1. ইস্রায়েলীয়েরা মিসর দেশ থেকে বের হয়ে আসবার পর দ্বিতীয় বছরের দ্বিতীয় মাসের প্রথম দিনে সদাপ্রভু সিনাই মরু-এলাকায় মিলন-তাম্বুর মধ্যে মোশির সংগে কথা বললেন। তিনি বললেন,
2-3. “তুমি বংশ ও পরিবার অনুসারে ইস্রায়েলীয়দের মধ্যে যে সমস্ত পুরুষের বয়স বিশ বা তার বেশী, অর্থাৎ যারা যুদ্ধে যাওয়ার মত হয়েছে তাদের নাম এক এক করে লিখে প্রত্যেকের দল অনুসারে তুমি ও হারোণ লোকদের গণনা করবে।
4. প্রত্যেক গোষ্ঠী থেকে একজন করে লোক তোমাকে সাহায্য করবে, আর সেই লোকটিকে হতে হবে তার বংশের নেতা।
5. যারা তোমাকে সাহায্য করবে তাদের নাম হল রূবেণ-গোষ্ঠীর শদেয়ূরের ছেলে ইলীষূর,
6. শিমিয়োন-গোষ্ঠীর সূরীশদ্দয়ের ছেলে শলুমীয়েল,
7. যিহূদা-গোষ্ঠীর অম্মীনাদবের ছেলে নহশোন,
8. ইষাখর-গোষ্ঠীর সূয়ারের ছেলে নথনেল,
9. সবূলূন-গোষ্ঠীর হেলোনের ছেলে ইলীয়াব,
10. যোষেফের ছেলেদের মধ্যে ইফ্রয়িম-গোষ্ঠীর অম্মীহূদের ছেলে ইলীশামা আর মনঃশি-গোষ্ঠীর পদাহসূরের ছেলে গমলীয়েল,
11. বিন্যামীন-গোষ্ঠীর গিদিয়োনির ছেলে অবীদান,
12. দান-গোষ্ঠীর অম্মীশদ্দয়ের ছেলে অহীয়েষর,
13. আশের-গোষ্ঠীর অক্রণের ছেলে পগীয়েল,
14. গাদ-গোষ্ঠীর দ্যূয়েলের ছেলে ইলীয়াসফ,
15. আর নপ্তালি-গোষ্ঠীর ঐননের ছেলে অহীরঃ।”
16. ইস্রায়েলীয়দের মধ্য থেকে এই সব লোকদের নিযুক্ত করা হল। এঁরা হলেন তাঁদের পূর্বপুরুষদের গোষ্ঠীর নেতা এবং ইস্রায়েলীয়দের বিভিন্ন বংশের কর্তা।
17-18. সদাপ্রভু যাঁদের নাম বলেছিলেন মোশি ও হারোণ তাদের ডেকে নিলেন এবং সেই বছরের দ্বিতীয় মাসের প্রথম দিনে তাঁরা সমস্ত ইস্রায়েলীয়দের একসংগে জড়ো করলেন। ইস্রায়েলীয়েরা বংশ ও পরিবারের নাম বলে তাদের পূর্বপুরুষদের পরিচয় দিল। বিশ বা তার বেশী বয়সের পুরুষদের নাম এক এক করে লিখে নেওয়া হল।
19. সিনাই মরু-এলাকায় মোশি সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে লোকদের গণনা করলেন।
20. ইস্রায়েলের বড় ছেলে রূবেণের বংশধরদের মধ্যে যাদের বয়স বিশ বা তার বেশী, অর্থাৎ যারা যুদ্ধে যাওয়ার মত হয়েছিল, বংশ ও পরিবারের পরিচয় অনুসারে এক এক করে তাদের নাম লিখে নেওয়া হল।
21. রূবেণ-গোষ্ঠী থেকে যাদের পাওয়া গেল তাদের সংখ্যা হল ছেচল্লিশ হাজার পাঁচশো।
