16. যেদিন আল্লাহ্ আমার তবলিগকৃত ইঞ্জিল অনুসারে ঈসা মসীহ্ দ্বারা মানুষের গুপ্ত বিষয়গুলোর বিচার করবেন সেদিন তা প্রকাশিত হবে।
17. তুমি হয় তো ইহুদী নামে আখ্যাত, মূসার শরীয়তের উপরে নির্ভর করছো, আল্লাহ্কে নিয়ে গর্ববোধ করছো,
18. শরীয়ত থেকে শিক্ষা লাভ করাতে তাঁর ইচ্ছা জানে এবং যা যা শ্রেয় সেই সবের অনুমোদন করে থাক,
19. নিশ্চয় বুঝেছ যে, তুমিই অন্ধদের পথ প্রদর্শক, যারা অন্ধকারে বাস করে তুমিই তাদের নূর,
20. তুমি অবোধদের সংশোধন-কারী, শিশুদের শিক্ষক, কারণ তুমি শরীয়তের মধ্যে জ্ঞান ও সত্যের পরিচয় পেয়েছ।
21. ভাল, তুমি যে অপরকে শিক্ষা দিচ্ছ, তুমি নিজেকে শিক্ষা দাও না কেন? তুমি যে চুরি করতে নেই বলে তবলিগ করছো, তুমি কি চুরি করছো না?
22. তুমি যে জেনা না করার কথা বলছো, তুমি কি জেনা করছো না? তুমি যে মূর্তিপূজা ঘৃণা করছো, তুমি কি দেবালয়ের সম্পদ লুট করছো না?
23. তুমি যে শরীয়ত নিয়ে গর্ববোধ করছো, তুমি কি শরীয়ত লঙ্ঘন দ্বারা আল্লাহ্র অসম্মান করছো না?
24. কেননা লেখা আছে, ‘তোমাদের জন্যই জাতিদের মধ্যে আল্লাহ্র নাম নিন্দিত হচ্ছে’।
25. বাস্তবিক খৎনা করানোতে লাভ আছে বটে, যদি তুমি শরীয়ত পালন কর; কিন্তু যদি শরীয়ত লঙ্ঘন কর, তবে তোমার খৎনা তো অ-খৎনা হয়ে পড়লো।
26. অতএব খৎনা-না-করানো লোক যদি শরীয়তের দাবি-দাওয়া পালন করে, তবে তার অখৎনা কি খৎনা বলে গণিত হবে না?
27. আর স্বাভাবিক খৎনা-না-করানো লোক যদি শরীয়ত পালন করে, তবে লেখা শরীয়ত ও খৎনা সত্ত্বেও শরীয়ত লঙ্ঘন করছো যে তুমি, সে কি তোমাকে দোষী করবে না?
28. কেননা বাইরে যে ইহুদী সে ইহুদী নয় এবং দেহের বাইরে কৃত খৎনাই যে প্রকৃত খৎনা তা নয়।
29. কিন্তু অন্তরে যে ইহুদী, সে-ই প্রকৃত ইহুদী এবং হৃদয়ের যে খৎনা, যা আক্ষরিক নয়, কিন্তু রূহে, তা-ই প্রকৃত খৎনা, তার প্রশংসা মানুষ থেকে হয় না, কিন্তু আল্লাহ্ থেকে হয়।