5. কিন্তু ঈসা আর কোন জবাব দিলেন না; তাতে পীলাত আশ্চর্য হলেন।
6. ঈদুল ফেসাখের সময়ে তিনি লোকদের জন্য এমন এক জন বন্দীকে মুক্ত করতেন, যাকে তারা চাইতো।
7. সেই সময়ে বারাব্বা নামে এক ব্যক্তি বিদ্রোহীদের সঙ্গে কারাগারে আটক ছিল, তারা বিদ্রোহ করে নরহত্যাও করেছিল।
8. তখন লোকেরা উপরে গিয়ে, তিনি তাদের জন্য যা করতেন, তা-ই যাচ্ঞা করতে লাগল।
9. পীলাত জবাবে তাদেরকে বললেন, আমি তোমাদের জন্য ইহুদীদের বাদশাহ্কে মুক্ত করে দেব, এ কি তোমাদের ইচ্ছা?
10. কেননা প্রধান ইমামেরা যে হিংসাবশতঃ তাঁকে ধরিয়ে দিয়েছিল তা তিনি জানতে পেরেছিলেন।
11. কিন্তু প্রধান ইমামেরা জনতাকে উত্তেজিত করে নিজেদের জন্য বরং বারাব্বার মুক্তি চাইতে বললো।
12. পরে পীলাত আবার জবাবে তাদেরকে বললেন, তবে তোমরা যাকে ইহুদীদের বাদশাহ্ বল, তাকে নিয়ে কি করবো?
13. তারা পুনর্বার চিৎকার করে বললো, ওকে ক্রুশে দাও।
14. পীলাত তাদেরকে বললেন, কেন? এ কি অপরাধ করেছে? কিন্তু তারা ভীষণভাবে চেঁচিয়ে বলতে লাগল, ওকে ক্রুশে দাও।
15. তখন পীলাত লোকগুলোকে সন্তুষ্ট করার মানসে তাদের জন্য বারাব্বাকে মুক্ত করলেন এবং ঈসাকে কশাঘাত করে ক্রুশের উপরে হত্যা করার জন্য তুলে দিলেন।
16. পরে সৈন্যেরা প্রাঙ্গণের মধ্যে, অর্থাৎ রাজপ্রাসাদের ভিতরে, তাঁকে নিয়ে গিয়ে সমস্ত সেনাদলকে ডেকে একত্র করলো।