অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27
  28. 28

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

মথি 25 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

দশ জন কুমারীর গল্প

1. তখন বেহেশতী-রাজ্য এমন দশ জন কুমারীর মত বলতে হবে, যারা নিজ নিজ প্রদীপ নিয়ে বরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বের হল।

2. তাদের মধ্যে পাঁচ জন নির্বুদ্ধি, আর পাঁচ জন সুবুদ্ধি ছিল।

3. কারণ যারা নির্বুদ্ধি, তারা নিজ নিজ প্রদীপ নিল কিন্তু সঙ্গে তেল নিল না;

4. কিন্তু সুবুদ্ধিরা নিজ নিজ প্রদীপের সঙ্গে পাত্রে করে তেল নিল।

5. আর বর বিলম্ব করাতে সকলে ঢুলতে ঢুলতে ঘুমিয়ে পড়লো।

6. পরে মাঝ রাতে এই উচ্চরব হল, দেখ, বর! তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বের হও।

7. তাতে সেই কুমারীরা সকলে উঠলো এবং নিজ নিজ প্রদীপ সাজালো।

8. আর নির্বুদ্ধিরা সুবুদ্ধিদেরকে বললো, তোমাদের তেল থেকে আমাদেরকে কিছু দাও; কেননা আমাদের প্রদীপ নিভে যাচ্ছে।

9. কিন্তু সুবুদ্ধিরা জবাবে বললো, হয় তো তোমাদের ও আমাদের জন্য কুলাবে না; তোমরা বরং বিক্রেতাদের কাছে গিয়ে নিজেদের জন্য ক্রয় কর।

10. তারা ক্রয় করতে যাচ্ছে, ইতোমধ্যে বর আসলেন এবং যারা প্রস্তুত ছিল তারা তাঁর সঙ্গে বিয়ের বাড়িতে প্রবেশ করলে পর দরজা বন্ধ করে দেওয়া হল।

11. শেষে অন্য সকল কুমারীও এসে বলতে লাগল, প্রভু, প্রভু, আমাদেরকে দরজা খুলে দিন।

12. কিন্তু জবাবে তিনি বললেন, তোমাদেরকে সত্যি বলছি, আমি তোমাদেরকে চিনি না।

13. অতএব জেগে থাক; কেননা তোমরা সেদিন বা সেই সময়ের কথা জান না।

তালন্তের দৃষ্টান্ত

14. কারণ মনে কর, যেন কোন ব্যক্তি বিদেশে যাচ্ছেন, তিনি তাঁর গোলামদেরকে ডেকে নিজের সম্পত্তি তাদের হাতে তুলে দিলেন।

15. তিনি এক জনকে পাঁচ তালন্ত, অন্য জনকে দুই তালন্ত এবং আর এক জনকে এক তালন্ত, যার যেমন শক্তি, তাকে সেই অনুসারে দিলেন, পরে বিদেশে চলে গেলেন।

16. যে পাঁচ তালন্ত পেয়েছিল, সে তখনই গেল, তা দিয়ে ব্যবসা করলো এবং আরও পাঁচ তালন্ত লাভ করলো।

17. যে দুই তালন্ত পেয়েছিল, সেও তেমনি করে আরও দুই তালন্ত লাভ করলো।

18. কিন্তু যে এক তালন্ত পেয়েছিল, সে গিয়ে ভূমিতে গর্ত খুঁড়ে তার মালিকের টাকা লুকিয়ে রাখল।

19. দীর্ঘকালের পর সেই গোলামদের মালিক এসে তাদের কাছ থেকে হিসাব নিলেন।

20. তখন যে পাঁচ তালন্ত পেয়েছিল, সে এসে আরও পাঁচ তালন্ত এনে বললো, মালিক, আপনি আমাকে পাঁচ তালন্ত দিয়েছিলেন; দেখুন, আমি আরও পাঁচ তালন্ত লাভ করেছি।

21. তার মালিক তাকে বললেন, বেশ, উত্তম ও বিশ্বস্ত গোলাম; তুমি অল্প বিষয়ে বিশ্বস্ত হলে, আমি তোমাকে বহু বিষয়ের উপরে নিযুক্ত করবো; তুমি তোমার মালিকের আনন্দের সহভাগী হও।

22. পরে যে দুই তালন্ত পেয়েছিল, সেও এসে বললো, মালিক, আপনি আমাকে দুই তালন্ত দিয়েছিলেন; দেখুন, আমি আরও দুই তালন্ত লাভ করেছি।

23. তার মালিক তাকে বললেন, বেশ! উত্তম ও বিশ্বস্ত গোলাম; তুমি অল্প বিষয়ে বিশ্বস্ত হলে, আমি তোমাকে বহু বিষয়ের উপরে নিযুক্ত করবো; তুমি তোমার মালিকের আনন্দের সহভাগী হও।

24. পরে যে এক তালন্ত পেয়েছিল, সেও এসে বললো, মালিক, আমি জানতাম, আপনি কঠিন লোক; যেখানে বোনেন নি, সেখানে কেটে থাকেন ও যেখানে ছড়ান নি, সেখানে কুড়িয়ে থাকেন।

25. তাই আমি ভয় পেয়ে আপনার তালন্ত ভূমির মধ্যে লুকিয়ে রেখেছিলাম; দেখুন, আপনার যা আপনি পেলেন।

26. কিন্তু তার মালিক জবাবে তাকে বললেন, দুষ্ট অলস গোলাম, তুমি নাকি জানতে, আমি যেখানে বুনি নি, সেখানে কাটি এবং যেখানে ছড়াই নি, সেখানে কুড়াই?

