অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27
  28. 28

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

মথি 18 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

বেহেশতী-রাজ্যে মহান কে?

1. সেই সময়ে সাহাবীরা ঈসার কাছে এসে বললেন, তবে বেহেশতী-রাজ্যের মধ্যে শ্রেষ্ঠ কে?

2. তিনি একটি শিশুকে নিজের কাছে ডেকে তাঁদের মধ্যে দাঁড় করালেন,

3. এবং বললেন, আমি তোমাদেরকে সত্যি বলছি, তোমরা যদি না ফির ও শিশুদের মত না হয়ে উঠ, তবে কোন মতে বেহেশতী-রাজ্যে প্রবেশ করতে পাবে না।

4. অতএব যে কেউ নিজেকে এই শিশুর মত নত করে, সে-ই বেহেশতী-রাজ্যে শ্রেষ্ঠ।

5. আর যে কেউ এর মত একটি শিশুকে আমার নামে গ্রহণ করে, সে আমাকেই গ্রহণ করে।

গুনাহের পথে নিয়ে যাওয়া

6. কিন্তু যে ক্ষুদ্রজনেরা আমার উপর ঈমান আনে, যদি তোমাদের কেউ তাদের সম্মুখে এমন কোন বাধা স্থাপন করে যাতে তারা উচোট খায় তবে, তার গলায় বড় যাঁতা বেঁধে তাকে সমুদ্রের অগাধ পানিতে ডুবিয়ে দেওয়া বরং তার পক্ষে ভাল।

7. ধিক্‌ দুনিয়াকে, সে লোকদের গুনাহের পথে নিয়ে যায়! কেননা গুনাহের পথে নিয়ে যাবার জন্য উসকানি অবশ্যই উপস্থিত হবে; কিন্তু ধিক্‌ সেই ব্যক্তিকে, যার দ্বারা উসকানি উপস্থিত হবে।

8. আর তোমার হাত কিংবা পা যদি তোমাকে গুনাহের পথে নিয়ে যায়, তবে তা কেটে ফেলে দাও; দুই হাত কিংবা দুই পা নিয়ে অনন্ত আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়ার চেয়ে বরং খঞ্জ কিংবা নুলা হয়ে জীবনে প্রবেশ করা তোমার ভাল।

9. আর তোমার চোখ যদি তোমাকে গুনাহের পথে নিয়ে যায়, তবে তা উপড়ে ফেলে দাও; দুই চোখ নিয়ে দোজখের আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়ার চেয়ে বরং এক চোখ নিয়ে জীবনে প্রবেশ করা তোমার ভাল।

হারানো ভেড়ার দৃষ্টান্ত

10. দেখো, এই ক্ষুদ্রজনদের মধ্যে একটিকেও তুচ্ছ করো না;

11. কেননা আমি তোমাদেরকে বলছি, তাদের ফেরেশতারা বেহেশতে সতত আমার বেহেশতী পিতার মুখ দর্শন করেন। কারণ যারা হারিয়ে গেছে, তাদের নাজাত করতে ইবনুল-ইনসান এসেছেন।

12. তোমাদের কি মনে হয়? কোন ব্যক্তির যদি এক শত ভেড়া থাকে, আর তাদের মধ্যে একটি হারিয়ে যায়, তবে সে কি অন্য নিরানব্বইটা ছেড়ে পর্বতে গিয়ে ঐ হারানো ভেড়াটির খোঁজ করে না?

13. আর যদি সে কোনক্রমে সেটি পায়, তবে আমি তোমাদেরকে সত্যি বলছি, যে নিরানব্বইটা হারিয়ে যায় নি, তাদের চেয়ে সেটির জন্য সে বেশি আনন্দ করে।

14. ঠিক সেভাবে এই ক্ষুদ্রজনদের মধ্যে এক জনও যে বিনষ্ট হয়, তোমাদের বেহেশতী পিতার এমন ইচ্ছা নয়।

দোষী ভাইয়ের প্রতি কর্তব্য

15. আর যদি তোমার ভাই তোমার কাছে কোন অপরাধ করে, তবে যাও, যখন কেবল তুমি ও সে একা থাক, তখন সেই দোষ তাকে বুঝিয়ে দাও। যদি সে তোমার কথা শুনে, তুমি আপন ভাইকে ফিরে পেলে।

16. কিন্তু যদি সে না শুনে, তবে আর দুই এক ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে যাও, যেন “দুই কিংবা তিন জন সাক্ষীর মুখে সমস্ত কথা নিষ্পন্ন হয়।”

