ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

আদিপুস্তক 26:15-32 পবিত্র বাইবেল (SBCL)

15. অব্রাহামের সময়ে তাঁর দাসেরা যে সব কূয়া খুঁড়েছিল পলেষ্টীয়েরা সেগুলো মাটি ফেলে বন্ধ করে দিয়েছিল।

16. পরে অবীমেলক ইস্‌হাককে বললেন, “আপনি আমাদের কাছ থেকে চলে যান, কারণ আপনি আমাদের চেয়ে বেশী শক্তিশালী হয়ে উঠেছেন।”

17. কাজেই ইস্‌হাক সেখান থেকে সরে গিয়ে গরারের শুকনা নদীর উপরে তাম্বু ফেলে বাস করতে লাগলেন।

18. সেখানে তাঁর বাবা অব্রাহামের সময়ে যে সব কূয়া খোঁড়া হয়েছিল ইস্‌হাক আবার সেই কূয়াগুলো খুঁড়িয়ে নিলেন, কারণ অব্রাহামের মৃত্যুর পর পলেষ্টীয়েরা সেগুলো বন্ধ করে দিয়েছিল। তাঁর বাবা সেই কূয়াগুলোর যেটির যে নাম দিয়েছিলেন তিনি সেটির সেই নামই দিলেন।

19. ইস্‌হাকের দাসেরা সেই শুকনা নদীতে কূয়া খুঁড়তে গিয়ে এমন একটা কূয়া খুঁজে পেল যার তলা থেকে জল উঠছিল।

20. কিন্তু গরারের রাখালেরা ইস্‌হাকের রাখালদের সংগে ঝগড়া করে বলল, “এই জল আমাদের।” এই ঝগড়ার জন্য ইস্‌হাক সেই কূয়ার নাম দিলেন এষক (যার মানে “ঝগড়া”)।

21. পরে ইস্‌হাকের রাখালেরা আর একটা কূয়া খুঁড়ল, কিন্তু সেটা নিয়েও তারা ঝগড়া করতে লাগল। এ দেখে ইস্‌হাক সেটার নাম দিলেন সিট্‌না (যার মানে “শত্রুতা”)।

22. তারপর ইস্‌হাক সেখান থেকে সরে গিয়ে আর একটা কূয়া খুঁড়ালেন। এবার কিন্তু পলেষ্টীয়েরা তা নিয়ে কোন ঝগড়া-বিবাদ করল না। ইস্‌হাক সেই কূয়াটার নাম রাখলেন রহোবোৎ (যার মানে “অনেক জায়গা”)। তিনি বললেন, “শেষ পর্যন্ত সদাপ্রভুই আমাদের জায়গা করে দিলেন যাতে আমরা এখানেই সংখ্যায় বেড়ে উঠতে পারি।”

23. পরে ইস্‌হাক সেখান থেকে সরে বের্‌-শেবাতে গেলেন।

24. সেই রাতেই সদাপ্রভু তাঁকে দেখা দিয়ে বললেন, “আমি তোমার বাবা অব্রাহামের ঈশ্বর। কোন ভয় কোরো না, কারণ আমি তোমার সংগে আছি। আমার দাস অব্রাহামের জন্যই আমি তোমাকে আশীর্বাদ করব এবং তোমার বংশ বাড়িয়ে দেব।”

25. তখন ইস্‌হাক সেখানে একটা বেদী তৈরী করলেন এবং সদাপ্রভুকে তাঁর যোগ্য সম্মান দিলেন। সেখানেই তিনি তাঁর তাম্বু ফেললেন এবং তাঁর দাসেরা আর একটা কূয়া খুঁড়ল।

26. এর পর অবীমেলক তাঁর মন্ত্রী অহূষৎ ও প্রধান সেনাপতি ফীখোলকে নিয়ে গরার থেকে ইস্‌হাকের কাছে আসলেন।

27. ইস্‌হাক তাঁদের বললেন, “আপনারা আমার কাছে কেন এসেছেন? আপনারা তো হিংসা করে আমাকে আপনাদের কাছ থেকে দূর করে দিয়েছেন।”

28. তাঁরা বললেন, “আমরা এখন পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছি সদাপ্রভু আপনার সংগে আছেন। তাই আমরা ঠিক করেছি আপনার ও আমাদের মধ্যে একটা চুক্তি হওয়া দরকার। আসুন, আমরা এই শপথ করি যে,

29. আমরা যেমন আপনার কোন ক্ষতি করি নি বরং ভাল ব্যবহার করে আপনাকে শান্তিতে বিদায় দিয়েছি তেমনি আপনিও আমাদের কোন ক্ষতি করবেন না। আপনি এখন সদাপ্রভুর আশীর্বাদের পাত্র।”

30. এর পর ইস্‌হাক তাঁদের জন্য একটা ভোজের আয়োজন করলেন, আর তাঁরাও খাওয়া-দাওয়া করলেন।

31. পরদিন ভোরে উঠে তাঁরা একে অন্যের কাছে শপথ করলেন। তারপর ইস্‌হাক যখন তাঁদের বিদায় দিলেন তখন তাঁরা মনে শান্তি নিয়ে রওনা হলেন।

32. সেই দিনই ইস্‌হাকের দাসেরা এসে তাদের খোঁড়া একটা কূয়ার কথা তাঁকে জানিয়ে বলল, “আমরা জলের খোঁজ পেয়েছি।”

সম্পূর্ণ অধ্যায় পড়ুন আদিপুস্তক 26