27. তবে মহাজনদের হাতে আমার টাকা রেখে দেওয়া তোমার উচিত ছিল; তা করলে আমি এসে আমার যা তা সুদের সঙ্গে পেতাম।

28. অতএব তোমরা এর কাছ থেকে ঐ তালন্ত নেও এবং যার দশ তালন্ত আছে, তাকে দাও;

29. কেননা যে কোন ব্যক্তির কাছে আছে, তাকে দেওয়া হবে, তাতে তার অনেক হবে; কিন্তু যার নেই, তার যা আছে, তাও তার কাছ থেকে নিয়ে নেওয়া হবে।

30. আর তোমরা ঐ অনুপযোগী গোলামকে বাইরের অন্ধকারে ফেলে দাও; সেই স্থানে লোকে কান্নাকাটি করবে ও যন্ত্রণায় দাঁতে দাঁত ঘষতে থাকবে।

সমস্ত জাতির বিচার

31. আর যখন ইবনুল-ইনসান সমস্ত ফেরেশতা সঙ্গে করে আপন প্রতাপে আসবেন, তখন তিনি নিজের মহিমার সিংহাসনে বসবেন।

32. আর সমস্ত জাতি তাঁর সম্মুখে একসংগে জমায়েত করা হবে; পরে তিনি তাদের এক জন থেকে অন্য জনকে পৃথক করবেন, যেমন পালরক্ষক ছাগল থেকে ভেড়া পৃথক করে;

33. আর তিনি ভেড়াগুলোকে তাঁর ডান দিকে ও ছাগলগুলোকে বাম দিকে রাখবেন।

34. তখন বাদশাহ্‌ তাঁর ডান দিকে স্থিত লোকদেরকে বলবেন, এসো, আমার পিতার দোয়ার-পাত্রেরা, দুনিয়া পত্তনের সময় থেকে যে রাজ্য তোমাদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে, তার অধিকারী হও।

35. কেননা আমি ক্ষুধিত হয়েছিলাম, আর তোমরা আমাকে আহার দিয়েছিলে; পিপাসিত হয়েছিলাম, আর আমাকে পান করিয়েছিলে; মেহমান হয়েছিলাম, আর আমাকে আশ্রয় দিয়েছিলে;

36. খালি গায়ে ছিলাম, আর আমাকে কাপড় পরিয়েছিলে; অসুস্থ হয়েছিলাম, আর আমার তত্ত্বাবধান করেছিলে; কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, আর আমাকে দেখতে এসেছিলে।

37. তখন ধার্মিকেরা জবাবে তাঁকে বলবে, প্রভু, কবে আপনাকে ক্ষুধিত দেখে ভোজন করিয়েছিলাম, কিংবা পিপাসিত দেখে পান করিয়েছিলাম?

38. কবেই বা আপনাকে মেহমান দেখে আশ্রয় দিয়েছিলাম, কিংবা খালি গায়ে দেখে কাপড় পরিয়েছিলাম?

39. কবেই বা আপনাকে অসুস্থ কিংবা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে দেখে আপনার কাছে গিয়েছিলাম?

40. তখন বাদশাহ্‌ জবাবে তাদেরকে বলবেন, আমি তোমাদেরকে সত্যি বলছি, আমার এই ভাইদের— এই ক্ষুদ্রতমদের— মধ্যে এক জনের প্রতি যখন তা করেছিলে, তখন আমারই প্রতি করেছিলে।

41. পরে তিনি বাম দিকে স্থিত লোকদেরকেও বলবেন, ওহে শাপগ্রস্ত লোকেরা, আমার কাছ থেকে দূর হও, শয়তানের ও তার দূতদের জন্য যে অনন্ত আগুন প্রস্তুত করা গেছে, তার মধ্যে যাও।

42. কেননা আমি ক্ষুধিত হয়েছিলাম, আর তোমরা আমাকে আহার দাও নি; পিপাসিত হয়েছিলাম, আর আমাকে পান করাও নি;

43. মেহমান হয়েছিলাম, আর আমাকে আশ্রয় দাও নি; খালি গায়ে ছিলাম, আর আমাকে কাপড় পরাও নি; যখন অসুস্থ হয়েছিলাম ও কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তখন আমার তত্ত্বাবধান কর নি।

44. তখন তারাও জবাবে বলবে, প্রভু, কবে আপনাকে ক্ষুধিত, বা পিপাসিত, বা মেহমান, বা খালি গায়ে, বা অসুস্থ, বা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে দেখে আপনার পরিচর্যা করি নি?

45. তখন জবাবে তিনি তাদেরকে বলবেন, আমি তোমাদেরকে সত্যি বলছি, তোমরা এই ক্ষুদ্রতম লোকদের কোন এক জনের প্রতি যখন তা কর নি, তখন আমারই প্রতি কর নি।

46. পরে এরা অনন্ত দণ্ডে, কিন্তু ধার্মিকেরা অনন্ত জীবনে প্রবেশ করবে।