10. পরে যাদেরকে পাঠান হয়েছিল, তারা বাড়িতে ফিরে গিয়ে সেই গোলামকে সুস্থ দেখতে পেলেন।
11. কিছু কাল পরে তিনি নায়িন্ নামক নগরে যাত্রা করলেন এবং তাঁর সাহাবীরা ও অনেক লোক তাঁর সঙ্গে যাচ্ছিল।
12. যখন তিনি নগর-দ্বারের নিকটবর্তী হলেন তখন লোকেরা একটি মৃত মানুষকে বহন করে বাইরে নিয়ে যাচ্ছিল; সে তার মায়ের একমাত্র পুত্র এবং সেই মা এক জন বিধবা; আর নগরের অনেক লোক তার সঙ্গে ছিল।
13. তাকে দেখে প্রভু তার প্রতি করুণাবিষ্ট হলেন এবং তাকে বললেন, কেঁদো না।
14. পরে কাছে গিয়ে খাট সপর্শ করলেন; তাতে বাহকেরা দাঁড়ালো। তিনি বললেন, হে যুবক, তোমাকে বলছি, উঠ।
15. তাতে সেই মৃত মানুষটি উঠে বসলো এবং কথা বলতে লাগল; পরে তিনি তাকে তার মায়ের হাতে তুলে দিলেন।
16. তখন সকলে ভয়ে ভীত হল এবং আল্লাহ্কে মহিমান্বিত করে বলতে লাগল, ‘আমাদের মধ্যে এক জন মহান নবীর উদয় হয়েছে’, আর ‘আল্লাহ্ আপন লোকদের তত্ত্বাবধান করেছেন’।
17. পরে সমুদয় এহুদিয়াতে এবং চারদিকে সমস্ত অঞ্চলে তাঁর বিষয়ে এই কথা ছড়িয়ে পড়লো।
18. আর ইয়াহিয়ার সাহাবীরা তাঁকে এসব বিষয়ে সংবাদ দিল।
19. তাতে ইয়াহিয়া তাঁর দু’জন সাহাবীকে ডেকে তাদের দ্বারা প্রভুর কাছে জিজ্ঞাসা করে পাঠালেন, ‘যাঁর আগমন হবে, সেই ব্যক্তি কি আপনি? না, আমরা অন্যের অপেক্ষায় থাকব?’
20. পরে সেই দুই ব্যক্তি তাঁর কাছে এসে বললো, বাপ্তিস্মদাতা ইয়াহিয়া আমাদের দ্বারা আপনার কাছে এই কথা বলে পাঠিয়েছেন, যাঁর আগমন হবে, সেই ব্যক্তি কি আপনি? না, আমরা অন্য জনের অপেক্ষায় থাকব?
21. সেই সময় তিনি অনেক লোককে রোগ, ব্যাধি ও দুষ্ট রূহ্ থেকে সুস্থ করলেন এবং অনেক অন্ধকে দেখবার ক্ষমতা দিলেন।