12. এই উপলক্ষে প্রধান ইমামদের কাছ থেকে ক্ষমতা ও হুকুমপত্র নিয়ে আমি দামেস্কে যাচ্ছিলাম,
13. এমন সময়ে হে বাদশাহ্, দুপুরবেলা পথের মধ্যে দেখলাম, আসমান থেকে সূর্যের তেজের চেয়েও উজ্জ্বল আলো আমার ও আমার সহযাত্রীদের চারদিকে জ্বলতে লাগল।
14. তখন আমরা সকলে ভূমিতে পড়ে গেলে আমি একটি বাণী শুনলাম, সেটি ইবরানী ভাষায় আমাকে বললো, ‘শৌল, শৌল, কেন আমাকে নির্যাতন করছো? কাঁটার মুখে পদাঘাত করা তোমার পক্ষে কষ্টকর!’
15. তখন আমি বললাম, ‘প্রভু, আপনি কে?’ প্রভু বললেন, ‘আমি ঈসা, যাঁকে তুমি নির্যাতন করছো?
16. কিন্তু উঠ, তোমার পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়াও, তুমি যে যে বিষয়ে আমাকে দেখেছ ও যে যে বিষয়ে আমি তোমাকে দর্শন দেব, সেসব বিষয়ে যেন তোমাকে সেবক ও সাক্ষী নিযুক্ত করি, এই অভিপ্রায়ে তোমাকে দর্শন দিলাম।
17. আমি যাদের কাছে তোমাকে প্রেরণ করছি, সেই লোকদের ও অ-ইহুদীদের থেকে তোমাকে উদ্ধার করবো,
18. যেন তুমি তাদের চোখ খুলে দাও, যেন তারা অন্ধকার থেকে আলোর প্রতি এবং শয়তানের কর্তৃত্ব থেকে আল্লাহ্র প্রতি ফিরে আসে, যেন আমার উপর ঈমান আনার দ্বারা গুনাহ্র মাফ পায় ও পবিত্রীকৃত লোকদের মধ্যে অধিকার পায়।’
19. এজন্য, হে বাদশাহ্ আগ্রিপ্প, আমি সেই বেহেশতী দর্শনের অবাধ্য হলাম না;
20. কিন্তু প্রথমে দামেস্কের লোকদের কাছে, পরে জেরুশালেমে ও এহুদার সমস্ত জনপদে এবং অ-ইহুদীদের কাছেও তবলিগ করতে লাগলাম যে, তারা যেন মন ফিরায় ও আল্লাহ্র প্রতি ফিরে আসে, মন পরিবর্তনের উপযোগী কাজ করে।
21. এই কারণ ইহুদীরা বায়তুল-মোকাদ্দসে আমাকে ধরে হত্যা করতে চেষ্টা করছিল।
22. কিন্তু আল্লাহ্র কাছ থেকে সাহায্য পেয়ে আমি আজ পর্যন্ত দাঁড়িয়ে আছি, ক্ষুদ্র ও মহান সকলের কাছে সাক্ষ্য দিচ্ছি, নবীরা এবং মূসাও যা ঘটবে বলে গেছেন, তার বাইরে আর কিছুই বলছি না।
23. আর তা এই, মসীহ্কে দুঃখভোগ করতে হবে, আর তিনিই প্রথম, মৃতদের পুনরুত্থান দ্বারা, আমাদের লোক ও অ-ইহুদী এই উভয়ের কাছে আলো ঘোষণা করবেন।