22. শিমিয়োনের বংশধরদের মধ্যে যাদের বয়স বিশ বা তার বেশী, অর্থাৎ যারা যুদ্ধে যাওয়ার মত হয়েছিল, বংশ ও পরিবারের পরিচয় অনুসারে গণনা করে এক এক করে তাদের নাম লিখে নেওয়া হল।
23. শিমিয়োন-গোষ্ঠী থেকে যাদের পাওয়া গেল তাদের সংখ্যা হল ঊনষাট হাজার তিনশো।
24. গাদের বংশধরদের মধ্যে যাদের বয়স বিশ বা তার বেশী, অর্থাৎ যারা যুদ্ধে যাওয়ার মত হয়েছিল, বংশ ও পরিবারের পরিচয় অনুসারে তাদের নাম লিখে নেওয়া হল।
25. গাদ-গোষ্ঠী থেকে যাদের পাওয়া গেল তাদের সংখ্যা হল পঁয়তাল্লিশ হাজার ছ’শো পঞ্চাশ।
26. যিহূদার বংশধরদের মধ্যে যাদের বয়স বিশ বা তার বেশী, অর্থাৎ যারা যুদ্ধে যাওয়ার মত হয়েছিল, বংশ ও পরিবারের পরিচয় অনুসারে তাদের নাম লিখে নেওয়া হল।
27. যিহূদা-গোষ্ঠী থেকে যাদের পাওয়া গেল তাদের সংখ্যা হল চুয়াত্তর হাজার ছ’শো।
28. ইষাখরের বংশধরদের মধ্যে যাদের বয়স বিশ বা তার বেশী, অর্থাৎ যারা যুদ্ধে যাওয়ার মত হয়েছিল, বংশ ও পরিবারের পরিচয় অনুসারে তাদের নাম লিখে নেওয়া হল।
29. ইষাখর-গোষ্ঠী থেকে যাদের পাওয়া গেল তাদের সংখ্যা হল চুয়ান্ন হাজার চারশো।
30. সবূলূনের বংশধরদের মধ্যে যাদের বয়স বিশ বা তার বেশী, অর্থাৎ যারা যুদ্ধে যাওয়ার মত হয়েছিল, বংশ ও পরিবারের পরিচয় অনুসারে তাদের নাম লিখে নেওয়া হল।
31. সবূলূন-গোষ্ঠী থেকে যাদের পাওয়া গেল তাদের সংখ্যা হল সাতান্ন হাজার চারশো।
32. যোষেফের ছেলেদের মধ্যে ইফ্রয়িমের বংশধরদের মধ্যে যাদের বয়স বিশ বা তার বেশী, অর্থাৎ যারা যুদ্ধে যাওয়ার মত হয়েছিল, বংশ ও পরিবারের পরিচয় অনুসারে তাদের নাম লিখে নেওয়া হল।
33. ইফ্রয়িম-গোষ্ঠী থেকে যাদের পাওয়া গেল তাদের সংখ্যা হল চল্লিশ হাজার পাঁচশো।
34. মনঃশির বংশধরদের মধ্যে যাদের বয়স বিশ বা তার বেশী, অর্থাৎ যারা যুদ্ধে যাওয়ার মত হয়েছিল, বংশ ও পরিবারের পরিচয় অনুসারে তাদের নাম লিখে নেওয়া হল।
35. মনঃশি-গোষ্ঠী থেকে যাদের পাওয়া গেল তাদের সংখ্যা হল বত্রিশ হাজার দু’শো।
36. বিন্যামীনের বংশধরদের মধ্যে যাদের বয়স বিশ বা তার বেশী, অর্থাৎ যারা যুদ্ধে যাওয়ার মত হয়েছিল, বংশ ও পরিবারের পরিচয় অনুসারে তাদের নাম লিখে নেওয়া হল।
37. বিন্যামীন-গোষ্ঠী থেকে যাদের পাওয়া গেল তাদের সংখ্যা হল পঁয়ত্রিশ হাজার চারশো।
38. দানের বংশধরদের মধ্যে যাদের বয়স বিশ বা তার বেশী, অর্থাৎ যারা যুদ্ধে যাওয়ার মত হয়েছিল, বংশ ও পরিবারের পরিচয় অনুসারে তাদের নাম লিখে নেওয়া হল।
