4. আর আমার কথা ও আমার তবলিগ জ্ঞানের বাক্চাতুর্যে মনোহর ছিল না, বরং পাক-রূহের ও পরাক্রমের প্রদর্শনযুক্ত ছিল,
5. যেন তোমাদের ঈমান মানুষের জ্ঞানের উপরে নয় কিন্তু আল্লাহ্র পরাক্রমের উপরে নির্ভর করে।
6. তবুও আমরা পরিপক্কদের মধ্যে জ্ঞানের কথা বলছি, কিন্তু সেই জ্ঞান এই যুগের নয় এবং এই যুগের শাসনকর্তাদেরও নয়, এরা তো ক্ষমতাশূন্য হয়ে পড়ছেন।
7. কিন্তু আমরা আল্লাহ্র সেই নিগূঢ়তত্ত্বরূপ জ্ঞানের কথা বলছি, যা গুপ্ত ছিল, যা আল্লাহ্ আমাদের মহিমার জন্য যুগপর্যায়ের পূর্বেই নির্ধারণ করেছিলেন।
8. এই যুগের শাসনকর্তাদের মধ্যে কেউ তা জানেন নাই; কেননা যদি জানতেন, তবে মহিমার প্রভুকে ক্রুশে দিতেন না।
9. কিন্তু, যেমন লেখা আছে,“চোখ যা দেখে নি, কান যা শোনে নিএবং মানুষের হৃদয়াকাশে যা ওঠে নি,যারা তাঁকে মহব্বত করে,আল্লাহ্ তাদের জন্য তা প্রস্তুত করে রেখেছেন।”
10. কারণ আমাদের কাছে আল্লাহ্ তাঁর রূহ্ দ্বারা তা প্রকাশ করেছেন, কেননা পাক-রূহ্ সকলই অনুসন্ধান করেন, আল্লাহ্র গভীর বিষয় সকলও অনুসন্ধান করেন।
11. কারণ মানুষের মধ্যে কে মানুষের সত্যিকারের বিষয়সমূহ জানে? কেবল মানুষের অন্তরস্থ রূহ্ই তার চিন্তা সকল জানে; তেমনি আল্লাহ্র বিষয়গুলো কেউ জানে না, কেবল আল্লাহ্র রূহ্ই তা জানেন।