অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

ইফিষীয় 2 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

মৃত্যু থেকে জীবন লাভ

1. তোমরা নিজ নিজ অপরাধ ও গুনাহে মৃত ছিলে;

2. ঐ সমস্ত গুনাহে তোমরা আগে জীবন-যাপন করতে, এই দুনিয়ার যুগ অনুসারে, আসমানের অধিপতির ক্ষমতা অনুসারে, যে রূহ্‌ অবাধ্যতার সন্তানদের মধ্যে এখন কাজ করছে সেই রূহের অধিপতির ইচ্ছা অনুসারে জীবন-যাপন করতে।

3. সেই লোকদের মধ্যে আমরাও সকলে আগে নিজ নিজ দৈহিক অভিলাষ অনুসারে আচরণ করতাম এবং দৈহিক ও মনের বিবিধ ইচ্ছা পূর্ণ করতাম। এই স্বভাবের কারণে অন্য সকলের মত আমরাও গজবের সন্তান ছিলাম।

4. কিন্তু আল্লাহ্‌ করুণাধনে ধনবান বলে, তাঁর যে মহা মহব্বতে আমাদের মহব্বত করলেন,

5. সেই কারণে, এমন কি আমরা যখন আমাদের অপরাধে মৃত ছিলাম তখন তিনি মসীহের সঙ্গে আমাদের জীবিত করলেন— রহমতেই তোমরা নাজাত পেয়েছ—

6. এবং তিনি মসীহ্‌ ঈসাতে আমাদের তাঁর সঙ্গে জীবিত করলেন ও তাঁর সঙ্গে বেহেশতী স্থানে বসালেন;

7. যেন মসীহ্‌ ঈসাতে আমাদের প্রতি তাঁর যে দয়া দেখিয়েছেন তা দ্বারা আগামী যুগ যুগ ধরে তিনি তাঁর অনুপম অনুগ্রহরূপ ধন প্রকাশ করেন।

8. কেননা রহমতে ঈমানের মধ্য দিয়ে তোমরা নাজাত পেয়েছ এবং তা তোমাদের নিজেদের দ্বারা হয় নি, তা আল্লাহ্‌রই দান;

9. তা কাজের ফল নয়, যেন কেউ গর্ব করতে না পারে।

10. কারণ আমরা তাঁরই হাতের তৈরি, মসীহ্‌ ঈসাতে সৎ-কর্মের জন্য সৃষ্ট; এই সৎকর্ম আল্লাহ্‌ আগে প্রস্তুত করেছিলেন যেন আমরা সেই পথে চলি।

ঈসা মসীহে ইহুদী ও অ-ইহুদী সকলেই এক

11. অতএব স্মরণ কর, আগে জন্মগত-ভাবে তোমরা অ-ইহুদী ছিলে, তোমাদের “খৎনা-না-করানো লোক” বলে যারা অভিহিত করতো তারা “খৎনা-করানো” বলে আখ্যাত ছিল— যাদের মানুষের হাতে দৈহিকভাবে খৎনা করানো হয়েছিল।

12. সেই সময়ে তোমরা মসীহ্‌ থেকে পৃথক ছিলে, ইসরাইলের লোক হিসেবে যে অধিকার সেই অধিকারের বাইরে ছিলে এবং প্রতিজ্ঞাযুক্ত নিয়মগুলোর সঙ্গে তোমাদের কোন সম্পর্ক ছিল না; তোমাদের কোন আশা ছিল না আর তোমরা দুনিয়াতে আল্লাহ্‌বিহীন ছিলে।

13. কিন্তু এখন মসীহ্‌ ঈসাতে, এক কালে দূরে ছিলে যে তোমরা— তোমাদের মসীহের রক্ত দ্বারা কাছে আনা হয়েছ।

14. কেননা তিনি আমাদের শান্তি; তিনিই নিজ দেহে উভয়কে এক করেছেন এবং এই দুইয়ের মধ্যে বিচ্ছেদের যে দেওয়াল আমাদের মধ্যে শত্রুতার সৃষ্টি করতো তা ভেঙ্গে ফেলেছেন।

15. তিনি শরীয়তের সমস্ত হুকুম ও অনুশাসনকে বাতিল করেছেন; যেন তিনি নিজে এই দু’টিকে দিয়ে একটি নতুন মানুষ সৃষ্টি করেন, যেন এভাবে দু’য়ের মধ্যে শান্তি হয়;

16. এবং ক্রুশে শত্রুতাকে বধ করে সেই ক্রুশ দ্বারা এক দেহে আল্লাহ্‌র সঙ্গে উভয় পক্ষের মিলন করে দেন।

17. আর তিনি এসে তোমরা যারা দূরে ছিলে এবং তারা যারা কাছে ছিল, তাদের সকলের কাছেই শান্তির সুসমাচার জানিয়েছেন।

18. কেননা তাঁরই দ্বারা আমরা উভয় পক্ষের লোক এক পাক-রূহে পিতার কাছে উপস্থিত হবার ক্ষমতা পেয়েছি।

19. অতএব তোমরা আর এখন আগন্তক ও বিদেশী নও, কিন্তু পবিত্র লোকদের সহপ্রজা এবং আল্লাহ্‌র গৃহের লোক হয়েছ।

20. তোমাদেরকে প্রেরিত ও নবীদের ভিত্তি-মূলের উপর গেঁথে তোলা হয়েছে; আর সেই ভিত্তির প্রধান পাথর স্বয়ং মসীহ্‌ ঈসা।

21. তাঁতেই সমস্ত গাঁথুনি সংযুক্ত হয়ে প্রভুতে এক পবিত্র এবাদতখানা হবার জন্য গড়ে উঠছে;

22. তাঁতে পাক-রূহের মধ্য দিয়ে আল্লাহ্‌র আবাস হবার জন্য তোমাদেরকেও একসঙ্গে গেঁথে তোলা হচ্ছে।