3. এতে ইহুদীরা সন্তুষ্ট হল দেখে তিনি আবার পিতরকেও ধরলেন। তখন খামিহীন রুটির ঈদের সময় ছিল।
4. তিনি তাকে ধরে কারাগারে রাখলেন এবং তাঁকে পাহারা দেবার জন্য চার জনে দল, এমন চার দল সেনার উপর ভার দিলেন। তিনি ভেবেছিলেন, ঈদুল ফেসাখের পরে তাঁকে লোকদের কাছে এনে উপস্থিত করবেন।
5. এভাবে পিতর কারাগারে আটক থাকলেন, কিন্তু মণ্ডলীর লোকেরা তাঁর বিষয়ে আল্লাহ্র কাছে একাগ্র ভাবে মুনাজাত করছিল।
6. পরে হেরোদ যেদিন তাঁকে বাইরে আনাবেন, তার আগের রাতে পিতর দু’জন সেনার মধ্যস্থানে দুই শিকলে বাঁধা অবস্থায় ঘুমিয়ে ছিলেন এবং প্রবেশ পথে প্রহরীরা কারাগার পাহারা দিচ্ছিল।
7. আর দেখ, প্রভুর এক ফেরেশতা তাঁর কাছে এসে দাঁড়ালেন এবং কারাকক্ষটি আলোতে উজ্জ্বল হয়ে উঠলো। তিনি পিতরের কুক্ষিদেশে আঘাত করে তাঁকে জাগিয়ে বললেন, শীঘ্র উঠ। তখন তাঁর দুই হাত থেকে শিকল পড়ে গেল।
8. পরে সেই ফেরেশতা তাঁকে বললেন, কোমর বাঁধ ও তোমার জুতা পায়ে দাও। তিনি তা করলেন। পরে ফেরেশতা তাঁকে বললেন, গায়ে কাপড় দিয়ে আমার পিছনে পিছনে এসো।
9. তাতে তিনি বের হয়ে তাঁর পিছনে পিছনে যেতে লাগলেন; কিন্তু ফেরেশতার দ্বারা যা করা হল, তা যে বাস্তবিক, তা তিনি বুঝতে পারলেন না, বরং মনে করলেন, তিনি দর্শন দেখছেন।
10. পরে তাঁরা প্রথম ও দ্বিতীয় প্রহরী দল পার হয়ে যেখান দিয়ে নগরে যাওয়া যায়, সেই লৌহ-দ্বারের কাছে উপস্থিত হলেন। সেই দ্বারের কবাট তাঁদের সম্মুখে নিজে নিজেই খুলে গেল। তাতে তাঁরা বের হয়ে একটা রাস্তার শেষ পর্যন্ত গমন করলেন, আর অমনি ফেরেশতা তাঁর কাছ থেকে প্রস্থান করলেন।
11. তখন পিতর সচেতন হয়ে বললেন, এখন আমি নিশ্চয় জানলাম, প্রভু তাঁর ফেরেশতাকে প্রেরণ করে হেরোদের হাত থেকে এবং ইহুদী লোকদের সমস্ত আকাঙ্খা থেকে আমাকে উদ্ধার করলেন।
12. এই বিষয় আলোচনা করে তিনি ইউহোন্নার মা মরিয়মের বাড়ির দিকে চলে গেলেন। এই ইউহোন্নাকে মার্ক নামেও ডাকা হত। সেই বাড়িতে অনেক লোক একত্র হয়েছিল ও মুনাজাত করছিল।
13. পরে তিনি বাইরের দরজায় আঘাত করলে রোদা নাম্নী এক জন বাঁদী শুনতে আসলো;
14. এবং পিতরের স্বর চিনতে পেরে আনন্দ বশতঃ দরজা না খুলেই ভিতরে দৌড়ে গিয়ে সংবাদ দিল, পিতর দরজার সম্মুখে দাঁড়িয়ে আছেন। তারা তাঁকে বললো, তুমি পাগল; কিন্তু সে দৃঢ়ভাবে বলতে লাগল, না, তা-ই বটে!
15. তখন তাঁরা বললো, উনি তাঁর ফেরেশতা।
16. কিন্তু পিতর আঘাত করতে থাকলেন; তখন তাঁরা দরজা খুলে তাঁকে দেখতে পেল ও চমৎকৃত হল।