1. বাবিলের রাজা নবূখদ্নিৎসর যে সব লোকদের বন্দী করে বাবিলে নিয়ে গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে অনেকেই বন্দী অবস্থা থেকে যিরূশালেম ও যিহূদায় নিজের নিজের শহর ও গ্রামে ফিরে এসেছিল।
2. এই লোকেরা সরুব্বাবিল, যেশূয়, নহিমিয়, সরায়, রিয়েলায়, মর্দখয়, বিল্শন, মিসপর, বিগ্বয়, রহূম ও বানার সংগে ফিরে এসেছিল।যে সমস্ত ইস্রায়েলীয় পুরুষ লোকেরা ফিরে এসেছিল তাদের সংখ্যা এই:
3. পরোশের বংশের লোকেরা দু’হাজার একশো বাহাত্তর জন;
4. শফটিয়ের তিনশো বাহাত্তর জন;
5. আরহের সাতশো পঁচাত্তর জন;
6. পহৎ-মোয়াবের বংশের যেশূয় ও যোয়াবের বংশের লোকেরা দু’হাজার আটশো বারো জন;
7. এলমের এক হাজার দু’শো চুয়ান্ন জন;
8. সত্তূর ন’শো পঁয়তাল্লিশ জন;
9. সক্কয়ের সাতশো ষাট জন;
10-12. বানির ছ’শো বিয়াল্লিশ জন; বেবয়ের ছ’শো তেইশ জন; অস্গদের এক হাজার দু’শো বাইশ জন;
13. অদোনীকামের ছ’শো ছেষট্টি জন;
14. বিগ্বয়ের দু’হাজার ছাপান্ন জন;
15. আদীনের চারশো চুয়ান্ন জন;
16. যিহিষ্কিয়ের বংশধর আটেরের বংশের আটানব্বইজন;
17. বেৎসয়ের তিনশো তেইশ জন;
18. যোরাহের একশো বারো জন;
19-21. হশুমের দু’শো তেইশ জন; গিব্বরের পঁচানব্বইজন; বৈৎলেহম গ্রামের লোক একশো তেইশ জন;
22. নটোফার লোক ছাপান্নজন;
23. অনাথোতের লোক একশো আটাশ জন;
24. অস্মাবতের লোক বিয়াল্লিশজন;
25. কিরিয়ৎ-আরীম, কফীরা ও বেরোতের লোক সাতশো তেতাল্লিশ জন;
26. রামা ও গেবার লোক ছ’শো একুশ জন;
27. মিক্মসের লোক একশো বাইশ জন;
28. বৈথেল এবং অয়ের লোক দ’ুশো তেইশ জন;
29-31. নবোর লোক বাহান্নজন; মগ্বীশের লোক একশো ছাপান্ন জন; অন্য এলমের লোক এক হাজার দু’শো চুয়ান্ন জন;
32. হারীমের লোক তিনশো বিশ জন;
33. লোদ, হাদীদ এবং ওনোর লোক সাতশো পঁচিশ জন;
34. যিরীহোর লোক তিনশো পঁয়তাল্লিশ জন;
35. সনায়ার লোক তিন হাজার ছ’শো ত্রিশ জন।
36. পুরোহিতদের সংখ্যা এই: যিদয়িয়ের বংশের যেশূয়ের বংশের লোকেরা ন’শো তিয়াত্তর জন;
37. ইম্মেরের এক হাজার বাহান্ন জন;
38. পশ্হূরের এক হাজার দু’শো সাতচল্লিশ জন;
39. হারীমের এক হাজার সতেরো জন।
40. লেবীয়দের সংখ্যা এই: যেশূয় ও কদ্মীয়েলের বংশের হোদবিয়ের বংশের লোকেরা চুয়াত্তরজন।
41. গায়কদের সংখ্যা এই: আসফের বংশের একশো আটাশ জন।
42. উপাসনা-ঘরের রক্ষীদের সংখ্যা মোট একশো ঊনচল্লিশ জন। এরা হল শল্লুম, আটের, টল্মোন, অক্কূব, হটীটা ও শোবয়ের বংশের লোক।
