা, এগুলো হবে তার হাত থেকে রক্ষা পাবার আশ্রয়-শহর, যাতে খুনের দায়ে পড়া লোক ইস্রায়েলীয়দের বিচার-সভার সামনে দাঁড়াবার আগে মারা না পড়ে।
13. এই যে ছয়টা শহর তোমরা লেবীয়দের দেবে সেগুলো হবে তোমাদের আশ্রয়-শহর।
14. এগুলোর তিনটা থাকবে যর্দন নদীর পূর্ব পারে আর তিনটা থাকবে কনান দেশের মধ্যে।
15. এই ছয়টা হবে ইস্রায়েলীয়দের, ইস্রায়েলীয় করে নেওয়া বাসিন্দাদের এবং পরদেশী বাসিন্দাদের আশ্রয়-শহর। কোন লোক হঠাৎ কাউকে মেরে ফেললে সেখানে পালিয়ে যেতে পারবে।
16. “কোন লোক যদি লোহার কিছু দিয়ে কাউকে আঘাত করে আর তাতে সে মারা যায় তবে সে খুনী। সেই খুনীকে মেরে ফেলতে হবে।
17. যা দিয়ে মানুষ মেরে ফেলা যায় এমন কোন পাথর যদি কারও হাতে থাকে আর তা দিয়ে যদি সে কাউকে আঘাত করে আর তাতে সে মারা যায় তবে সে খুনী। সেই খুনীকে মেরে ফেলতে হবে।
18. যা দিয়ে মানুষ মেরে ফেলা যায় এমন কোন কাঠের জিনিস যদি কারও হাতে থাকে আর তা দিয়ে যদি সে কাউকে আঘাত করে আর তাতে সে মারা যায় তবে সে খুনী। সেই খুনীকে মেরে ফেলতে হবে।
19. খুন হওয়া লোকটার রক্তের প্রতিশোধ যার নেবার কথা তাকেই সেই খুনীকে মেরে ফেলতে হবে; দেখা পেলেই সে যেন তাকে মেরে ফেলে।
20-21. যদি কেউ মনে কোন হিংসা নিয়ে কাউকে ধাক্কা মারে কিম্বা ইচ্ছা করে তার দিকে কিছু ছুঁড়ে মারে কিম্বা শত্রুভাব মনে নিয়ে তাকে ঘুঁসি মারে আর এর কোনটাতে সে মারা যায়, তবে যে মেরেছে সে খুনী; তাকে মেরে ফেলতে হবে। খুন হওয়া লোকটার রক্তের প্রতিশোধ যার নেবার কথা, খুনীর দেখা পেলেই সে যেন তাকে মেরে ফেলে।
22-24. “কিন্তু মনে শত্রুভাব না থাকলেও যদি কেউ মুহূর্তের ভুলে কাউকে ধাক্কা মারে কিম্বা মনে কোন খারাপ উদ্দেশ্য না থাকলেও তার দিকে কিছু ছুঁড়ে মারে কিম্বা তাকে মেরে ফেলতে পারে এমন কোন পাথর তার উপর না দেখে ফেলে দেয় এবং এর যে কোন একটাতে যদি সে মারা যায়, তবে লোকটা তার শত্রু ছিল না বলে এবং তার ক্ষতি করবার ইচ্ছা তার ছিল না বলে এই সমস্ত নিয়ম অনুসারে ইস্রায়েলীয়দের বিচার-সভার লোকেরা রক্তের প্রতিশোধ যার নেবার কথা তার এবং খুনের জন্য দায়ী লোকটির সম্বন্ধে বিচার করবে।
25. বিচার-সভার লোকেরা তখন রক্তের প্রতিশোধ যার নেবার কথা তার হাত থেকে খুনের জন্য দায়ী করা লোকটাকে রক্ষা করে আবার তাকে সেই আশ্রয়-শহরে পাঠিয়ে দেবে যেখানে সে পালিয়ে গিয়েছিল। পবিত্র তেল দিয়ে অভিষেক করা মহাপুরোহিতের মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত সেই লোকটাকে সেখানে থাকতে হবে।
26-27. কিন্তু লোকটি যদি সেই আশ্রয়-শহরের এলাকা পার হয়ে কখনও বাইরে আসে আর রক্তের প্রতিশোধ যার নেবার কথা সে তাকে শহরের এলাকার বাইরে পায় তবে সে তাকে মেরে ফেলতে পারবে, আর তাতে সে খুনের জন্য দায়ী হবে না।
28. মহাপুরোহিতের মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত সেই লোকটিকে আশ্রয়-শহরের ভিতরেই থাকতে হবে। কেবলমাত্র মহাপুরোহিতের মৃত্যুর পরেই সে নিজের জায়গাতে ফিরে আসতে পারবে।