57. আর যারা ঈসাকে ধরেছিল, তারা তাঁকে মহা-ইমাম কায়াফার কাছে নিয়ে গেল; সেই স্থানে আলেমেরা ও প্রাচীনবর্গরা সমবেত হয়েছিল।
58. আর পিতর দূরে থেকে তাঁর পিছনে পিছনে মহা-ইমামের প্রাঙ্গণ পর্যন্ত আসলেন এবং শেষে কি হয়, তা দেখবার জন্য ভিতরে গিয়ে পদাতিকদের সঙ্গে বসলেন।
59. তখন প্রধান ইমামেরা এবং সমস্ত মহাসভা ঈসাকে হত্যা করার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যাসাক্ষ্য খোঁজ করলো,
60. কিন্তু অনেক মিথ্যাসাক্ষী এসে জুটলেও তা পেল না।
61. অবশেষে দু’জন এসে বললো, এই ব্যক্তি বলেছিল, আমি আল্লাহ্র এবাদতখানা ভেঙ্গে ফেলতে, আবার তিন দিনের মধ্যে তা গেঁথে তুলতে পারি।
62. তখন মহা-ইমাম উঠে দাঁড়িয়ে তাঁকে বললেন, তুমি কি কোন উত্তর দেবে না? তোমার বিরুদ্ধে এরা কি সাক্ষ্য দিচ্ছে?
63. কিন্তু ঈসা নীরব রইলেন। মহা-ইমাম তাঁকে বললেন, আমি তোমাকে জীবন্ত আল্লাহ্র নামে কসম দিচ্ছি, আমাদেরকে বল দেখি, তুমি কি সেই মসীহ্, আল্লাহ্র পুত্র?
64. জবাবে ঈসা বললেন, তুমিই বললে; আরও আমি তোমাদেরকে বলছি, এখন থেকে তোমরা ইবনুল-ইনসানকে পরাক্রমের ডান পাশে বসে থাকতে এবং আসমানের মেঘরথে আসতে দেখবে।
65. তখন মহা-ইমাম তাঁর কাপড় ছিঁড়ে বললেন, এ কুফরী করলো, আর সাক্ষীতে আমাদের কি প্রয়োজন? দেখ, এখন তোমরা কুফরী শুনলে;
66. তোমাদের কি বিবেচনা হয়? তারা জবাবে বললো, এ মৃত্যুর যোগ্য।
67. তখন তারা তাঁর মুখে থুথু দিল ও তাঁকে ঘুসি মারলো;
68. আর কেউ কেউ তাঁকে প্রহার করে বললো, রে মসীহ্, আমাদের কাছে ভবিষ্যদ্বাণী বল্, কে তোকে মারলো?
69. ইতোমধ্যে পিতর বাইরে প্রাঙ্গণে বসেছিলেন; আর এক জন বাঁদী তাঁর কাছে এসে বললো, তুমিও সেই গালীলীয় ঈসার সঙ্গে ছিলে।
70. কিন্তু তিনি সকলের সাক্ষাতে অস্বীকার করে বললেন, তুমি কি বলছো, আমি বুঝতে পারলাম না।