14. তিনি গাছটিকে বললেন, এখন থেকে কেউ কখনও তোমার ফল ভোজন না করুক। এই কথা তাঁর সাহাবীরা শুনতে পেলেন।
15. পরে তাঁরা জেরুশালেমে আসলেন, আর তিনি বায়তুল-মোকাদ্দসের মধ্যে গিয়ে, যারা বায়তুল-মোকাদ্দসের মধ্যে ক্রয়-বিক্রয় করছিল, তাদেরকে বের করে দিতে লাগলেন এবং মহাজনদের টেবিল ও যারা কবুতর বিক্রি করছিল, তাদের আসনগুলো উল্টিয়ে ফেললেন।
16. আর বায়তুল-মোকাদ্দসের মধ্য দিয়ে কাউকেও কোন পাত্র নিয়ে যেতে দিলেন না।
17. আর তিনি উপদেশ দিয়ে তাদেরকে বললেন, এই কথা কি লেখা নেই, “আমার বাড়িকে সর্বজাতির মুনাজাতের গৃহ বলা হবে?” কিন্তু তোমরা এটিকে “দস্যুদের গহ্বর” করে তুলেছো।
18. এই কথা শুনে প্রধান ইমাম ও আলেমেরা কিভাবে তাঁকে বিনষ্ট করা যায় তারই উপায় খোঁজ করতে লাগল; কেননা তারা তাঁকে ভয় করতো, কারণ তাঁর উপদেশে সমস্ত লোক চমৎকৃত হয়েছিল।
19. আর সন্ধ্যা হলে ঈসা ও তাঁর সাহাবীরা নগরের বাইরে চলে গেলেন।
20. খুব ভোরে তাঁরা যেতে যেতে দেখলেন, সেই ডুমুরগাছটি সমূলে শুকিয়ে গেছে।
21. তখন পিতর আগের কথা স্মরণ করে তাঁকে বললেন, রব্বি, দেখুন, আপনি যে ডুমুরগাছটিকে বদদোয়া দিয়েছিলেন, সেটি শুকিয়ে গেছে।
22. জবাবে ঈসা তাদেরকে বললেন, আল্লাহ্র উপরে ঈমান রাখ।
23. আমি তোমাদেরকে সত্যি বলছি, যে কেউ এই পর্বতকে বলে, ‘উপড়ে গিয়ে সাগরে গিয়ে পড়,’ এবং মনে মনে সন্দেহ না করে, কিন্তু বিশ্বাস করে যে, যা বলে তা ঘটবে, তবে তার জন্য তা-ই হবে।
24. এজন্য আমি তোমাদেরকে বলি, যা কিছু তোমরা মুনাজাতের সময় যাচ্ঞা কর, বিশ্বাস করো যে, তা পেয়েছো, তাতে তোমাদের জন্য তা-ই হবে।
25. আর তোমরা যখনই মুনাজাত করতে দাঁড়াও, যদি কারো বিরুদ্ধে তোমাদের কোন কথা থাকে, তাকে মাফ করো;
26. যেন তোমাদের বেহেশতী পিতাও তোমাদের অপরাধগুলো মাফ করেন।
27. পরে তাঁরা আবার জেরুশালেমে আসলেন; আর তিনি বায়তুল-মোকাদ্দসের মধ্যে বেড়াচ্ছিলেন, এমন সময়ে প্রধান ইমামেরা, আলেমেরা ও প্রাচীনবর্গরা তাঁর কাছে এসে তাঁকে বললো,
28. তুমি কি ক্ষমতায় এসব করছো? এসব করতে তোমাকে এই ক্ষমতা কেই বা দিয়েছে?