6. ঈসা তাকে পড়ে থাকতে দেখে ও দীর্ঘকাল সেই অবস্থায় রয়েছে জেনে বললেন, তুমি কি সুস্থ হতে চাও?
7. রোগী জবাবে বললো, হুজুর, আমার এমন কোন লোক নেই যে, যখন পানি কাঁপে তখন আমাকে পুকুরে নামিয়ে দেয়; আমি যেতে যেতে আর এক জন আমার আগে নেমে পড়ে।
8. ঈসা তাকে বললেন, উঠ, তোমার খাট তুলে নিয়ে হেঁটে বেড়াও।
9. তাতে তৎক্ষণাৎ সেই ব্যক্তি সুস্থ হল এবং নিজের খাট তুলে নিয়ে হেঁটে বেড়াতে লাগল। সেদিন ছিল বিশ্রামবার।
10. অতএব যাকে সুস্থ করা হয়েছিল, তাকে ইহুদীরা বললো, আজ বিশ্রামবার, খাট বহন করা তোমার পক্ষে উচিত নয়।
11. কিন্তু সে তাদেরকে জবাবে বললো, যিনি আমাকে সুস্থ করলেন, তিনিই আমাকে বললেন, তোমার খাট তুলে নিয়ে হেঁটে বেড়াও।
12. তারা তাকে জিজ্ঞাসা করলো, সেই ব্যক্তি কে, যে তোমাকে বলেছে, খাট তুলে নিয়ে হেঁটে বেড়াও?
13. কিন্তু যে সুস্থ হয়েছিল, সে জানত না, তিনি কে, কারণ সেখানে অনেক লোক থাকাতে ঈসা চলে গিয়েছিলেন।
14. তারপরে ঈসা বায়তুল-মোকাদ্দসে তার দেখা পেলেন, আর তাকে বললেন, দেখ, তুমি সুস্থ হলে; আর গুনাহ্ করো না, পাছে তোমার আরও বেশি মন্দ ঘটে।
15. সেই ব্যক্তি চলে গেল ও ইহুদীদেরকে বললো যে, যিনি তাকে সুস্থ করেছেন তিনি ঈসা।
16. আর এই কারণে ইহুদীরা ঈসাকে নির্যাতন করতে শুরু করলো, কেননা তিনি বিশ্রামবারে এসব করছিলেন।
17. কিন্তু ঈসা তাদেরকে এই জবাব দিলেন, আমার পিতা এখন পর্যন্ত কাজ করছেন, আমিও করছি।
18. ঈসার এই কথার জন্য ইহুদীরা তাঁকে হত্যা করতে আরও চেষ্টা করতে লাগল; কেননা তিনি কেবল বিশ্রামবার লঙ্ঘন করতেন তা নয়, কিন্তু আবার আল্লাহ্কে নিজের পিতা বলে নিজেকে আল্লাহ্র সমান করতেন।
19. অতএব জবাবে ঈসা তাদেরকে বললেন, সত্যি, সত্যি, আমি তোমাদেরকে বলছি, পুত্র নিজ থেকে কিছুই করতে পারে না, কেবল পিতাকে যা করতে দেখেন, তা-ই করেন; কেননা তিনি যা যা করেন, পুত্রও তা-ই করেন।
20. কারণ পিতা পুত্রকে ভাল-বাসেন এবং তিনি যা যা করেন, সকলই তাঁকে দেখান; আর এর চেয়েও মহৎ মহৎ কাজ তাঁকে দেখাবেন, যেন তোমরা আশ্চর্য মনে কর।
21. কেননা পিতা যেমন মৃতদেরকে উঠান ও জীবন দান করেন, তেমনি পুত্রও যাদেরকে ইচ্ছা, জীবন দান করেন।