অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

১ ইউহোন্না 2 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

মসীহ্‌ গুনাহ্‌র কাফ্‌ফারা সাধন করেছেন

1. হে আমার সন্তানেরা, তোমাদেরকে এই সব লিখছি, যেন তোমরা গুনাহ্‌ না কর। আর যদি কেউ গুনাহ্‌ করে, তবে পিতার কাছে আমাদের এক সহায় আছেন, তিনি ধার্মিক ঈসা মসীহ্‌।

2. আর তিনিই আমাদের গুনাহ্‌র কাফ্‌ফারা দিয়েছেন, কেবল আমাদের নয়, কিন্তু সমস্ত দুনিয়ার গুনাহ্‌র কাফ্‌ফারা দিয়েছেন।

3. আর আমরা যদি তাঁর হুকুমগুলো পালন করি, তবে এতেই জানতে পারি যে, আমরা তাঁকে জানি।

4. যে ব্যক্তি বলে, আমি তাঁকে জানি, তবুও তাঁর হুকুমগুলো পালন করে না, সে মিথ্যাবাদী এবং তাঁর অন্তরে সত্য নেই।

5. কিন্তু যে তাঁর কালাম পালন করে, তার অন্তরে সত্যিই আল্লাহ্‌র মহব্বত পূর্ণতা লাভ করেছে। এতেই আমরা জানতে পারি যে, আমরা তাঁর সঙ্গে আছি;

6. যে বলে, “আমি তাঁর সঙ্গে আছি”, তবে যেভাবে তিনি চলতেন সেভাবে তারও চলা উচিত।

নতুন হুকুম

7. প্রিয়তমেরা, আমি তোমাদের কাছে কোন নতুন হুকুমের কথা লিখছি না; বরং এমন এক পুরানো হুকুমের কথা লিখছি, যা তোমরা আদি থেকে পেয়েছ; তোমরা যে কালাম শুনেছ, তা-ই এই পুরানো হুকুম।

8. আবার আমি তোমাদের কাছে একটি নতুন হুকুমের কথা লিখছি, তা তাঁর ও তোমাদের মধ্যে দেখা গেছে; কারণ অন্ধকার ঘুঁচে যাচ্ছে এবং প্রকৃত নূর এখন প্রকাশ পাচ্ছে।

9. যে বলে, আমি নূরে আছি, আর আপন ভাইকে ঘৃণা করে, সে এখনও অন্ধকারে রয়েছে।

10. যে আপন ভাইকে মহব্বত করে সে নূরে বাস করে এবং তার মধ্যে উচোট খাওয়ার কোন কারণ নেই।

11. কিন্তু যে আপন ভাইকে ঘৃণা করে সে অন্ধকারে আছে এবং অন্ধকারে চলে, আর কোথায় যায় তা জানে না, কারণ অন্ধকার তার চোখ অন্ধ করে দিয়েছে।

আল্লাহ্‌র সত্যে ও মহব্বতে স্থির থাকবার বিষয়ে উপদেশ

12. সন্তানেরা, আমি তোমাদেরকে লিখছি, কারণ তাঁর নামের গুণে তোমাদের গুনাহের মাফ হয়েছে।

13. পিতারা, তোমাদেরকে লিখছি, কারণ যিনি আদি থেকে আছেন, তোমরা তাঁকে জান। যুবকেরা, তোমাদেরকে লিখছি, কারণ তোমরা সেই ইবলিসকে জয় করেছ।

14. শিশুরা তোমাদেরকে লিখলাম, কারণ তোমরা পিতাকে জান। পিতারা, তোমাদের লিখলাম, কারণ যিনি আদি থেকে আছেন, তোমরা তাঁকে জান। যুবকেরা, তোমাদের লিখলাম, কারণ তোমরা বলবান এবং আল্লাহ্‌র কালাম তোমাদের অন্তরে বাস করে, আর তোমরা সেই ইবলিসকে জয় করেছ।

15. তোমরা দুনিয়াকে মহব্বত করো না, দুনিয়ার বিষয়গুলোকেও মহব্বত করো না। কেউ যদি দুনিয়াকে মহব্বত করে, তবে পিতার মহব্বত তার অন্তরে নেই।

