ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

আদিপুস্তক 41:33-51 পবিত্র বাইবেল (SBCL)

33. “সেইজন্য এখন মহারাজ এমন একজন লোককে খুঁজে বের করুন যিনি জ্ঞানী এবং বুদ্ধিমান। তাঁর উপর আপনি মিসর দেশের ভার দিন।

34. তা ছাড়া অন্যান্য কর্মচারীও আপনি নিযুক্ত করুন। দেশে ঐ সাত বছরে যখন প্রচুর ফসল হবে, তখন তাঁরাই তার পাঁচ ভাগের এক ভাগ সংগ্রহ করবেন।

35. সেই লোকেরা যেন ঐ সব সুদিনের বাড়তি শস্য সংগ্রহ করে মহারাজের অধীনে প্রত্যেকটি শহরে ভবিষ্যতে খাওয়ার জন্য মজুদ করে রাখেন এবং তা রক্ষা করবার ব্যবস্থা করেন।

36. সাত বছর মিসর দেশে যে দুর্ভিক্ষ হবে তখনকার খাবার হিসাবে যেন শস্য মজুদ করে রাখা হয়, যাতে দুর্ভিক্ষের সময় দেশের লোক মারা না যায়।”

37. যোষেফের এই ব্যবস্থার কথাটা ফরৌণ ও তাঁর সব কর্মচারীদের কাছে ভাল বলে মনে হল।

38. ফরৌণ তাঁর কর্মচারীদের বললেন, “এই লোকটির মধ্যে এমন কিছু রয়েছে যা এই পৃথিবীর নয়। এর মত আর কাকে আমরা খুঁজে পাব?”

39. এর পর ফরৌণ যোষেফকে বললেন, “তোমার ঈশ্বর যখন তোমার কাছেই এই সব প্রকাশ করেছেন তখন তোমার মত জ্ঞানী ও বুদ্ধিমান আর কে আছে?

40. কাজেই রাজবাড়ীর সমস্ত ভার তোমাকেই নিতে হবে। তোমার মুখের হুকুম মেনেই আমার সমস্ত লোকেরা চলবে। কেবল রাজা হিসাবে আমি তোমার উপরে থাকব।”

41. ফরৌণ যোষেফকে আরও বললেন, “মনে রেখ, আমি সারা মিসর দেশের উপর তোমাকে নিযুক্ত করলাম।”

42. তারপর ফরৌণ নিজের হাত থেকে সীলমোহর দেওয়ার আংটিটা খুলে নিয়ে যোষেফের হাতে পরিয়ে দিলেন। তিনি তাঁকে সুন্দর কাপড় পরিয়ে তাঁর গলায় একটা সোনার হার দিলেন।

43. এর পর তিনি যোষেফকে তাঁর রাজ্যের দ্বিতীয় রথে বসালেন। রথ চলবার সময় যোষেফের আগে আগে ঘোষণা করা হল, “হাঁটু পাত, হাঁটু পাত।” এইভাবে ফরৌণ যোষেফের উপর সমস্ত মিসর দেশের ভার দিলেন।

44. পরে তিনি যোষেফকে বললেন, “যদিও আমি এখনও রাজাই আছি তবুও সারা মিসর দেশের লোক তোমার হুকুমেই ওঠা-বসা করবে।”

45. ফরৌণ যোষেফের নতুন নাম দিলেন সাফনৎ-পানেহ। ওন্‌ শহরের পুরোহিত পোটীফেরের মেয়ে আসনতের সংগে তিনি যোষেফের বিয়ে দিলেন। এর পর যোষেফ গোটা মিসর দেশটা ঘুরে আসবার জন্য বেরিয়ে পড়লেন।

46. যোষেফ যখন মিসরের রাজা ফরৌণের কাজে নিযুক্ত হলেন তখন তাঁর বয়স ছিল ত্রিশ বছর। তিনি ফরৌণের রাজসভা থেকে বের হয়ে মিসর দেশের সমস্ত জায়গা ঘুরে আসলেন।

47. প্রচুর ফসলের সেই সাত বছরে দেশে অনেক ফসল হল।

48. তখন যোষেফ সেই সাত বছর ধরে মিসরের সমস্ত বাড়তি শস্য শহরের গোলাঘরগুলোতে মজুদ করলেন। তিনি প্রত্যেক শহরে তার চারপাশের ক্ষেতগুলো থেকে ফসল এনে জমা করলেন।

49. এইভাবে তিনি সমুদ্রের বালুকণার মত প্রচুর শস্য মজুদ করলেন। এত বেশী শস্য জমা হতে লাগল যে, তা আর মাপা সম্ভব হল না। তাই তিনি তা মেপে নেওয়া বন্ধ করে দিলেন।

50. দুর্ভিক্ষের আগে ওন্‌ শহরের পুরোহিত পোটীফেরের মেয়ে আসনতের গর্ভে যোষেফের দু’টি ছেলের জন্ম হয়েছিল।

51. যোষেফ তাঁর বড় ছেলের নাম রাখলেন মনঃশি (যার মানে “ভুলে যাওয়া”)। তিনি বললেন, “ঈশ্বর আমার সমস্ত দুঃখ-কষ্ট এবং আমার বাবার বাড়ীর কথা আমার মন থেকে মুছে ফেলেছেন।”

সম্পূর্ণ অধ্যায় পড়ুন আদিপুস্তক 41