19. আমি বললাম, প্রভু, তারা তো জানে যে, যারা তোমাতে ঈমান আনতো আমি প্রতি মজলিস-খানায় তাদেরকে প্রহার করে কারাগারে আটক রাখতাম;
20. আর যখন তোমার সাক্ষী স্তিফানের রক্তপাত হয়, তখন আমি নিজে কাছে দাঁড়িয়ে সম্মতি দিচ্ছিলাম ও যারা তাঁকে হত্যা করছিল তাদের কাপড় রক্ষা করছিলাম।
21. তিনি আমাকে বললেন, প্রস্থান কর, কেননা আমি তোমাকে দূরে অ-ইহুদীদের কাছে প্রেরণ করবো।
22. লোকেরা এই পর্যন্ত তাঁর কথা শুনলো, পরে চিৎকার করে বললো, ওকে দুনিয়া থেকে দূর করে দাও, ওর বেঁচে থাকা তো উচিত হয় নি।
23. পরে তারা চেঁচিয়ে কাপড়-চোপড় ছুঁড়ে দিয়ে আসমানে ধূলি উড়াতে লাগল;
24. তাতে প্রধান সেনাপতি পৌলকে দুর্গের ভিতরে নিয়ে যাবার হুকুম দিলেন এবং বললেন, কশাঘাতে প্রহার করে এর পরীক্ষা করতে হবে, যেন তিনি জানতে পারেন লোকে কি দোষ দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে এরকম চেঁচাচ্ছে।
25. পরে যখন তারা কশা দিয়ে তাঁকে বাঁধলো, তখন, যে শতপতি কাছে দাঁড়িয়েছিলেন, পৌল তাঁকে বললেন, যে ব্যক্তি রোমীয় এবং বিচারে এখনও দোষী হয় নি, তাকে কোরা প্রহার করা কি আপনাদের পক্ষে উচিত?
26. এই কথা শুনে সেই শতপতি প্রধান সেনাপতির কাছে গিয়ে তাঁকে বললেন, আপনি কি করতে উদ্যত হয়েছেন? এই ব্যক্তি যে রোমীয়।
27. তাতে প্রধান সেনাপতি কাছে গিয়ে তাঁকে বললেন, বল দেখি, তুমি কি রোমীয়? তিনি বললেন, হ্যাঁ।
28. প্রধান সেনাপতি জবাবে বললেন, এই পৌরাধিকার আমি বহু অর্থ দিয়ে ক্রয় করেছি। পৌল বললেন, কিন্তু আমি জন্মের দ্বারাই রোমীয়।
29. অতএব যারা তাঁর পরীক্ষা করতে উদ্যত ছিল, তারা তখনই তাঁর কাছ থেকে চলে গেল; আর তিনি যে রোমীয় নাগরিক তা জেনেও তাঁকে বেঁধেছিলেন বলে প্রধান সেনাপতি নিজেও ভয় পেলেন।
30. কিন্তু পরদিন, ইহুদীরা তাঁর উপর কি জন্য দোষারোপ করছে সেই বিষয়ে নিশ্চিত হবার জন্য প্রধান সেনাপতি তাঁকে মুক্ত করলেন ও প্রধান ইমামদের ও সমস্ত মহা-সভাকে একত্র হতে হুকুম দিলেন এবং পৌলকে নামিয়ে তাঁদের কাছে উপস্থিত করলেন।