17. আর যদি সে তাদের কথা অমান্য করে, মণ্ডলীকে বল; আর যদি মণ্ডলীর কথাও অমান্য করে, সে তোমার কাছে অ-ইহুদী লোকের ও কর-আদায়কারীর মত হোক।

18. আমি তোমাদেরকে সত্যি বলছি, তোমরা দুনিয়াতে যা কিছু বাঁধবে, তা বেহেশতে বেঁধে রাখা হবে এবং দুনিয়াতে যা কিছু মুক্ত করবে, তা বেহেশতে মুক্ত হবে।

19. আবার আমি তোমাদেরকে সত্যি বলছি, দুনিয়াতে তোমাদের দু’জন যা কিছু যাচ্ঞা করবে, সেই বিষয়ে যদি একচিত্ত হয়, তবে আমার বেহেশতী পিতা কর্তৃক তাদের জন্য তা করা যাবে।

20. কেননা যেখানে দুই বা তিন জন আমার নামে একত্র হয়, সেখানে আমি তাদের মধ্যে আছি।

মাফ করা সম্বন্ধে শিক্ষা

21. তখন পিতর তাঁর কাছে এসে বললেন, প্রভু, আমার ভাই আমার কাছে কত বার অপরাধ করলে আমি তাকে মাফ করবো? কি সাত বার পর্যন্ত?

22. ঈসা তাঁকে বললেন, তোমাকে বলছি না, শুধু সাত বার পর্যন্ত নয়, কিন্তু সত্তর গুণ সাত বার পর্যন্ত।

মাফ না করা গোলামের দৃষ্টান্ত

23. এজন্য বেহেশতী-রাজ্য এমন এক জন বাদশাহ্‌র মত, যিনি তাঁর গোলামদের কাছে হিসাব নিতে চাইলেন।

24. তিনি হিসাব আরম্ভ করলে, এক জনকে তাঁর কাছে আনা হল, যে তাঁর কাছে দশ হাজার তালন্ত ঋণ ছিল।

25. কিন্তু তার পরিশোধ করার সঙ্গতি না থাকাতে তার মালিক তাকে ও তার স্ত্রী, সন্তান-সন্ততি এবং সর্বস্ব বিক্রি করে আদায় করতে হুকুম করলেন।

26. তাতে সেই গোলাম তাঁর পায়ে পড়ে ভূমিতে উবুড় হয়ে বললো, হে মালিক, আমার প্রতি ধৈর্য ধরুন, আমি আপনার সমস্তই পরিশোধ করবো।

27. তখন সেই গোলামের মালিক করুণাবিষ্ট হয়ে তাকে মুক্ত করলেন ও তার ঋণ মাফ করলেন।

28. কিন্তু সেই গোলাম বাইরে গিয়ে তার সহগোলামদের মধ্যে এক জনকে দেখতে পেল, যে তার কাছে এক শত সিকি ঋণী ছিল; সে তাকে ধরে গলা টিপে বললো, তুই যা ধার করেছিস, তা পরিশোধ কর্‌।

29. তখন তার সহগোলাম তার পায়ে পড়ে বিনতিপূর্বক বললো, আমার প্রতি ধৈর্য ধর, আমি তোমার ঋণ পরিশোধ করবো।

30. তবুও সে সম্মত হল না, কিন্তু গিয়ে তাকে কারাগারে ফেলে রাখল, যে পর্যন্ত ঋণ পরিশোধ না করে।

31. এই ব্যাপার দেখে তার সহগোলামেরা বড়ই দুঃখিত হল, আর তাদের মালিকের কাছে গিয়ে সমস্ত বৃত্তান্ত বলে দিল।

32. তখন তার মালিক তাকে কাছে ডেকে এনে বললেন, দুষ্ট গোলাম! তুমি আমার কাছে ফরিয়াদ করাতে আমি তোমার ঐ সমস্ত ঋণ মাফ করেছিলাম;

33. আমি যেমন তোমার প্রতি করুণা করেছিলাম, তেমনি তোমার সহগোলামের প্রতি করুণা করা কি তোমারও উচিত ছিল না?

34. আর তার মালিক ক্রুদ্ধ হয়ে পীড়নকারীদের কাছে তাকে তুলে দিলেন, যে পর্যন্ত সেই সমস্ত ঋণ পরিশোধ না করে।

35. আমার বেহেশতী পিতাও তোমাদের প্রতি এরকম করবেন, যদি তোমরা প্রত্যেক জন অন্তঃকরণের সঙ্গে আপন আপন ভাইকে মাফ না কর।