অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27
  28. 28

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

মথি 1 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

ঈসা মসীহের বংশ-তালিকা

1. ঈসা মসীহের বংশ-তালিকা এই— তিনি দাউদের সন্তান, ইব্রাহিমের সন্তান।

2. ইব্রাহিমের পুত্র ইস্‌হাক; ইস্‌হাকের পুত্র ইয়াকুব; ইয়াকুবের পুত্র এহুদা ও তাঁর ভাইয়েরা;

3. এহুদার পুত্র পেরস ও সেরহ, তামরের গর্ভজাত; পেরসের পুত্র হিষ্রোণ; হিষ্রোণের পুত্র রাম;

4. রামের পুত্র অম্মীনাদব; অম্মীনাদবের পুত্র নহোশোন; নহশোনের পুত্র সল্‌মোন;

5. সল্‌মোনের পুত্র বোয়স, রাহবের গর্ভজাত; বোয়সের পুত্র ওবেদ, রূতের গর্ভজাত; ওবেদের পুত্র ইয়াসির;

6. ইয়াসিরের পুত্র বাদশাহ্‌ দাউদ। দাউদের পুত্র সোলায়মান, ঊরিয়ের বিধবার গর্ভজাত;

7. সোলায়মানের পুত্র রহবিয়াম; রহবিয়ামের পুত্র অবিয়; অবিয়ের পুত্র আসা;

8. আসার পুত্র যিহোশাফট; যিহোশাফটের পুত্র যোরাম; যোরামের পুত্র উষিয়;

9. উষিয়ের পুত্র যোথম; যোথমের পুত্র আহস; আহসের পুত্র হিষ্কিয়;

10. হিষ্কিয়ের পুত্র মানশা; মানশার পুত্র আমোন; আমোনের পুত্র ইউসিয়া;

11. ইউসিয়ার সন্তান যিকনিয় ও তাঁর ভাইয়েরা, তারা ব্যাবিলনে নির্বাসন কালে জন্মগ্রহণ করেছেন।

12. যিকনিয়ের পুত্র শল্টীয়েল, সে ব্যাবিলনে নির্বাসনে যাওয়ার পরে জন্মগ্রহণ করেছে; শল্টীয়েলের পুত্র সরুব্বাবিল;

13. সরুব্বাবিলের পুত্র অবীহূদ; অবীহূদের পুত্র ইলীয়াকীম; ইলীয়াকীমের পুত্র আসোর;

14. আসোরের পুত্র সাদোক; সাদোকের পুত্র আখীম; আখীমের পুত্র ইলীহূদ;

15. ইলীহূদের পুত্র ইলিয়াসর; ইলিয়াসরের পুত্র মত্তন; মত্তনের পুত্র ইয়াকুব;

16. ইয়াকুবের পুত্র ইউসুফ; ইনি মরিয়মের স্বামী; এই মরিয়মের গর্ভে ঈসার জন্ম হয়, যাঁকে মসীহ্‌ [অভিষিক্ত] বলা হয়।

17. এভাবে ইব্রাহিম থেকে দাউদ পর্যন্ত সর্বমোট চৌদ্দ পুরুষ; আর দাউদ থেকে ব্যাবিলনের নির্বাসন পর্যন্ত চৌদ্দ পুরুষ এবং ব্যাবিলনের নির্বাসন থেকে মসীহ্‌ পর্যন্ত চৌদ্দ পুরুষ।

ঈসা মসীহের জন্মবিবরণ

18. ঈসা মসীহের জন্ম এভাবে হয়েছিল। তাঁর মা মরিয়ম ইউসুফের প্রতি বাগ্‌দত্তা হলে তাঁদের সহবাসের আগে জানা গেল, পাক-রূহ্‌ের শক্তিতে তিনি গর্ভবতী হয়েছেন।

19. আর তাঁর স্বামী ইউসুফ ধার্মিক ছিলেন বলে তাঁকে সাধারণ লোকদের কাছে নিন্দার পাত্র করতে চাইলেন না। সেজন্য তিনি তাঁকে গোপনে তালাক দেবার ইচ্ছা করলেন।

20. তিনি এসব ভাবছেন, এমন সময় দেখ, প্রভুর এক জন ফেরেশতা স্বপ্নে তাঁকে দর্শন দিয়ে বললেন, ইউসুফ, দাউদ-সন্তান, তোমার স্ত্রী মরিয়মকে গ্রহণ করতে ভয় করো না, কেননা তাঁর গর্ভে যে শিশু জন্মেছেন, তিনি পাক-রূহের শক্তিতেই জন্মেছেন;

21. আর তিনি পুত্র প্রসব করবেন এবং তুমি তাঁর নাম ঈসা [নাজাতদাতা] রাখবে; কারণ তিনিই তাঁর লোকদেরকে তাদের গুনাহ্‌ থেকে নাজাত করবেন।

22. এসব ঘটলো, যেন নবীর মধ্য দিয়ে প্রভুর এই যে কালাম নাজেল হয়েছিল তা পূর্ণ হয়,

23. “দেখ, সেই কন্যা গর্ভবতী হবে এবংপুত্র প্রসব করবে,আর তাঁর নাম ইম্মানূয়েল রাখা হবে;”অনুবাদ করলে এই নামের অর্থ, ‘আমাদের সঙ্গে আল্লাহ্‌’।

24. পরে ইউসুফ ঘুম থেকে উঠে প্রভুর ফেরেশতা তাঁকে যেমন হুকুম করেছিলেন তেমনি করলেন। তিনি মরিয়মকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করলেন।

25. আর যে পর্যন্ত মরিয়ম পুত্র প্রসব না করলেন, সেই পর্যন্ত ইউসুফ তাঁর সঙ্গে সহবাস করলেন না, আর তিনি পুত্রের নাম ঈসা রাখলেন।