20. সেই সময়ে মূসার জন্ম হয়। তিনি আল্লাহ্র দৃষ্টিতে সুন্দর ছিলেন এবং তিন মাস পর্যন্ত পিতার বাড়িতে পালিত হলেন।
21. পরে তাঁকে বাইরে ফেলে দেওয়া হলে ফেরাউনের কন্যা তুলে নেন ও তাঁর নিজের পুত্র করার উদ্দেশ্যে প্রতিপালন করেন।
22. আর মূসা মিসরীয়দের সমস্ত বিদ্যায় শিক্ষিত হলেন এবং তিনি কথায় ও কাজে শক্তিশালী ছিলেন।
23. মূসার বয়স যখন চল্লিশ বছর তখন তাঁর নিজের ভাইদের, বনি-ইসরাইলদের তত্ত্বাবধান করার ইচ্ছা তাঁর অন্তরে জেগে উঠলো।
24. তখন এক জনের প্রতি অন্যায় করা হচ্ছে দেখে তিনি তার পক্ষ হলেন, সেই মিসরীয় ব্যক্তিকে আঘাত করে নির্যাতিত লোকের পক্ষে অন্যায়ের প্রতিকার করলেন।
25. তিনি মনে করছিলেন, তাঁর ভাইয়েরা বুঝেছে যে, তাঁর হাত দিয়ে আল্লাহ্ তাদেরকে উদ্ধার করছেন; কিন্তু তারা তা বুঝতে পারল না।
26. আর পর দিন তারা যখন মারামারি করছিল, তখন তিনি তাদের কাছে দেখা দিয়ে মিলন করিয়ে দেবার চেষ্টা করলেন, বললেন, ওহে, তোমরা পরস্পর ভাই, এক জন অন্যের প্রতি অন্যায় করছো কেন?
27. কিন্তু যে ব্যক্তি প্রতিবেশীর প্রতি অন্যায় করছিল, সে তাঁকে ঠেলে ফেলে দিয়ে বললো, তোমাকে নেতা ও বিচারকর্তা করে আমাদের উপরে কে নিযুক্ত করেছে?
28. গতকাল যেমন সেই মিসরীয়কে খুন করলে, তেমনি কি আমাকেও খুন করতে চাইছো?
29. এই কথা শুনে মূসা পালিয়ে গেলেন, আর মাদিয়ান দেশে প্রবাসী হলেন; সেখানে তাঁর দুই পুত্রের জন্ম হয়।