16. কিন্তু ভক্তিহীন অসার কথাবার্তা থেকে দূরে থাক; কেননা সেই সমস্ত কথাবার্তা লোকদেরকে ভক্তি লঙ্ঘনে বেশি অগ্রসর করে তোলে;
17. এবং তাদের কথাবার্তা দুষ্ট ক্ষতের মত ছড়িয়ে পড়বে। এদের মধ্যে আছে হুমিনায় ও ফিলীত।
18. এরা সত্যের সম্বন্ধে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে, বলছে, পুনরুত্থান ইতিমধ্যেই হয়ে গেছে এবং কারো কারো ঈমান উল্টে ফেলছে।
19. তবুও আল্লাহ্-স্থাপিত দৃঢ় ভিত্তিমূল স্থির রয়েছে, তার উপরে এই কথা সীলমোহর করা হয়েছে, “প্রভু জানেন, কারা তাঁর লোক” এবং “যে কেউ প্রভুকে ডাকে, সে অধার্মিকতা থেকে দূরে থাকুক।”
20. কিন্তু কোন বড় বাড়িতে কেবল সোনার ও রূপার পাত্র নয়, কাঠের ও মাটির পাত্রও থাকে; তার কতগুলো সমাদরের, কতগুলো অনাদরের পাত্র।
21. অতএব যদি কেউ নিজেকে ঐসব মন্দতা থেকে পাক-পবিত্র রাখে, তবে সে এমন পাত্রের মত যা সমাদরের, উৎসর্গীকৃত, মালিকের কাজের উপযোগী এবং সমস্ত সৎকর্মের জন্য প্রস্তুত হবে।
22. কিন্তু তুমি যৌবনকালের অভিলাষ থেকে পালিয়ে যাও; এবং যারা পবিত্র অন্তরে প্রভুকে ডাকে তাদের সঙ্গে ধার্মিকতা, ঈমান, মহব্বত ও শান্তির জন্য কঠোরভাবে চেষ্টা কর।
23. কিন্তু মূঢ় ও অজ্ঞান তর্ক-বিতর্ক থেকে দূরে থাক; তুমি তো জান এসব শেষ পর্যন্ত ঝগড়া-বিবাদের সৃষ্টি করে।
24. আর ঝগড়া-বিবাদ করা প্রভুর গোলামের উপযুক্ত নয়; কিন্তু তাকে হতে হবে সকলের প্রতি কোমল, শিক্ষাদানে নিপুণ, সহনশীল;
25. এবং কোমলভাবে বিরোধীদেরকে শাসন করা তার উচিত। হয় তো আল্লাহ্ তাদেরকে মন পরিবর্তনের সুযোগ দান করবেন যেন তারা সত্যের তত্ত্বজ্ঞান লাভ করে,
26. যেন ইবলিসের ফাঁদ থেকে পালিয়ে আসতে পারে, কারণ ইবলিস তার ইচ্ছা পালন করার জন্য তাদের বন্দী করে রেখেছে।