ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

প্রেরিত 13:37-49 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

37. কিন্তু আল্লাহ্‌ যাঁকে উঠিয়েছেন, তাঁর দেহ ক্ষয় হয় নি।

38. অতএব, হে ভাইয়েরা, তোমরা জেনো, এই ব্যক্তি দ্বারা গুনাহের মাফ পাবার কথা তোমাদেরকে জানানে যাচ্ছে;

39. আর মূসার শরীয়তের মধ্য দিয়ে তোমরা যেসব বিষয়ে ধার্মিক গণিত হতে পারতে না, যে কেউ ঈমান আনে, সে সেসব বিষয়ে এই ব্যক্তিতেই ধার্মিক গণিত হয়।

40. অতএব দেখো, নবীদের কিতাবে যা বলা হয়েছে, তা যেন তোমাদের প্রতি না ঘটে—

41. “হে অবজ্ঞাকারীরা, দৃষ্টিপাত কর,আর চমকে উঠ এবং অন্তর্হিত হও;যেহেতু তোমাদের সময়ে আমি এক কাজ করবো,সেই কাজের কথা যদি কেউ তোমাদের কাছে বর্ণনা করে,তোমরা কোন মতে বিশ্বাস করবে না।”

42. পৌল ও বার্নাবাস মজলিস-খানা থেকে বাইরে যাবার সময়ে লোকেরা ফরিয়াদ করলো, যেন পরের বিশ্রামবারে সেসব কথা তাদের কাছে বলা হয়।

43. আর মজলিস-খানার সভা সমাপ্ত হলে পর অনেক ইহুদী ও ইহুদী-ধর্মাবলম্বী ভক্ত লোক পৌল ও বার্নাবাসের সঙ্গে সঙ্গে গেল। তখন সেই লোকদের সঙ্গে তাঁরা কথা বললেন এবং আল্লাহ্‌র রহমতে স্থির থাকতে তাদেরকে উৎসাহ দিলেন।

44. পরবর্তী বিশ্রামবারে নগরের প্রায় সমস্ত লোক আল্লাহ্‌র কালাম শুনতে সমাগত হল।

45. কিন্তু ইহুদীরা লোকসমারোহ দেখে ঈর্ষাতে পরিপূর্ণ হল এবং নিন্দা করতে করতে পৌলের কথার প্রতিবাদ করতে লাগল।

46. আর পৌল ও বার্নাবাস সাহস-পূর্বক কথা বললেন, বললেন, প্রথমে তোমাদেরই কাছে আল্লাহ্‌র কালাম তবলিগ করা আমাদের আবশ্যক ছিল; তোমরা যখন তা ঠেলে ফেলে দিচ্ছ এবং তোমাদের নিজেদেরকে অনন্ত জীবনের অযোগ্য বিবেচনা করছো, তখন দেখ, আমরা অ-ইহুদীদের দিকে ফিরছি।

47. কেননা প্রভু আমাদেরকে এরকম হুকুম দিয়েছেন,“আমি তোমাকে জাতিদের কাছে দীপ্তিস্বরূপ করেছি,যেন তুমি দুনিয়ার সীমা পর্যন্ত নাজাতস্বরূপ হও।”

48. এই কথা শুনে অ-ইহুদীরা আনন্দিত হল ও প্রভুর কালামের গৌরব করতে লাগল; এবং যত লোক অনন্ত জীবনের জন্য নির্ধারিত হয়েছিল, তারা ঈমান আনলো।

49. আর প্রভুর কালাম সেই দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লো।

সম্পূর্ণ অধ্যায় পড়ুন প্রেরিত 13