16. কেননা দুনিয়াতে যা কিছু আছে— গুনাহ্‌-স্বভাবের অভিলাষ, চোখের অভিলাষ ও সাংসারিক বিষয়ে অহংকার— এসব পিতা থেকে নয়, কিন্তু দুনিয়া থেকে হয়েছে।

17. আর দুনিয়া ও তার অভিলাষ লোপ পেতে চলেছে; কিন্তু যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌র ইচ্ছা পালন করে, সে অনন্তকাল স্থায়ী।

আল-দজ্জালের বিষয়ে সাবধানবাণী

18. শিশুরা, শেষকাল উপস্থিত, আর তোমরা যেমন শুনেছ যে, দজ্জাল আসছে, তেমনি এখনই অনেক দজ্জাল বের হয়েছে; এতে আমরা জানি যে, শেষকাল উপস্থিত।

19. তারা আমাদের মধ্য থেকে বের হয়েছে; কিন্তু আমাদের লোক ছিল না; কেননা যদি আমাদের হত তবে আমাদের সঙ্গে থাকতো; কিন্তু তারা বের হয়ে গেছে, যেন প্রকাশ হয়ে পড়ে যে, সকলে আমাদের নয়।

পাক-রূহের অভিষেক

20. আর তোমরা সেই পবিত্রতম থেকে অভিষেক পেয়েছ ও সকলেই জ্ঞান লাভ করেছ।

21. তোমরা সত্য জান না বলে যে আমি তোমাদেরকে লিখলাম, তা নয়; বরং তোমরা সত্যকে জান এবং এও জান যে, সত্য থেকে কোন মিথ্যা কথা বের থেকে হয় না, তাই তোমাদের কাছে লিখলাম।

22. ঈসা-ই মসীহ্‌, এই কথা যে অস্বীকার করে, সে ছাড়া আর মিথ্যাবাদী কে? সেই ব্যক্তি দজ্জাল, যে পিতা ও পুত্রকে অস্বীকার করে।

23. যে কেউ পুত্রকে অস্বীকার করে, সে পিতাকেও পায় নি; যে ব্যক্তি পুত্রকে স্বীকার করে, সে পিতাকেও পেয়েছে।

24. তোমরা আদি থেকে যা শুনেছ, তা তোমাদের অন্তরে থাকুক; আদি থেকে যা শুনেছ, তা যদি তোমাদের অন্তরে থাকে, তবে তোমরাও পুত্রে ও পিতার মধ্যে থাকবে।

25. আর এটা তাঁরই সেই ওয়াদা, যা তিনি নিজে আমাদের কাছে করেছেন, আর তা হল অনন্ত জীবন।

26. যারা তোমাদের ভুল পথে নিয়ে যেতে চায়, তাদের বিষয়ে এসব তোমাদের লিখলাম।

27. আর তোমরা তাঁর কাছ থেকে যে অভিষেক পেয়েছ, তা তোমাদের হৃদয়ে রয়েছে এবং কেউ যে তোমাদেরকে শিক্ষা দেয়, এতে তোমাদের প্রয়োজন নেই; কিন্তু তাঁর সেই অভিষেক যেমন সমস্ত বিষয়ে তোমাদের শিক্ষা দিচ্ছে এবং তা যেমন সত্য, মিথ্যা নয়, এমন কি তা যেমন তোমাদের শিক্ষা দিয়েছে, তেমনি তোমরা তাঁর সংস্পর্শেই থাক।

28. আর এখন, হে সন্তানেরা, তাঁর সান্নিধ্যেই থাক, যেন তিনি যখন প্রকাশিত হন তখন আমরা সাহস পাই, তাঁর আগমন কালে তাঁর সামনে লজ্জিত না হই।

29. যদি তোমরা জান যে, তিনি ধার্মিক, তবে এও জেনে রেখো যে, যে কেউ সঠিক কাজ করে, তাঁর থেকেই তার জন্ম হয়েছে।