22. পরে তিনি তৃতীয় বার তাদেরকে বললেন, কেন? এ কি অপরাধ করেছে? আমি তার প্রাণদণ্ডের যোগ্য কোন দোষই পাই নি, অতএব একে শাস্তি দিয়ে ছেড়ে দেব।
23. কিন্তু তারা চিৎকার করে উগ্রভাবে চেঁচাতে থাকলো, যেন তাঁকে ক্রুশে দেওয়া হয়; আর তাদের চিৎকার প্রবল হল।
24. তখন পীলাত তাদের যাচ্ঞা অনুসারে করতে হুকুম দিলেন;
25. দাঙ্গা ও খুন করার কারণে যে ব্যক্তিকে কারাগারে আটক করে রাখা হয়েছিল তারা তাকে চাইলো, তিনি তাকে মুক্ত করলেন, কিন্তু লোকদের ইচ্ছামত ঈসাকে তাদের হাতে তুলে দিলেন।
26. পরে তারা তাঁকে নিয়ে যাচ্ছে, ইতোমধ্যে শিমোন নামে এক জন কুরীণীয় লোক পল্লীগ্রাম থেকে আসছিল, তারা তাকে ধরে তার কাঁধে ক্রুশ চাপিয়ে দিল, যেন সে ঈসার পিছনে পিছনে তা বহন করে।
27. আর অনেক লোক তাঁর পিছনে পিছনে চললো। তাদের মধ্যে অনেক স্ত্রীলোক ছিল, তারা তাঁর জন্য হাহাকার ও মাতম করছিল।
28. কিন্তু ঈসা তাদের দিকে ফিরে বললেন, ওগো জেরুশালেমের কন্যারা, আমার জন্য কেঁদো না, বরং নিজেদের এবং নিজ নিজ সন্তান-সন্ততির জন্য কাঁদ।
29. কেননা দেখ, এমন সময় আসছে, যে সময়ে লোকে বলবে, ধন্য সেই স্ত্রীলোকেরা, যারা বন্ধ্যা, যাদের উদর কখনও প্রসব করে নি, যাদের স্তন কখনও দুধ দেয় নি।