34. তোমার চোখই শরীরের প্রদীপ; তোমার চোখ যখন সরল হয়, তখন তোমার সমস্ত শরীরও আলোতে পূর্ণ হয়; কিন্তু চোখ মন্দ হলে তোমার শরীরও অন্ধকারে পূর্ণ হয়।
35. অতএব দেখো, তোমার অন্তরে যে আলো আছে, তা অন্ধকার কি না।
36. বাস্তবিক, তোমার সমস্ত শরীর যদি আলোতে পূর্ণ হয়, কোনও অংশ অন্ধকারময় না থাকে, তবে প্রদীপ যেমন নিজের তেজে তোমাকে আলো দান করে, তেমনি তোমার শরীর সমপূর্ণভাবে আলোতে পূর্ণ হবে।
37. তিনি কথা বলছেন এমন সময়ে এক জন ফরীশী তাঁকে ভোজনের দাওয়াত করলো; আর তিনি ভিতরে গিয়ে ভোজনে বসলেন।
38. ফরীশী দেখে আশ্চর্য জ্ঞান করলো যে, ভোজনের আগে তিনি গোসল করেন নি।
39. কিন্তু প্রভু তাকে বললেন, তোমরা ফরীশীরা তো পানপাত্রের ও ভোজনপাত্রের বাইরের দিকটা পরিষ্কার করে থাক, কিন্তু তোমাদের ভিতরে দৌরাত্ম্য ও নাফরমানীতে ভরা।
40. নির্বোধেরা, যিনি বাইরের ভাগ তৈরি করেছেন, তিনি কি ভিতরের ভাগও তৈরি করেন নি?
41. বরং ভিতরে যা যা আছে, তা দান কর, আর দেখ, তোমাদের পক্ষে সকলই পাক-পবিত্র।
42. কিন্তু ফরীশীরা, ধিক্ তোমাদেরকে, কেননা তোমরা পুদিনা, তেজপাতা ও সকল প্রকার শাকের দশ ভাগের এক ভাগ দান করে থাক, আর ন্যায়বিচার ও আল্লাহ্-প্রেম উপেক্ষা করে থাক; কিন্তু এসব পালন করা এবং ঐ সমস্ত পরিত্যাগ না করা তোমাদের উচিত ছিল।