ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

আদিপুস্তক 30:13-27 পবিত্র বাইবেল (SBCL)

13. তখন লেয়া বললেন, “কি সুখ আমার! স্ত্রীলোকেরা সবাই আমাকে সুখী বলবে।” তাই তিনি ছেলেটির নাম দিলেন আশের (যার মানে “সুখী”)।

14. গম কাটবার সময় রূবেণ মাঠে গিয়ে কতগুলো দূদাফল পেল এবং সেগুলো এনে তার মা লেয়াকে দিল। তখন রাহেল লেয়াকে বললেন, “তোমার ছেলে যে দূদাফল এনেছে তা থেকে আমাকে কয়েকটা দাও।”

15. কিন্তু লেয়া তাঁকে বললেন, “তুমি আমার স্বামীকে দখল করে নিয়েছ, সেটা কি যথেষ্ট হয় নি? আবার তুমি আমার ছেলের আনা দূদাফলও নিতে চাও?”উত্তরে রাহেল বললেন, “তাহলে তোমার ছেলের আনা দূদাফলের বদলে আজ রাতে তিনি তোমার সংগে থাকবেন।”

16. সন্ধ্যাবেলা যাকোবকে মাঠ থেকে ফিরে আসতে দেখেই লেয়া বের হয়ে এসে তাঁকে বললেন, “আজ তুমি আমার সংগে থাকবে, কারণ আমার ছেলের আনা দূদাফল দিয়ে আমি তোমাকে কিনে নিয়েছি।” কাজেই সেই রাতে যাকোব লেয়ার ঘরে শুতে গেলেন।

17. ঈশ্বর লেয়ার প্রার্থনা শুনলেন আর তিনি গর্ভবতী হয়ে পঞ্চমবারের মত যাকোবের ছেলের মা হলেন।

18. তখন লেয়া বললেন, “আমি আমার স্বামীর হাতে আমার দাসীকে দিয়েছিলাম বলে ঈশ্বর আমাকে তার পুরস্কার দিলেন।” সেইজন্য তিনি ছেলেটির নাম দিলেন ইষাখর (যার মানে “পুরস্কার”)।

19. এর পর লেয়া আবার গর্ভবতী হয়ে ষষ্ঠবার যাকোবের ছেলের মা হলেন।

20. তখন লেয়া বললেন, “ঈশ্বর আমাকে খুব ভাল একটা উপহার দিলেন। এখন থেকে আমার স্বামী আমাকে আমার পাওনা সম্মান দেবেন, কারণ আমার গর্ভে তাঁর ছয়টি ছেলের জন্ম হয়েছে।” এই বলে তিনি ছেলেটির নাম রাখলেন সবূলূন (যার মানে “সম্মান”)।

21. তারপর লেয়ার একটি মেয়ে হল। তিনি মেয়েটির নাম রাখলেন দীণা।

22. এর পরে ঈশ্বর রাহেলের দিকে মনোযোগ দিলেন। তিনি রাহেলের প্রার্থনার উত্তরে তাঁকে গর্ভধারণের ক্ষমতা দান করলেন।

23. এতে রাহেল গর্ভবতী হলেন এবং তাঁর একটি ছেলে হল। তখন তিনি বললেন, “ঈশ্বর আমার অসম্মান দূর করেছেন।”

24. তিনি ছেলেটির নাম রাখলেন যোষেফ (যার মানে “তিনি যেন আরও দেন”), কারণ তিনি বলেছিলেন, “সদাপ্রভু আমাকে আরও একটি ছেলে দান করুন।”

25. রাহেলের গর্ভে যোষেফের জন্ম হলে পর যাকোব লাবনকে বললেন, “এবার আমাকে বিদায় দিন যাতে আমি নিজের দেশে এবং নিজের বাড়ীতে ফিরে যেতে পারি।

26. আমার ছেলেমেয়ে ও স্ত্রীদের জন্যই আমি আপনার কাজ করেছি। এবার তাদের নিয়ে আমাকে চলে যেতে দিন। আপনি তো নিজেই জানেন কিভাবে আমি আপনার কাজ করেছি।”

27. কিন্তু লাবন তাঁকে বললেন, “যদি আমার উপর তোমার অসন্তুষ্ট হবার কোন কারণ না থাকে তবে যেয়ো না। নানা রকম লক্ষণ থেকে আমি বুঝতে পেরেছি যে, তোমার জন্যই সদাপ্রভু আমাকে আশীর্বাদ করেছেন।”

সম্পূর্ণ অধ্যায় পড়ুন আদিপুস্তক 30