2. তোমরা পরস্পর এক জন অন্য জনের ভার বহন কর; এভাবে মসীহের শরীয়ত সমপূর্ণভাবে পালন কর।
3. কেননা যদি কেউ মনে করে থাকে যে, আমি একটা কিছু, কিন্তু আসলে সে কিছুই নয়, তবে সে নিজে নিজেকে ভুলায়।
4. কিন্তু প্রত্যেকে নিজ নিজ কাজ পরীক্ষা করে দেখুক, তা হলে সে কেবল নিজের কাছে গর্ব করার কোন কারণ খুঁজে পাবে, অপরের কাছে নয়;
5. কারণ প্রত্যেকে নিজ নিজ ভার বহন করবে।
6. যে ব্যক্তি আল্লাহ্র কালামের বিষয়ে শিক্ষা পায়, সে তার শিক্ষককে সমস্ত উত্তম বিষয়ে সহভাগী করুক।
7. তোমরা ভ্রান্ত হয়ো না, আল্লাহ্কে পরিহাস করা যায় না; কেননা মানুষ যা কিছু বুনবে তা-ই কাটবে।
8. যদি কেউ নিজের গুনাহ্-স্বভাবের উদ্দেশে বুনে, সে গুনাহ্-স্বভাব থেকে বিনাশরূপ ফসল পাবে; কিন্তু পাক-রূহের উদ্দেশে যে বুনে, সে পাক-রূহ্ থেকে অনন্ত জীবনরূপ ফসল পাবে।
9. আর এসো, আমরা সৎকর্ম করতে নিরুৎসাহ না হই; কেননা নিরুৎসাহিত না হয়ে তা করতে থাকলে যথাসময়ে ফসল পাব।
10. এজন্য এসো, আমরা যেমন সুযোগ পাই, তেমনি সকলের মঙ্গল সাধন করি, বিশেষভাবে যারা ঈমানদার পরিবারের লোকজন তাদের মঙ্গল করি।
11. দেখ, আমি কত বড় অক্ষরে নিজের হাতে তোমাদের লিখলাম।
12. যেসব লোক বাহ্যিকভাবে সুন্দর দেখাতে চায়, তারাই খৎনা করাবার জন্য তোমাদের বাধ্য করছে। তারা এ রকম করছে যেন মসীহের ক্রুশের কারণে তাদের প্রতি নির্যাতন না ঘটে।
13. কেননা যাদের খৎনা করানো হয় তারা নিজেরাও শরীয়ত পালন করে না; বরং তারা তোমাদের খৎনা করাতে চায়, যেন তোমরা তাদের দলে এসেছ বলে তারা গর্ব করতে পারে।
14. কিন্তু আমাদের ঈসা মসীহের ক্রুশ ছাড়া আমি যে আর কোন বিষয়ে গর্ব করি, তা দূরে থাক; তারই দ্বারা আমার জন্য দুনিয়া এবং দুনিয়ার জন্য আমি ক্রুশবিদ্ধ।
15. কারণ খৎনা কিছুই নয়, অখৎনাও নয়, কিন্তু নতুন সৃষ্টিই আসল বিষয়।
16. আর যেসব লোক এই নিয়ম অনুসারে চলবে তাদের উপরে শান্তি ও করুণা বর্ষিত হোক, আল্লাহ্র ইসরাইলের উপরে বর্ষিত হোক।