43. উপাসনা-ঘরের সেবাকারীরা: এরা হল সীহ, হসূফা ও টব্বায়োতের বংশধরেরা;
44. কেরোস, সীয় ও পাদোনের বংশধরেরা;
45. লবানা, হগাব ও অক্কূবের বংশধরেরা;
46-48. হাগব, শম্লয় ও হাননের বংধরেরা; গিদ্দেল, গহর ও রায়ার বংশধরেরা; রৎসীন, নকোদ ও গসমের বংশধরেরা;
49. উষ, পাসেহ ও বেষয়ের বংশধরেরা;
50. অস্না, মিয়ূনীম ও নফূষীমের বংশধরেরা;
51. বক্বূক, হকূফা ও হর্হূরের বংশধরেরা;
52. বসলূত, মহীদা ও হর্শার বংশধরেরা;
53. বর্কোস, সীষরা ও তেমহের বংশধরেরা;
54. নৎসীহ ও হটীফার বংশধরেরা।
55. শলোমনের চাকরদের বংশধরেরা: এরা হল সোটয়, হস্সোফেরত, পরূদা,
56. যালা, দর্কোন, গিদ্দেল,
57. শফটিয়, হটীল, পোখেরৎ-হৎসবায়ীম ও আমীরের বংশধরেরা।
58. উপাসনা-ঘরের সেবাকারীরা ও শলোমনের চাকরদের বংশধরেরা মোট তিনশো বিরানব্বই জন।
59. তেল্-মেলহ, তেল্-হর্শা, করূব, অদ্দন ও ইম্মেরের এলাকা থেকে যারা এসেছিল তারা ইস্রায়েলীয় বলে নিজেদের প্রমাণ করতে পারল না।
60. তারা হল দলায়, টোবিয় ও নকোদের বংশের ছ’শো বাহান্ন জন।
61-62. পুরোহিতদের মধ্য থেকে হবায়, হক্কোস ও বর্র্সিল্লয়ের বংশধরেরা বংশ-তালিকার মধ্যে তাদের বংশের খোঁজ করেছিল কিন্তু পায় নি বলে অশুচি হিসাবে পুরোহিতদের মধ্য থেকে তাদের বাদ দেওয়া হয়েছিল। বর্সিল্লয়কে ঐ নামে ডাকা হত, কারণ সে গিলিয়দীয় বর্সিল্লয়ের একটি মেয়েকে বিয়ে করেছিল।
63. শাসনকর্তা তাদের আদেশ দিলেন যতদিন ঊরীম ও তুম্মীম ব্যবহার করবার অধিকারী কোন পুরোহিত পাওয়া না যায় ততদিন পর্যন্ত তারা যেন মহাপবিত্র খাবারের কিছু না খায়।
64. বন্দীদশা থেকে ফিরে আসা গোটা দলটার লোকসংখ্যা ছিল বিয়াল্লিশ হাজার তিনশো ষাট জন।
65. এছাড়া সাত হাজার তিনশো সাঁইত্রিশ জন চাকর-চাকরাণী এবং দু’শো জন গায়ক-গায়িকা ছিল।
66. তাদের সাতশো ছত্রিশটা ঘোড়া, দু’শো পঁয়তাল্লিশটা খচ্চর,
67. চারশো পঁয়ত্রিশটা উট ও ছয় হাজার সাতশো বিশটা গাধা ছিল।
68. তারা যিরূশালেমে সদাপ্রভুর ঘরে পৌঁছালে পর তাদের কয়েকজন বংশ-নেতা ঈশ্বরের ঘরটা আগের জায়গায় আবার তৈরী করবার জন্য নিজের ইচ্ছায় দান করলেন।
69. তাঁদের ক্ষমতা অনুসারে এই কাজের জন্য তাঁরা চারশো পাঁচ কেজি সোনা, তিন হাজার দু’শো পঞ্চাশ কেজি রূপা ও পুরোহিতদের জন্য একশোটা পোশাক ধনভাণ্ডারে দিলেন।
70. পুরোহিতেরা, লেবীয়েরা, গায়কেরা, উপাসনা-ঘরের রক্ষীরা ও সেবাকারীরা এবং অন্যান্য লোকেরা, অর্থাৎ সমস্ত ইস্রায়েলীয়েরা যে যার গ্রাম ও শহরে বাস করতে লাগল।