39. দান-গোষ্ঠী থেকে যাদের পাওয়া গেল তাদের সংখ্যা হল বাষট্টি হাজার সাতশো।
40. আশেরের বংশধরদের মধ্যে যাদের বয়স বিশ বা তার বেশী, অর্থাৎ যারা যুদ্ধে যাওয়ার মত হয়েছিল, বংশ ও পরিবারের পরিচয় অনুসারে তাদের নাম লিখে নেওয়া হল।
41. আশের-গোষ্ঠী থেকে যাদের পাওয়া গেল তাদের সংখ্যা হল একচল্লিশ হাজার পাঁচশো।
42. নপ্তালির বংশধরদের মধ্যে যাদের বয়স বিশ বা তার বেশী, অর্থাৎ যারা যুদ্ধে যাওয়ার মত হয়েছিল, বংশ ও পরিবারের পরিচয় অনুসারে তাদের নাম লিখে নেওয়া হল।
43. নপ্তালি-গোষ্ঠী থেকে যাদের পাওয়া গেল তাদের সংখ্যা হল তিপ্পান্ন হাজার চারশো।
44. মোশি, হারোণ ও ইস্রায়েলীয়দের বারোজন নেতা এই সব লোকদের সংখ্যা গণনা করলেন। এঁরা প্রত্যেকেই তাঁর নিজের বংশের নেতা ছিলেন।
45. সমস্ত ইস্রায়েলীয়দের মধ্যে যাদের বয়স বিশ বা তার বেশী, অর্থাৎ যারা যুদ্ধে যাওয়ার মত হয়েছিল পরিবার অনুসারে তাদের গণনা করা হল।
46. তাদের মোট সংখ্যা ছিল ছয় লক্ষ তিন হাজার পাঁচশো পঞ্চাশ।
47. কিন্তু এদের সংগে লেবি-গোষ্ঠীর লোকদের গণনা করা হয় নি।
48. সদাপ্রভু মোশিকে বলেছিলেন,
49. “তুমি লেবি-গোষ্ঠীকে গণনা করবে না, কিম্বা লোকগণনার সময় অন্যান্য ইস্রায়েলীয়দের মধ্যে তাদের ধরবে না।
50. সাক্ষ্য-তাম্বুর সাজ-সরঞ্জাম ও তার সমস্ত কিছুর দেখাশোনার ভার তুমি তাদের উপর দেবে। তাদের কাজ হবে আবাস-তাম্বু এবং তার সমস্ত সাজ-সরঞ্জাম বয়ে নেওয়া। এর দেখাশোনার ভার তাদেরই নিতে হবে এবং তাদেরই এর চারপাশে তাম্বু খাটিয়ে থাকতে হবে।
51. আবাস-তাম্বুটা যখন অন্য কোথাও নিয়ে যেতে হবে তখন লেবীয়েরাই সেটা খুলে নেবে এবং যখন সেটা খাটাতে হবে তখন তাদেরই তা খাটাতে হবে। অন্য কেউ তার কাছে গেলে তাকে মেরে ফেলা হবে।
52. নিজের নিজের দল অনুসারে ইস্রায়েলীয়েরা তাদের তাম্বু খাটাবে। প্রত্যেককেই তার নিজের বিভাগীয় জায়গায় বিভাগীয় পতাকার তলায় থাকতে হবে।
53. যাতে ইস্রায়েলীয়দের উপর সদাপ্রভুর শাস্তি নেমে না আসে সেইজন্য সাক্ষ্য-তাম্বুর চারপাশে লেবীয়দের তাম্বু খাটিয়ে থাকতে হবে। সাক্ষ্য-তাম্বুর দেখাশোনার জন্য লেবীয়েরাই দায়ী থাকবে।”
54. সদাপ্রভু মোশিকে যা আদেশ করেছিলেন ইস্রায়েলীয়েরা ঠিক তা-ই করল।